World Bee Day: জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এই পেশায় থাকতে চান ওঁরা, বংশপরম্পরায় চাকভাঙা যেন নেশা!

কোচবিহার: জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে গিয়ে বহু মানুষ বিভিন্ন ধরনের পেশায় নিযুক্ত হন। আবার অনেকে বিভিন্ন ধরনের পেশা খুঁজেও নেন। তবে আজকে যে মানুষগুলির কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরব তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বংশ-পরম্পরায় এই বিশেষ কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছেন। দীর্ঘ সময় ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই কাজ করে সংসার প্রতিপালন করছেন। এদিকে ঝুঁকি থাকলেও এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যেতে চান না।

বাণিজ্যিকভাবে আজকাল বহু জায়গায় মৌমাছির চাষ করা হয়। পাশাপাশি অতীতের মত প্রাকৃতিক উপায়েও বহু জায়গায় মৌমাছি নিজের চাক তৈরি করে। এই প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি মৌ চাক থেকে প্রাপ্ত মধুর গুনাগুন ও উপকারিতা অনেকটাই বেশি হয়। আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই মৌচাক ভেঙেই বেশ কিছু মানুষ নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করেন।

আরও পড়ুন: বৃষ্টির অভাবে সঙ্কটে পাট চাষ, নবাবের জেলায় ভয়াবহ অবস্থা

মধু সংগ্রহকারী দুই ব্যক্তি পঙ্কজ ধামী ও সাগর ধামী জানান, বাপ-ঠাকুরদার সময় থেকে এভাবেই মধু সংগ্রহ করে আসছেন তাঁরা। এই কাজ করেই সংসার চলে। দীর্ঘ সময় ধরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে মধু সংগ্রহ করে বিক্রি করেন তাঁরা। প্রাকৃতিকভাবে যে সমস্ত জায়গায় মৌমাছি চাক তৈরি হয় সেই জায়গাগুলি অত্যন্ত বিপজ্জনক। কারণ, অনেকটাই উঁচু জায়গায় ও মানুষের নাগালের বাইরে এই চাকগুলি তৈরি করে মৌমাছি। তাই ঝুঁকি নিয়েই এই চাকগুলো থেকে মধু সংগ্রহ করতে হয়।

এছাড়া মৌমাছির কামড়ের ভয় ও আশঙ্কা তো আছেই। তবুও এই বিপদের মধ্যেই ওঁরা যেন বেঁচে থাকার আনন্দ খুঁজে পান। ক্রেতাদের মধ্যেও প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি মৌচাক ভাঙা মধুর অন্যরকম একটা চাহিদা আছে। চিকিৎসকরা ওই খাঁটি মধু খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেই স্বাস্থ্যকর খাঁটি মধুর যোগান দেওয়াটাই যেন এই মানুষগুলো পেশার পাশাপাশি নেশা হয়ে উঠেছে।

সার্থক পণ্ডিত