মালদহ: তাঁরা কোনও দলের নয়, তবে কাজ করছেন সব দলের হয়ে। কাজের বিনিময়ে মিলছে পারিশ্রমিকও। অফ সিজিনে নিয়মিত কাজ পেয়ে খুশি তাঁরা। হচ্ছে রোজগার, কাজের ফুরসৎ পর্যন্ত নেই। যখন যে দলের বরাদ মিলছে গান গাইছেন তাঁরা। গানের মাধ্যমেই তাঁদের দিয়ে ভোট প্রচার করছে প্রথম সারির রাজনৈতিক দলগুলি। কখনও জনসভা শুরুর আগে, আবার কখনও শুধুমাত্র তাঁদের দিয়েই গানের মাধ্যমে ভোট প্রচার করাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। তাঁরা আর কেউ নয়, মালদহের বাউল শিল্পীরা।
ভোট প্রচার তাঁদের চাহিদা থাকায় খুশি জেলার বাউল শিল্পীরা। এই সময় জেলার প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের দিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছে। কেউ গান বেঁধেছে নিজের মতো করে ভোট প্রচারের জন্য। সেই গানগুলি পরিবেশিত হচ্ছে বিভিন্ন দলের ভোট প্রচারে। আবার কেউ সাধারণ বাউল গান গেয়েই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভোট প্রচার করছেন। বাউল শিল্পী ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল বলেন, প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল থেকেই ডাক পাচ্ছি, খুব ভাল লাগছে এই সময় সাধারণত আমাদের কাজ থাকে না। ভোটের মুহূর্তে কিছু রোজগার হচ্ছে আমাদের।
আরও পড়ুন: জুয়ারিদের ধরতে উঠে এল আরও মারাত্মক তথ্য! অবাক পুলিশও
সাধারণত বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও পুজোয় বাউল শিল্পীদের গান করার সুযোগ মেলে। যখন কোনও অনুষ্ঠান থাকেনা সাধারণত তাঁরা বসেই থাকেন। তবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অতিরিক্ত কাজ মিলছে। খুশি মালদহ জেলার বাউল শিল্পীরা। জোর কদমে মালদহ জেলা জুড়ে চলছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ভোট প্রচার। জেলার বাউল শিল্পীদের এখন কাজের হিড়িক বেড়েছে। বাউল শিল্পী তপন পন্ডিত বলেন, যে দল আমাদেরকে ডাকছে সেই দলের হয়েই আমরা ভোট প্রচারে অংশগ্রহণ করছি। বাউল গানের মাধ্যমে প্রচার করছি। আমাদের কোন দল নেই। আমরা সবার হয়েই প্রচার করছি। প্রতিটি রাজনৈতিক দল থেকেই গান গাওয়ার ডাক পাচ্ছেন তাঁরা। গত কয়েকদিন ধরে ভোট প্রচারে কাজের সুযোগ মেলায় রোজগার বেড়েছে বাউল শিল্পীদের। ভোটের সময় অতিরিক্ত রোজগার হওয়ায় খুশি বাউল শিল্পীরা।
হরষিত সিংহ