জলপাইগুড়ি: কথায় আছে ‘কারোর পৌষ মাস তো কারোর সর্বনাশ’…
বাংলার এই প্রবাদ বাক্যটি এখন উত্তরবঙ্গের কৃষকদের মুখে মুখে ঘুরছে। ঘূর্ণিঝড় রিমলের ধাক্কায় দক্ষিণবঙ্গে যখন বিস্তীর্ণ এলাকা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে, সেই সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হওয়ায় হাসি ফুটেছে উত্তরবঙ্গের কৃষকদের মুখে। এতে ডুয়ার্সের চা, পাটের মত অর্থকারী ফসলগুলি চাষের ক্ষেত্রে জলের যে ঘাটতি দেখা গিয়েছিল তার অভাব অনেকটাই পূরণ হয়েছে।
দিনের পর দিন অনাবৃষ্টির কবলে পড়ে চা শিল্প ক্ষতির মুখে পড়ছিল। তীব্র গরমে চা গাছ শুকিয়েগিয়েছিল। নানা রোগ পোকার আক্রমণের মুখে পড়ে চা শিল্প মুখ থুবরে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। অবশেষে রিমলের ছোঁয়ায় খানিক বৃষ্টি হওয়ায় চা গাছগুলি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। চা এর পাশাপাশি অন্যান্য সবজি, পাট সব কিছুই যেন এই বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। কৃষকরাও মনে করছেন হয়তো ক্ষতির ধাক্কা সামলে নেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: রিমলের ধাক্কায় সবজি চাষ ক্ষতিগ্রস্ত, মাথায় হাত কৃষকদের
ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে দক্ষিণবঙ্গের জনজীবন থেকে শুরু করে উপকূলবর্তী জেলার চাষিদের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির ছবি উঠে আসছে ক্রমাগত। তাতে ব্যথিত সবাই। কিন্তু এরই সুবাদে এবারের চাষের মৌসুমের শুরু থেকে জলের যে ঘাটতি দেখা গিয়েছিল তার অনেকটাই পূরণ হয়েছে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। এই বিষয়ে, জলপাইগুড়ি জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিক শ্রী গোপাল চন্দ্র সাহা জানান, দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলিতে রিমল ল্যান্ডফল হওয়ার প্রায় ঘণ্টা সাতেক পর থেকেই জলপাইগুড়ির বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে হয়েছে বৃষ্টি। এতেই প্রাণ ফিরে পেয়েছেন কৃষকরা। এই বৃষ্টিপাতের ফলে পাট সহ অন্যান্য সবজি চাষিরাও যে অনেকটাই উপকৃত হবেন। আগামী কয়েকদিনে এই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।
সুরজিৎ দে