আসানসোল ফুটপাত দখল করে ব্যবসা।

Helpline Number: মমতার বার্তার পরই আরও কড়া আসানসোল পুরনিগম, এডিডিএ চালু করল হেল্পলাইন

পশ্চিম বর্ধমান: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পর নড়েচড়ে বসল আসানসোল পুরনিগম। রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম পুরনিগম আসানসোল। কিন্তু এখানে অবৈধ দখলদার, অবৈধ নির্মাণের মত সমস্যা যথেষ্ট বেশি। তা দূর করতে ইতিমধ্যেই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই কড়া হাতে জবরদখল, অবৈধ নির্মাণের সমস্যা দূর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসানসোল পুরনিগম।

মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরেই আসানসোল পুরনিগম আরও সজাগ হয়েছে। অবৈধ দখলদার রুখতে তৈরি হচ্ছে পরিকল্পনা। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। তিনি কার্যত আবেদনের সুরে জানিয়েছেন, যারা অবৈধ নির্মাণ করেছেন, অবৈধভাবে দখল করে বসে রয়েছেন, তাঁরা নিজেদের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিন। কারণ পুরসভা এবার আরও বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে।

আর‌ও পড়ুন: মাদক বিরোধী দিবসে নেশা মুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকার

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরেই অবৈধ নির্মাণ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে আসানসোল পুরনিগমকে। রাস্তার ফুটপাত দখল করে যে সমস্ত হকাররা ব্যবসা চালাচ্ছিলেন, তাঁদেরও উচ্ছেদ করা হয়েছে। ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে বিকল্প জায়গার। কিন্তু তা সত্ত্বেও অবৈধ দখলদার এখনও পর্যন্ত রয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে আসানসোল, কুলটি, রানিগঞ্জের মত বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ নির্মাণের খবর সামনে আসছে। যদিও কখনও কখনও সেই অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে সক্রিয় ভূমিকা দেখাচ্ছে পুরসভা।

অন্যদিকে, জবরদখল রুখতে বিশেষভাবে সজাগ হয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ। ইতিমধ্যে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে দুটি হেলপ্লাইন নম্বর। শহরের সরকারি জমি, এডিডিএ’র জমিতে জবরদখল দেখলে সাধারণ মানুষ যাতে সেই সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে পারেন তার জন্য দুটি পৃথক হেল্পলাইন নম্বর শুরু করা হয়েছে।

হেল্প লাইন নম্বর:
দুর্গাপুর- ৯০৪৬২২৩৬৫০
আসানসোল- ৯০৪৬২২৩৬৫১

তাছাড়াও দুর্গাপুর সিটি সেন্টার এলাকায় অবৈধ দখলদারি সরিয়ে ফেলার জন্য ইতিমধ্যেই এডিডিআর তরফ থেকে মাইকিং করে প্রচার করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে জেলা জুড়ে অবৈধ নির্মাণ বা সরকারি জমি দখল করার রুখতে প্রশাসন যে আরও সতর্ক হচ্ছে সেই ছবিটা স্পষ্ট।

নয়ন ঘোষ