Tag Archives: asansol municipality

Property Tax: বিরাট সুখবর! সম্পত্তি কর জমা দিতে এবার পাবেন বিশেষ ছাড়, জানুন কী কী সুবিধা মিলবে?

আসানসোল: নাগরিকদের জন্য বড় ব্যবস্থা আসানসোল পুরনিগমের। আসানসোল চেম্বার অফ কমার্সের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিশেষ উদ্যোগ শহরে। নাগরিকরা যাতে সহজে সম্পত্তি কর জমা দিতে পারেন, তার জন্য আয়োজন করা হচ্ছে বিশেষ শিবিরের। সেখানে গিয়ে কর জমা করলে পাওয়া যাবে বিশেষ ছাড়। প্রথম দিনের শিবিরে সাড়া মিলেছে ভালই।

প্রসঙ্গত, আসানসোল চেম্বার অফ কমার্স এবং আসানসোল পুরনিগমের যৌথ উদ্যোগে সম্পত্তি কর জমা দেওয়ার জন্য বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হবে শহরে। ইতিমধ্যে আসানসোল শহরের মূল অংশে প্রথম শিবিরটি আয়োজিত হয়েছিল। এরপর নিয়ামতপুর, রানীগঞ্জ, বরাকরে এই শিবিরের আয়োজন করা হবে। বিশেষ শিবিরে গিয়ে সম্পত্তি কর জমা করলে ১০ শতাংশের ছাড়ও দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন-     বলুন তো, কোন প্রাণীর রক্তের দাম সবচেয়ে বেশি? ৯৯% মানুষই উত্তর দিতে গিয়ে ডাহা ফেল! চমকে দেবে উত্তর, গ্যারান্টি…!

এই বিষয়ে চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক শম্ভুনাথ ঝাঁ বলছেন, প্রথমে পুরসভার উদ্যোগে একটি ট্রেড লাইসেন্সের শিবির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে দারুণ সাড়া পাওয়া যায়। এরপর পুরসভা সম্পত্তি কর জমা দেওয়ার জন্য এই শিবিরের চিন্তাভাবনা করে। পুরসভার পাশে দাঁড়ায় চেম্বার অফ কমার্স। তারপরে এই শিবিরের আয়োজন করা হয়। প্রথম দিনের শিবিরে সম্পত্তি কর হিসেবে প্রায় ৬ লক্ষ ৭২ হাজার ১৬ টাকা জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন-      ভয়ঙ্কর দুঃসময় শেষ…! বৃহস্পতি-চন্দ্রর মহামিলনে ‘গোল্ডেন টাইম’ শুরু ৪ রাশির, গজকেশরী রাজযোগে সোনায় মুড়বে ভাগ্য…

পুরসভা সূত্রে খবর, শহরের প্রত্যেকটি মানুষ যাতে শিবিরে গিয়ে সম্পত্তি কর জমা দেওয়ার সুযোগ পান, সেজন্য বিভিন্ন জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছে। যে কারণে নিয়ামতপুর, বরাকর, রাণীগঞ্জে আলাদা আলাদা করে শিবির করা হবে। সেখানে গিয়ে সম্পত্তি কর জমা করলে পাওয়া যাবে ১০% ছাড়। এমনকি বাকি থাকা সম্পত্তি কর জমা করলেও ১০% ছাড় পাওয়া যাবে। এক ছাতার তলায় সম্পত্তি কর জমা দেওয়ার এই ব্যবস্থার জন্য পুরনিগমের উদ্যোগকে সাধুবাদ দিয়েছেন শহরবাসী।

নয়ন ঘোষ

Helpline Number: মমতার বার্তার পরই আরও কড়া আসানসোল পুরনিগম, এডিডিএ চালু করল হেল্পলাইন

পশ্চিম বর্ধমান: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পর নড়েচড়ে বসল আসানসোল পুরনিগম। রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম পুরনিগম আসানসোল। কিন্তু এখানে অবৈধ দখলদার, অবৈধ নির্মাণের মত সমস্যা যথেষ্ট বেশি। তা দূর করতে ইতিমধ্যেই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই কড়া হাতে জবরদখল, অবৈধ নির্মাণের সমস্যা দূর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসানসোল পুরনিগম।

মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরেই আসানসোল পুরনিগম আরও সজাগ হয়েছে। অবৈধ দখলদার রুখতে তৈরি হচ্ছে পরিকল্পনা। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। তিনি কার্যত আবেদনের সুরে জানিয়েছেন, যারা অবৈধ নির্মাণ করেছেন, অবৈধভাবে দখল করে বসে রয়েছেন, তাঁরা নিজেদের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিন। কারণ পুরসভা এবার আরও বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে।

আর‌ও পড়ুন: মাদক বিরোধী দিবসে নেশা মুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকার

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরেই অবৈধ নির্মাণ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে আসানসোল পুরনিগমকে। রাস্তার ফুটপাত দখল করে যে সমস্ত হকাররা ব্যবসা চালাচ্ছিলেন, তাঁদেরও উচ্ছেদ করা হয়েছে। ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে বিকল্প জায়গার। কিন্তু তা সত্ত্বেও অবৈধ দখলদার এখনও পর্যন্ত রয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে আসানসোল, কুলটি, রানিগঞ্জের মত বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ নির্মাণের খবর সামনে আসছে। যদিও কখনও কখনও সেই অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে সক্রিয় ভূমিকা দেখাচ্ছে পুরসভা।

অন্যদিকে, জবরদখল রুখতে বিশেষভাবে সজাগ হয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ। ইতিমধ্যে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে দুটি হেলপ্লাইন নম্বর। শহরের সরকারি জমি, এডিডিএ’র জমিতে জবরদখল দেখলে সাধারণ মানুষ যাতে সেই সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে পারেন তার জন্য দুটি পৃথক হেল্পলাইন নম্বর শুরু করা হয়েছে।

হেল্প লাইন নম্বর:
দুর্গাপুর- ৯০৪৬২২৩৬৫০
আসানসোল- ৯০৪৬২২৩৬৫১

তাছাড়াও দুর্গাপুর সিটি সেন্টার এলাকায় অবৈধ দখলদারি সরিয়ে ফেলার জন্য ইতিমধ্যেই এডিডিআর তরফ থেকে মাইকিং করে প্রচার করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে জেলা জুড়ে অবৈধ নির্মাণ বা সরকারি জমি দখল করার রুখতে প্রশাসন যে আরও সতর্ক হচ্ছে সেই ছবিটা স্পষ্ট।

নয়ন ঘোষ

Garbage Tax: বাংলায় প্রথম আসানসোলে চালু হতে চলেছে বর্জ্য কর!

পশ্চিম বর্ধমান: তীব্র দাবদাহের মধ্যে আসানসোল শহরের বেশ কিছু জায়গায় দেখা দিয়েছে জল সঙ্কট। বিশেষ করে কুলটিতে জল সঙ্কটের বড় অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। কেন পুরনিগমের বিভিন্ন এলাকায় জল সঙ্কটের দেখা দিয়েছে তার উত্তর খুঁজছেন পুর কর্তারা। যে কারণে পুরনিগমের সদস্যদের সঙ্গে বিশেষ পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন মেয়র।

কিন্তু কু কারণে জল সঙ্কট? বৈঠকে বেশ কিছু কারণ উঠে এসেছে। যার মধ্যে অন্যতম জলের পাইপলাইনের সমস্যা। অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতরের কাজের কারণে অনেক জায়গার জলের পাইপলাইন ফেটে গিয়েছে। ফলে জল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত পরিকল্পনা শুরু হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: মালদহের হিমসাগর, ল্যাংড়া, গোপালভোগ দেদার বিক্রি হচ্ছে দিল্লির আম উৎসবে

অন্যদিকে আসানসোল শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নতুন আরও একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। সূত্রের খবর, আসানসোল পুরসভা খুব শীঘ্রই বর্জ্য কর চালু করতে চায়। যাতে শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা যায় বা যেখানে সেখানে আবর্জনার স্তূপ দেখা না যায়। সূত্রের খবর, কীভাবে বর্জ্য কর লাগু করা হবে তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, বর্জ্য কর লাগু করা প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই বণিক সংগঠনগুলি বিস্তর আলোচনা করেছে। সেখানে বনিক সংগঠনগুলির মতামত জানতে চেয়েছেন মেয়র। তবে সূত্রের খবর খুব শীঘ্রই এই বর্জ্য কর শহরে চালু করা হবে। কিন্তু কীভাবে এই কর লাগু করা হবে তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। উল্লেখ্য, শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ১০০০ অস্থায়ী সাফাই কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরনিগম।

নয়ন ঘোষ