পাঁচলার জলযন্ত্রণা

Water Logged: জল যন্ত্রণায় স্কুলছুট ছেলেমেয়েরা, অতিরিক্ত পোশাক নিয়ে বেরোতে হয় রোজগেরেদের

হাওড়া: বর্ষাকালে এলেই জল যন্ত্রণা চরমে ওঠে। শিশু থেকে বয়স্ক কেউই ভোগান্তি থেকে বাদ যায় না। কখনও হাঁটু সমান, আবার কখনও বুক সমান জল পেরোতে হয়। ফলে লাটে উঠেছে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া। বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখ্যা।

এমনই দুর্বিষহ অবস্থা পাঁচলার বিকিহাকোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের রানিহাটি চড়কতলার। সমস্যা সমাধানে স্থানীয় পঞ্চায়েত, বিডিও অফিস থেকে শুরু করে নবান্ন’তে পর্যন্ত জানিয়েও সুরাহা মেলেনি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। এখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দা দিন মজুরি করে সংসার চালান। কিন্তু এই জল যন্ত্রণার কারণে তাঁদের অনেকেই ঠিক করে কাজে পর্যন্ত যেতে পারছেন না। সাধারণ গ্রামবাসীরাও বাড়ির বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। কারণ জমা জলে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিষধর সাপ! এদিকে জমা জলের কারণে অতিরিক্ত এক সেট পোশাক নিয়ে বেরোতে হচ্ছে রোজগেরেদের। জমা জল পেরিয়ে গিয়ে পোশাক পাল্টে কর্মস্থলে পৌঁছচ্ছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: ইউনেস্কোর স্বীকৃতির পর সুন্দরবনের পর্যটন শিল্প ঘিরে বিপুল কর্মসংস্থানের আশা

স্থানীয়দের কথা থেকে জানা গিয়েছে, এলাকাটা নিচু। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত বর্ষার কয়েকটা দিন শুধু জল জমে থাকত। কিন্তু বর্তমানে একটানা কয়েক মাস জল জমছে। একটি কারখানার পাঁচিল নির্মাণের পর থেকেই এলাকার জল নিকাশি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। তার ফলে জমা জল নামতেই চাইছে না। মানুষের বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ছে নোংরা জল। তা থেকে চুলকানি সহ নানান ধরনের চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন গ্রামবাসীরা।

এই প্রসঙ্গে রানিহাটির লালমোহন কোলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেবব্রত সানা জানান, ওই এলাকা থেকে প্রায় ২০ জন ছাত্র-ছাত্রী এই বিদ্যালয়ে পড়ে। কিন্তু এলাকার জমা জলের সমস্যার কারণে বছরের অধিকাংশ সময়ে কুলের আসতে পারে না। এর ফলে অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে সেই ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছে।

রাকেশ মাইতি