Tag Archives: Water logged

Water Logged: অবিরাম বৃষ্টির জেরে জলময় হাসপাতাল, বিপাকে রোগীসহ তাদের পরিবার

দক্ষিণ দিনাজপুর : অবিরাম বৃষ্টির জেরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সাধারণ জনজীবন ব্যাহত। জলমগ্ন জেলার একাধিক এলাকা। বিগত তিনদিনের বৃষ্টির কারণে জল থই থই বালুরঘাট পুরসভা এলাকা সহ জেলার বিভিন্ন জায়গা। ইতিমধ্যেই বালুরঘাট শহরের একাধিক ওয়ার্ডের রাস্তায় জল জমার পাশাপাশি, জল ঢুকেছে বাড়িতেও। যার জেরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পাশাপাশি বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের সামনে জল জমে বিপত্তি।

আরও পড়ুন: যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের ভিটেমাটি রক্ষা করতে এগিয়ে এল গ্রামবাসীরা

হাসপাতালের সেই নোংরা জল ডিঙিয়ে যেতে হচ্ছে রোগীর পরিজন থেকে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের। বিপাকে পড়েছে চিকিৎসা করতে আসা রোগীসহ তাদের পরিবার। বৃষ্টি হলেই হাসপাতালের সামনের জলের পরিমাণ বাড়ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বালুরঘাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুরসভা। সমস্যায় পড়েন বালুরঘাট হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা রোগী ও রোগীর আত্মীয় পরিজন।

বালুরঘাট হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের সামনের রাস্তায় জল জমে যায়। অবশ্য কিছুদিন আগেই এই রাস্তাকে উঁচু করে ড্রেন তৈরি করা হয়েছে পুরসভার তরফ থেকে। এরপরেও সেই সমস্যা আজও সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ রোগীর পরিজনদের।বৃষ্টির জেরে একাধিক এলাকায় জলযন্ত্রণায় নাজেহাল জেলার সাধারণ মানুষ। এদিকে সময়মতো পুজোর প্যান্ডেলের কাজ শেষ করা ও বরাতমতো প্রতিমা তৈরি করা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ডেকোরেটার্স থেকে মৃৎশিল্পীরা।

সুস্মিতা গোস্বামী

Bangla Video: অসময়ে বৃষ্টি ব্যাপক চিন্তায় ফেলে দিয়েছে কৃষকদের, দেখুন

পশ্চিম বর্ধমান : নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিতে জল থই-থই অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের। তার মধ্যেই ডিভিসির ছাড়া জলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। বহু ঘরবাড়ি ডুবে গিয়েছে। বহু মানুষ আশ্রয় হারিয়েছেন। চরম সমস্যায় পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন। এই ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরাও।

কৃষকরা বলছেন, অসময়ে বৃষ্টিপাত তাদের সমস্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। বহু জমি টানা বৃষ্টিপাতের ফলে জলমগ্ন হয়ে গিয়েছিল। যদিও জল নামতে শুরু করেছে।।কিন্তু তাদের চিন্তা কমছে না। কারণ এই ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জমিতে দেওয়া কীটনাশক নষ্ট হয়েছে। ফলে নতুন করে আবার তাদের কীটনাশক দিতে হবে। দিতে হবে সার। তাছাড়াও ফসল উঠতে দেরি হবে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।

আরও পড়ুন: কমছে না হাতি মানুষ দ্বন্দ্ব! গত এক মাসে মৃত তিন

তারা বলছেন, এখনও বেশ কিছু জমি জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। সেই জমিগুলি থেকে জল নামেনি। অথচ ধান অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় জমিতে জল জমে থাকলে ধান নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে কৃষকদের বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এমনিতেই অসময়ের বৃষ্টিপাতে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। ফসল তুলতেও দেরি হবে। যে কারণে শীতকালীন চাষ করতে গিয়েও সমস্যায় করতে হবে সমস্ত কৃষকদের।

একদিকে যখন দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বন্যা পরিস্থিতির কারণে বহু মানুষ আশ্রয় হারিয়েছেন, বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকতে হচ্ছে, তেমন সময় কৃষি জমিগুলিও জলের তলায়। যা খুব স্বাভাবিকভাবে কৃষকদের বড় চিন্তার মধ্যে ফেলেছে। তারা বলছেন, যদি সময় বৃষ্টি হত, তাহলে কৃষকদের কৃষি কাজে সুবিধা হত। কিন্তু অসময়ে বৃষ্টিপাত তাদের বিপদের মধ্যে ফেলেছে। দ্রুত জমিগুলি থেকে জল নামানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। কারণ জমি জলমগ্ন হয়ে থাকলে ফসলের সিকিভাগও তারা ঘরে তুলতে পারবেন না।

নয়ন ঘোষ

Water Logging: কৃষি জমি জলের তলায়! বাড়িতেও জমে রয়েছে জল, চিন্তায় বহু মানুষ 

পূর্ব বর্ধমান: আবার জলমগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিজমি! নিম্নচাপের জেরে  বৃষ্টি এবং ছাড়া জলের কারণে জলমগ্ন পূর্ব বর্ধমানের একাধিক জায়গা। ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা স্থানীয়দের। জলের তলায় বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট ব্লকের জালপাড়া এলাকা। কুনুর নদীর জল ঢুকেই এই পরিস্থিতি বলে মত এলাকাবাসীর।

এই জলের জেরে বিঘার পর বিঘা ধানের ক্ষেত জলমগ্ন। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে কৃষিকাজ। পাশাপাশি, জল ঢুকেছে একাধিক বাড়িতেও। সেই হাঁটু সমান জল পেরিয়ে বাড়িতে ঢুকতে হচ্ছে গৃহস্থদের। চরম দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসীরা। স্থানীয়দের কথায়, ২০০০ সালের বন্যার পর এমন পরিস্থিতি দেখলো তারা। অল্প দিনের ব্যবধানে দুবার এই জলমগ্ন অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় চিন্তায় জালপাড়ার বাসিন্দারা। এই প্রসঙ্গে জালপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল রায় জানান, খুব সমস্যায় রয়েছি আমরা। বহুবছর পর এই পরিস্থিতি দেখলাম। চাষের ক্ষতি হল, বাড়িতেও জল জমে রয়েছে।

আরও পড়ুন: বজবজে নদী ভাঙন রোখার জন্য শুরু হল মেগা প্রজেক্টের কাজ

পূর্ব বর্ধমান জেলার পরিচিতি রয়েছে ধানের গোলা হিসেবে। কিন্তু পরপর দুমাসে দুবার নিম্নচাপ এবং ছাড়া জলের জেরে ক্ষতির মুখে সেই ধান চাষ। এলাকার বেশ কিছু জায়গা জলমগ্ন হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে দৈনন্দিন কাজকর্মও। তাছাড়া এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু বাড়িতেও জল জমে রয়েছে। এই বিষয়ে দুলাল রায় আরও বলেন, এই এলাকার কম বেশি অনেকেরই চাষের ক্ষতি হয়েছে। কুনুর নদীর জল বেড়ে যাওয়ার জন্য মনে হয় এই অবস্থা। রান্না , খাওয়া করতে হচ্ছে খুব কষ্টে। প্রশাসনের তরফে সাহায্য পেলে ভাল হয়।

তবে কেবলমাত্র কৃষি জমি বা বাড়ি নয়। বেশ কিছু জায়গায় জলের তলায় চলে গিয়েছে মূল সড়ক। হাঁটু সমান জল পেরিয়েই করতে হচ্ছে যাতায়াত। স্থানীয়দের কথায় আগের থেকে কিছুটা জল কমলেও, এখনও কাটেনি এই দুর্ভোগ। কতদিনে এই সমস্যার হাত থেকে নিস্তার মেলে, সেই দিকেই তাকিয়ে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের জালপাড়া ও সেই সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

টানা বৃষ্টিতে জল যন্ত্রণার ছবি আসানসোলে! ট্রেন মিস করলেন অনেকে

আসানসোল : নিম্নচাপের জেরে গত শুক্রবার রাত থেকে জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত। আর তার ফলে ফের জল যন্ত্রণার ছবিটা ফিরেছে জেলায়।

বিশেষ করে আসানসোলে বেশ কিছু রাস্তা কার্যত জলের তলায় চলে গিয়েছে। রেল ব্রিজের নিচের রাস্তাগুলি জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে পুরোপুরিভাবে। হাঁটু জল পেরিয়ে সেই রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে চরম সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ।

উল্লেখ্য, আসানসোলের রেল ব্রিজের যে আন্ডারপাশগুলি রয়েছে, সেগুলি অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। এক ঘন্টার বেশি ভারী বৃষ্টিপাত হলেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বারবার।

আরও পড়ুন- ক্লোজড ডোর অনুশীলনে তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশ হারানোর ছক! প্রস্তুতিতে চমক টিম ইন্ডিয়ার

নিম্নচাপের জেরে গত শুক্রবার রাত থেকে যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, তাতেও সেই একই ছবি উঠে এসেছে। বিশেষ করে ধাদকা, ডিপুপাড়া যাওয়ার রাস্তাগুলি জলের তলায় চলে গিয়েছে।

আর এই ঘটনার ফলে রাস্তায় বেরিয়ে বহু মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। যাত্রী থেকে শুরু করে স্কুলপড়ুয়া, সাধারণ মানুষ সকলের কম বেশি সমস্যা হয়েছে। অনেক যাত্রী রাস্তা জলমগ্ন থাকার ফলে সময়ে ট্রেন ধরতে পারেননি।

বহু যাত্রীদের বাইক, স্কুটি, টোটোতে করে যাতায়াত করতে গিয়ে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। অনেকেই দরকারি কাজ থাকায় হাঁটু জল পেরিয়ে সেই রাস্তা পারাপার করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই সমস্যা বহুদিনের। আসানসোল স্টেশনের ব্যাপকভাবে উন্নতি করা হচ্ছে। কিন্তু তার সঙ্গে রাস্তাগুলির ওপরেও নজর দেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন- আইএসএল-এর শুরুতেই ফিরল ডুরান্ডের আতঙ্ক! ২ গোলে এগিয়েও আটকে গেল মোহনবাগান

রাস্তাগুলির এই অবস্থার কারণে বৃষ্টিপাত হলেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যদি রাস্তা ঠিক না থাকে, তাহলে মানুষ স্টেশনে পৌঁছবেন কী করে! তাই অবিলম্বে রাস্তা মেরামতির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

নয়ন ঘোষ

Bangla Video: জমা জলের যন্ত্রণায় কাহিল, শেষে রাস্তা কেটে নিকাশির ব্যবস্থা নাগরিকদের

উত্তর ২৪ পরগনা: জমা জলের যন্ত্রণায় রাস্তা কেটে জল নিকাশি ব্যবস্থা করল পৌরনাগরিকরা। উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট পৌরসভার ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে দীর্ঘ কয়েক দিন ধরে জল জমে রয়েছে। একদিকে বিষাক্ত সাপ পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ছে অন্যদিকে জমা জলে রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ঘরের মধ্যে জল ঢুকে রয়েছে তা এখনও বের হয়নি। নিকাশি ব্যবস্থা অত্যন্ত বেহাল দশা তাই এবার বসিরহাট ও মালঞ্চ রোডের ট্যাটরা মিত্র পাড়ায় রাস্তা কেটে জল বের করার ব্যবস্থা করল এলাকার বাসীরা।

লাগাতার বৃষ্টির ফলে দীর্ঘদিন ধরে জল জমে যাওয়ার এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল না থাকায় বাধ্য হয়ে তারা পিছের রাস্তা কেটে দিয়ে জল নিকাশির ব্যবস্থা করল। এর ফলে যান চলাচলের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন: দোল দোল দোল, তোল পাল তোল’- নৌকা শুধু এক রকম নয়, ইলিশ মাছ ধরতেও লাগে আলাদা নৌকা, দেখুন

এদিন, ২০নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রতিনিধি পরিমল মজুমদার বলেন, এই জায়গাটা অত্যন্ত নিচু একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার মানুষেরা এই অভিযোগটা করেছেন। কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে সেটা আমাদের নাগালের বাইরে চলে যায়। তবে খুব শীঘ্র নিকাশি ব্যবস্থা ভাল হোক, নতুনভাবে সাজানো হোক এলাকা পরিকল্পনা তবেই হয়ত প্রতিবছরের এই জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারে সাধারণ মানুষ।

Bangla Video: বৃষ্টি কবে থেমে গেছে, এখন‌ও জল থৈ থৈ ক্লাসরুম! স্কুলে নেই টেবিল-বেঞ্চ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: স্কুল খোলা থাকলেও ক্লাস করতে পাচ্ছে না ছাত্রছাত্রীরা। এই অবস্থায় পড়াশোনা শিকেয় উঠেছে। বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভার বেড়ালিয়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমনই বেহাল দশা। জলবন্দি স্কুল। জল পেরিয়ে স্কুলে আসতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। স্কুলের দুটো ক্লাসরুমেই নেই কোন‌ও চেয়ার-বেঞ্চ! আর তাই বাধ্য হয়ে মেঝেতে বসেই পড়াশোনা করতে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের।

সম্প্রতি নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে এই স্কুলের মধ্যে জল ঢুকে গিয়েছিল। তাই বন্ধ ছিল পঠন পাঠন। কিন্তু বৃষ্টি থেমে গেলেও এখনো স্কুলের মেঝে থেকে জল দূর হয়নি। তাই পড়ুয়াদের কী করে পড়াবেন ভেবেই কুল পাচ্ছেন না স্কুলের শিক্ষকরা। তবে এই অবস্থা এবছর প্রথম এমনটা নয়। প্রতি বছর বর্ষাকাল এলেই এই ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় এই স্কুলকে।

আর‌ও পড়ুন: বাঁকে ফুটে উঠছে শিল্পের কারুকাজ, দেখতে শ্রাবণ মাসে রাস্তার দুই ধারে উপচে পড়ছে ভিড়

মাঝেমধ্যেই ক্লাস না করতে পারায় ছুটি দিয়ে দিতে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের। স্কুল খোলা থাকলেও হাঁটু জল পেরিয়ে অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে আসা সম্ভব হয় না। অভিভাবকদের অভিযোগ, বারবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও এই সমস্যার কোন‌ও সুরাহা হয়নি। কোনরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। এই অবস্থায় বেশিরভাগ অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চাইছেন না। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। দ্রুত এই অবস্থার উন্নতি না হলে গোটা স্কুলের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়ে যেতে পারে বলে এখানকার শিক্ষকদের আশঙ্কা।

সুমন সাহা

Water Logged: বৃষ্টি থেমে গেলেও এখনও জলের তলায় কালনার বিখ্যাত ভবা পাগলার মন্দির

পূর্ব বর্ধমান: সেই অর্থে আর নতুন করে বৃষ্টি না হলেও এখনও জল জমে রয়েছে কালনার একাংশে। খোদ মন্দিরের শহরেই এখনও জলমগ্ন এক প্রাচীন মন্দির। ভাগীরথীর পাড়ে অবস্থিত এই শহরটিকে অনেকেই মন্দিরের শহরের আখ্যা দিয়ে থাকেন। এই শহরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক প্রাচীন মন্দির ও স্থাপত্য। যে সকল স্থাপত্য ও মন্দিরগুলি দেখতে সারা বছরই ভিড় জমান দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক। কিন্তু বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরেও মন্দির জলমগ্ন হয়ে থাকার বিষয়টি পর্যটকদের কাছে নেতিবাচক বার্তা দিতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

বর্তমানে জলমগ্ন কালনা শহরের ভবা পাগলার মন্দির ও সমাধি স্থল। কালনার ভবা পাগলার মন্দির ও সমাধিস্থল পর্যটকদের কাছে এক বিশেষ আকর্ষণীয় স্থান। কিন্তু বর্তমানে সেখানে অপরিষ্কার জল পেরিয়েই মন্দিরে প্রবেশ করতে হচ্ছে স্থানীয় মানুষ ও দর্শনার্থীদের। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা বাসুদেব চক্রবর্তী জানান, প্রতিবছরই আমরা এই অবস্থার মধ্যে এসে পড়ি। এর জন্য কেউ কোনও ভূমিকা নিচ্ছে না। পাশেই আমার বাড়ি। আমার বাড়ি জলের তলায়। সাত দিন ধরে আমি বাড়ি ছাড়া। পঞ্চায়েতের কারোর কোনও দেখা নেই। কেউ কোনও সাহায্য করছে না। সাত দিন ধরে আমরা এই পরিস্থিতির মধ্যেই দিন কাটাচ্ছি। নিজেরা চেষ্টা করে যতটা পারছি জল সরিয়ে দিচ্ছি।

আর‌ও পড়ুন: অটোকে ধাক্কা মেরে ধান ক্ষেতে উল্টে গেল সরকারি বাস, আহত ১৫ যাত্রী

কালনা শহরে অবস্থিত এই মন্দিরটি দেখতে অগণিত দর্শনার্থীরা আসেন প্রতিদিন। নর্দমার নোংরা জল পেরিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে হ‌ওয়ায় ক্ষুব্ধ দর্শনার্থী থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষ সকলেই। গত প্রায় আট দিন যাবৎ জল জমে ঐতিহ্যবাহী এই মন্দিরে। পাশাপাশি, দিন কয়েক আগের ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে এই মন্দির সংলগ্ন বেশ কিছু বাড়িও। স্থানীয়দের কথায়, বারংবার পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি।

এই অভিযোগ প্রসঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, যদি কেউ বলে থাকে পঞ্চায়েত এই ব্যাপারে উদাসীন তাহলে সে মিথ্যে কথা বলেছেন। তার কারণ যেদিন থেকে ওই জায়গায় জল জমেছে সেদিন থেকে এখনও পর্যন্ত পাম্পের মাধ্যমে আমরা জল বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। যারা অভিযোগ করছে সম্পূর্ণ ফালতু অভিযোগ। ওই জায়গার সমস্যা আজকের নয়, দীর্ঘদিনের সমস্যা।

প্রসঙ্গত এক সপ্তাহ আগের মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমান তথা কালনার একাধিক জায়গা। জল জমে যায় রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বাজার, বাড়ি, মন্দির সর্বত্রই । জল জমেছিল কালনার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ি কমপ্লেক্সের কিছু মন্দিরেও। সেরকমই এখনও জলমগ্ন ভবা পাগলার মন্দির ও সমাধিস্থল চত্বর। পর্যাপ্ত নিকাশি ব্যবস্থার অভাবেই এই পরিস্থিতি বলে মত স্থানীয়দের। আপাতত, দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের আশায় এলাকাবাসী থেকে দর্শনার্থী প্রত্যেকেই।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Fishing: কারোর পৌষ মাস, কারোর সর্বনাশ! জলে ডোবা এলাকায় মাছ ধরার হিড়িক

কারোর পৌষমাস তো কারোর সর্বনাশ। বৃষ্টিপাতের জেরে জলমগ্ন পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গা। তাতে ক্ষতি হয়েছে বহু মানুষের। আবার দীর্ঘদিন পর ভাল করে বৃষ্টি হ‌ওয়ায় অনেকেই খুশি।
কারোর পৌষমাস তো কারোর সর্বনাশ। বৃষ্টিপাতের জেরে জলমগ্ন পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গা। তাতে ক্ষতি হয়েছে বহু মানুষের। আবার দীর্ঘদিন পর ভাল করে বৃষ্টি হ‌ওয়ায় অনেকেই খুশি।
তবে এই জলমগ্ন এলাকা থেকেই লক্ষ্মী লাভ হচ্ছে এক শ্রেণির মানুষের। বিভিন্ন জলমগ্ন জায়গাতেই শুরু হয়ে গিয়েছে মাছ ধরার তোড়জোড়।
তবে এই জলমগ্ন এলাকা থেকেই লক্ষ্মী লাভ হচ্ছে এক শ্রেণির মানুষের। বিভিন্ন জলমগ্ন জায়গাতেই শুরু হয়ে গিয়েছে মাছ ধরার তোড়জোড়।
শৈলেশ্বর মাঝি নামে এক ব্যক্তি বলেন, এখন সবাই জাল কিনছে আর মাছ ধরছে। প্রচুর মাছও পাওয়া যাচ্ছে। রুই, কাতলা, মিরিক, দেশি মাগুর এইসব মাছ পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রিও করছি, আবার নিজেরাও খাচ্ছি।
শৈলেশ্বর মাঝি নামে এক ব্যক্তি বলেন, এখন সবাই জাল কিনছে আর মাছ ধরছে। প্রচুর মাছও পাওয়া যাচ্ছে। রুই, কাতলা, মিরিক, দেশি মাগুর এইসব মাছ পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রিও করছি, আবার নিজেরাও খাচ্ছি।
মাছ ধরার সরঞ্জাম বিক্রি করেন এরকম একজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, এই টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তাঁদের দোকানে এখন ব্যাপক পরিমাণে মাছ ধরার জাল বিক্রি হচ্ছে। খেপলা জাল সবথেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে। ভিড় লেগেই থাকছে সবসময়।
মাছ ধরার সরঞ্জাম বিক্রি করেন এরকম একজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, এই টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তাঁদের দোকানে এখন ব্যাপক পরিমাণে মাছ ধরার জাল বিক্রি হচ্ছে। খেপলা জাল সবথেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে। ভিড় লেগেই থাকছে সবসময়।
জেলার প্রায় সর্বত্রই এই মাছ ধরার ছবি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জলমগ্ন জায়গাতেই জোর কদমে চলছে মাছ ধরার কাজ। অনেকে সেই মাছ ধরে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিক্রিও করছেন। পথচলতি অনেকেই একবার হলেও দাঁড়িয়ে দেখছেন এই মাছ ধরার দৃশ্য।বনোয়ারীলাল চৌধুরী
জেলার প্রায় সর্বত্রই এই মাছ ধরার ছবি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জলমগ্ন জায়গাতেই জোর কদমে চলছে মাছ ধরার কাজ। অনেকে সেই মাছ ধরে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিক্রিও করছেন। পথচলতি অনেকেই একবার হলেও দাঁড়িয়ে দেখছেন এই মাছ ধরার দৃশ্য।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Viral Video: জলে ডুবে মন্দির, দুই ভক্তের কাঁধে চেপে পুজো করতে আসছেন পুরোহিত!

পূর্ব বর্ধমান: দুদিনের টানা বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সেই জল যন্ত্রণার মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে ধরা পড়ল এক ভিন্ন ছবি। মন্দির সহ গোটা এলাকার কার্যত জলের তলায় চলে যাওয়ায় দুই ব্যক্তির কাঁধে চেপে মন্দিরে যাচ্ছেন পুরোহিত! পুজো আচ্চায় যাতে খামতি না হয় তা নিশ্চিত করতেই এমন প্রচেষ্টা। এমনই দৃশ্য দেখা গেল গুষকরা শহরের রটন্তি কালী মন্দিরে।

দিন কয়েকের টানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকা। বেশকিছু জায়গায় জল জমেছে ঘরবাড়ি থেকে রাস্তাঘাট সর্বত্রই। গুসকরা শহরের অবস্থাও তেমনই।‌ এখানকার রটন্তি কালী মন্দির বর্তমানে জলমগ্ন। পায়ে হেঁটে মন্দির পর্যন্ত যাওয়া দুষ্কর ব্যাপার। ভারী বৃষ্টি ও নদীর জলস্তর বৃদ্ধির কারণেই জল জমে গিয়েছে রটন্তি কালী মন্দিরের চারপাশে। কিন্তু তাতে কি? এই পরিস্থিতিতেও ছেদ পড়েনি মন্দিরের পুজোর কাজে।

আর‌ও পড়ুন: নিষেধকে ‘থোড়াই কেয়ার’, ভরা দামোদরে স্নান করতে নেমে নিখোঁজ যুবক

এলাকার দুই ব্যক্তির কাঁধে চড়েই মন্দিরে পুজো করতে যাচ্ছেন পুরোহিত। শুনতে অবাক লাগলেও আদতে এটাই সত্যি। এই প্রসঙ্গে এই মন্দিরের পুরোহিত বলেন, পাশেই কুনুর নদী আছে। জলমগ্ন হয়ে রয়েছে মন্দির। তাই আমার এই দুই সঙ্গী আমাকে কাঁধে করে মন্দিরে নিয়ে আসছে এবং আমি পুজো করছি। মন্দিরে পুজো হয়েছে এবং হবে, যতই যাই হয়ে যাক পুজো বন্ধ হবে না।

গুসকরা শহরে অবস্থিত এই মন্দিরের একদম পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে কুনুর নদী। আর ভারী বৃষ্টির ফলে সেই নদীর জল উপচে পড়ে একেবারে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে মন্দির ও সংলগ্ন এলাকা। রাস্তা থেকে মন্দিরটি বেশ কিছুটা নিচে অবস্থিত। তাই এমন অবস্থা।

প্রসঙ্গত, গুসকরা শহরের বাসিন্দাদের কাছে অন্যতম জাগ্রত এই কালী মন্দির। প্রতিবছর এই মন্দিরের বাৎসরিক পুজোকে ঘিরে প্রায় এক মাসব্যাপী বিরাট মেলা ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষের সমাগম হয়। কিন্তু বর্তমানে কুনুরের জলে জল থই থই অবস্থা এই মন্দিরের। কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, সেই দিকেই তাকিয়ে আছেন এলাকাবাসীরা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Bangla Video: বৃষ্টি হয়নি তবু বাড়ছে জলস্তর! আজব কাণ্ডে আতঙ্কে এখানকার বাসিন্দারা

পূর্ব বর্ধমান: গত দু’দিনে হয়নি বৃষ্টিপাত। কিন্তু বৃষ্টি না হলেও জল বাড়ছে পূর্ব বর্ধমানের এই এলাকায়। পূর্ব বর্ধমানের কালনার বাঘনাপাড়া স্টেশন সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় বেশ কয়েকটি পাড়া এখনও পর্যন্ত জলমগ্ন। বৃষ্টির জেরে উক্ত এলাকায় জল জমেছিল ঠিক কথা। কিন্তু সেই জমা জলের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। কালনার বাঘনাপাড়া স্টেশন সংলগ্ন উক্ত পাড়াগুলির কাছেই রয়েছে বেহুলা নদী। ডিভিসি জল ছাড়ার কারণে যেন নতুন করে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে বেহুলা নদী।

এই প্রসঙ্গে শুভঙ্কর মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এখানে আমাদের প্রায় সবই জলমগ্ন। এখানে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টা পরিবার জলমগ্ন অবস্থার মধ্যে বসবাস করছে। তার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ টা পরিবার ঘর ছাড়া। যাদের কাঁচা বাড়ি তারা সকলেই ঘর ছাড়া। জল জমে থাকার কারণে সাপ, নানা ধরনের জীবজন্তু নিয়ে সকলেই আতঙ্কে ভুগছে। খবরের মাধ্যমে জেনেছি মাইথন এবং ডিভিসি জল ছাড়ছে। জলাধারের খালের সঙ্গে বেহুলা নদীর যোগাযোগ রয়েছে বলেই জল বাড়ছে। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো যে বেশিরভাগ লোকই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: শুশুনিয়ার ঝর্ণার জল নিয়ে পথ পাড়ি, শিবলিঙ্গে জল ঢালতে ব্যাপক উন্মাদনা

এছাড়াও স্থানীয়দের দাবি, জমা জলে বাড়ছে সাপের উপদ্রব। বিষধর সাপের ভয়ে মানুষজন চলাফেরা কার্যত বন্ধ করে দিয়েছে। আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা জলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। জানা গিয়েছে, স্থানীয়রা এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কোনও সাহায্য পাননি। অগত্যা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে বাঘনাপাড়া পঞ্চায়েতের গ্রামবাসীরা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী