পাট জাঁক 

Jute Farmers Crisis: চরম সমস্যায় দক্ষিণবঙ্গের পাট চাষিরা, কারণ জানলে…

পূর্ব বর্ধমান: পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে এবার চরম সমস্যায় পড়েছেন পাট চাষিরা। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার কারণে খালবিল, পুকুর, নালাতে সেভাবে জল নেই। ফলে কাঁচা পাটের জাঁক দিতে গিয়ে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে চাষিদের। বাধ্য হয়ে চাষিদের নিজের নিজের জমিতেই খাল কেটে জল ভরে পাটের জাঁক দিতে হচ্ছে।

পূর্ব বর্ধমান জেলা রাজ্যের ধানের গোলা নামে পরিচিত হলেও জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় পাট চাষ’ও হয়। কিন্তু এবার সমস্যায় পড়েছেন জেলার পাট চাষিরা। এই প্রসঙ্গে সুমন দাস নামের এক পাট চাষি বলেন, পাট চাষে সমস্যা শেষ নেই। কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে বিলে জল নেই, জল থাকলে একসঙ্গে পাট নিয়ে আসা যেত। কিন্তু এখন ডোবা নিয়ে বিঘা প্রতি আড়াই হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে পাট জাঁক দিতে হচ্ছে। এইভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে আমাদের চাষ করা বন্ধ করে দিতে হবে। প্রত্যেক বছর আমাদের এই সমস্যা হয়। যখন আমাদের পাট ওঠে তখন পাটের দাম কমে যায়। মাস তিনেক পর আবার দাম বাড়ে, কিন্তু আমাদের পাট রাখার জায়গা নেই।

আরও পড়ুন: আবার তলিয়ে যাবে কপিলমুনির আশ্রম! সামনের রাস্তায় ভাঙনে আতঙ্কিত স্থানীয়রা

চাষিদের কথা অনুযায়ী, পাটে জাঁক দেওয়ার জন্য বেশি টাকা ভাড়া দিয়েও মিলছে না পুকুর। বৃষ্টির অভাবে পাট পচানো নিয়ে বেজায় দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে চাষিদের মধ্যে। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা জুড়ে প্রায় ৯৭৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়। এরমধ্যে কাটোয়া-১ ব্লকে প্রায় ১৭০, কাটোয়া-২ ব্লকে প্রায় ৪৬৫, কেতুগ্রাম-১ ব্লকে প্রায় ৬৫, কেতুগ্রাম-২ ব্লকে প্রায় ২১৫ ও মঙ্গলকোটে প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে গড়ে পাট চাষ হয় প্রতি বছর। আর পূর্বস্থলী-২ ব্লকে প্রায় চার হাজার হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়। কাটোয়া ২ ব্লকে অগ্রদ্বীপ, জগদানন্দপুর, গাজিপুর পঞ্চায়েত এলাকায় বেশি পাট চাষ হয়। কেতুগ্রাম-২ ব্লক এলাকায় সীতাহাটি, মৌগ্রাম প্রভৃতি অঞ্চলে বেশি পাট চাষ হয়। কিন্তু এবার বৃষ্টির অভাবে চরম সঙ্কটে পড়েছেন এখানকার চাষিরা।

এই বিষয়ে পাট চাষি সজল দাস বলেন, আমারা চাষি মানুষ, চাষ করেই খেতে হবে, জমি ফেলে রাখা যাবে না। কিন্তু বৃষ্টি হলে জল থাকলে আমাদের খরচ অনেকটা কম হত। কিন্তু এখন আমাদের অনেক বাড়তি খরচ হচ্ছে। সব মিলিয়ে সঙ্কট ক্রমশ বাড়ছে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী