ভলিবল

Local Sports: দু-একটি খেলা ছাড়া আর কিছুতে আগ্রহ নেই তরুণ প্রজন্মের, চিন্তায় ক্রীড়াবিদরা

নদিয়া: ১৮ টি বিষয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনা থাকলেও বিদ্যালয়ে দু-একটি খেলা ছাড়া অধিকাংশতেই আগ্রহ নেই ছাত্র-ছাত্রীদের। ফলে দুশ্চিন্তায় ক্রীড়া সংস্থা।রানাঘাট মহকুমা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংস্থার পরিচালনায় বার্ষিক ভলিবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় শান্তিপুর শ্যামবাজার যুবসংঘের মাঠে। জানা গিয়েছে, এই মহাকুমায় একমাত্র শান্তিপুর মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় এবং শান্তিপুর মিউনিসিপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্ররা অংশগ্রহণ করে বালক বিভাগে। জেলার বাকি মহকুমা গুলিতেও কোথাও ফাইনাল হয়ে গেছে, কোথাও বা হতে চলেছে। মহকুমা স্তরের চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে আগামীতে হতে চলেছে জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা।

ক্রিকেট, ভলিবল, ফুটবল সহ মোট ১৮ টি খেলার উল্লেখ থাকলেও উল্লিখিত বিষয়গুলি ছাড়া আর কোনও খেলার জন্য বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ চোখে পড়েনি। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত কর্তৃপক্ষ। আগামীতে অন্যান্য খেলাগুলোর প্রচার এবং প্রসার ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও বিশেষ ভূমিকা নিতে বলা হয়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে।

আর‌ও পড়ুন: শিক্ষকের গাফিলতিতে স্কুলে বন্ধ হয়ে গেল NCC-এর ট্রেনিং!

বিদ্যালয়ের খেলাগুলি বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত না হওয়া নিয়ে অভিভাবক মহলে রয়েছে প্রশ্ন। অন্যদিকে আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁরা শুধুমাত্র খেলাধুলো ভালবাসার কারণে এবং ছেলে-মেয়েদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য মাঠ এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনা দিয়ে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনওরকম আর্থিক সহযোগিতা পাওয়া যায় না।

যদিও আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক শিক্ষক রাজেন্দ্র নারায়ণ পাল জানান, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কাউন্সিল ফর স্কুল গেমস অ্যান্ড স্পোর্টসের পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন হওয়া বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা অনুযায়ী রাজ্য স্তর থেকে জেলা স্তরে একটি ফান্ড দেওয়া হয়। যদিও ১৮ টি বিষয়ে এবং বিভিন্ন মহকুমার নিরিখে তা হয়ত খুবই সামান্য। তবে সকলের সহযোগিতায় এবং বিভিন্ন ক্লাবগুলির আন্তরিক সদিচ্ছায় সফলতা লাভ করে। তবে কবাডি, যোগাসন, সুইমিং এই ধরনের খেলা নিয়ে আগামীতে ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রচেষ্টা চলছে সরকারিভাবে।

মৈনাক দেবনাথ