Tag Archives: Local sports

Weightlifter: অভাবকে সঙ্গে নিয়েই স্বপ্ন বুনছেন যুবক

পশ্চিম মেদিনীপুর: অভাব কোনওদিন বন্ধ করতে পারেনি স্বপ্ন দেখাকে। যে পরিমাণ ওজন তিনি দু’হাতে তুলতে পারেন তার থেকেও বেশি তিনি স্বপ্ন বুনতে পারেন। সংসারে অভাব। স্ত্রী, বাচ্চা, সংসার নিয়ে সারাদিন বেশ কষ্টই কাটে তাঁর। কাঠ দিয়ে যেমন মনের মত সুন্দর সুন্দর ফার্নিচার গড়ে তুলতে পারেন তেমনই স্বপ্নকেও তিনি এক একটি দিন গড়ে তুলছেন নিজের মত করে।

পেশাগতভাবে তিনি কাঠের কাজ করে সংসার চালান। কিন্তু তাঁর স্বপ্ন বড় ওয়েট লিফটার বা ভারোত্তোলক হওয়া। ওয়েট লিফটিং করে দেশকে পৌঁছে দেওয়া দশের কাছে। কিন্তু বাধা সামর্থ্য। তবে অদম্য তাঁর মনের জোর। সমাজই তাঁর অনুপ্রেরণা। মানুষের ভালোবাসা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাকে।

আর‌ও পড়ুন: হজে যাওয়ার আগে বাধ্যতামূলকভাবে মানতে হবে এই নিয়ম

পশ্চিম মেদিনীপুরের এমনই এক কৃতি সন্তান কার্তিক ভূঁইয়া। তিনি খেলেছেন জেলা এবং রাজ্যের একাধিক টুর্নামেন্ট। ঝুলিতে রয়েছে পুরস্কারও। কিন্তু সেই পুরস্কার-সম্মান তো আর সংসার চালাবে না! সংসার চালাতে কাঠের কাজের দিন মজুরি করেন। ছোট থেকেই তাঁর নেশা ওয়েট লিফটিং করা। স্কুল জীবন থেকেই তিনি ধরেছেন সংসারের হাল। ২০০০ সাল থেকে নিজেকে সুস্থ রাখার তাগিদেই শুরু ওয়েট লিফটিং।সেই মতনিজেকে এক এক করে তুলে ধরেছেন। সকাল থেকে রাত এক করে স্বপ্ন দেখে যাচ্ছেন তিনি।

রঞ্জন চন্দ

Football Trial: জেলার হাত ধরে ময়দানে সুদিন ফিরবে? আশা দেখাচ্ছে এই মফস্বল

পূর্ব মেদিনীপুর: কলকাতার ময়দানে নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরবে জেলার ছেলেরা। জেলার ফুটবল প্রতিভারা এবার নিজেদের প্রতিভার ছাপ রাখবে কলকাতার বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে। এই স্বপ্ন পূরণ করতে জেলার উঠতি ফুটবলারদের পাশে দাঁড়াল পাঁশকুড়ার একটি ক্লাব। ফুটবলারদের কলকাতার মাঠে সুযোগ করে দিতে তাদেরই সহযোগিতায় আয়োজিত হল ট্রায়াল। যেখানে কলকাতার নামিদামি ক্লাবের ফুটবল প্রশিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন। আর সেই কোচদের সামনেই নিজেদের প্রতিভা মেরে ধরলেন জেলার একঝাঁক শিক্ষানবিশ ফুটবলার।

আর‌ও পড়ুন: এই ঘাস গরুর খিদে মুহূর্তে মিটিয়ে দেয়, দুধ হয় প্রচুর

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া শহরের এই ক্লাব সারা বছর ধরেই এলাকার বিভিন্ন বয়সী ছেলেদের ফুটবলের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এর পাশাপাশি ওইসব প্রশিক্ষণরত উঠতি ফুটবলারদের কলকাতা মাঠে খেলার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। তাদেরই উদ্যোগে প্রথমবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়াতে হল ফুটবল ট্রায়াল। পাঁশকুড়ার পিডব্লিউ মাঠে এই ফুটবল ট্রায়াল আয়োজিত হয়। এই ট্রায়ালের হাত ধরে জেলার ৩১ জন খুদে ফুটবলার সুযোগ পেল কলকাতার বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলার।

এ বিষয়ে ওই ক্লাবের সভাপতি সন্দীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে একটি ফুটবল ট্রায়াল আয়োজন করা হয়। জেলা থেকে ফুটবল প্রতিভা তুলে আনতে এই ট্রায়াল আয়োজন করা হয়েছিল। দেড়শোরও বেশি ফুটবলার অংশগ্রহণ করেছিল। কলকাতার পাঁচটি ক্লাবের কোচেরা উপস্থিত ছিলেন। দেড়শোজন উঠতি ফুটবলের মধ্যে থেকে ৩১ জনকে তাঁরা বেছে নিয়েছেন। আগামী দিনে ওইসব ফুটবলারেরা কলকাতার মাঠে বড় ক্লাবের হয়ে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি খেলার সুযোগ পাবে।

সৈকত শী

History in Football: একই টুর্নামেন্টে মাঠে নামল মা ও ছেলে! পায়ের জাদুতে মাত সবাই

উত্তর ২৪ পরগনা: মা ও ছেলের একই ফুটবল টুর্নামেন্টে খেললেন। আর তা চাক্ষুষ করল সুন্দরবনবাসী। এমনই চমকপ্রদক ঘটনায় সকলেই যেমন উল্লসিত তেমনই প্রবীণরা কিছুটা হলেও বিস্মিত হয়ে গিয়েছেন।

নদী বেষ্টিত এলাকা সুন্দরবন। এই এলাকা ঘিরে কতই না গল্প লুকিয়ে আছে। প্রত্যন্ত এলাকার জনজীবনে উঁকি মারলে জীবন সংগ্রামের লড়াইয়ের পাশাপাশি দেখা মিলবে বিনোদনের মাধ্যমগুলির অভিনব গল্প। এই প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে আজও বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ফুটবল খেলা। আর তাতেই একত্রে অংশগ্রহণ করল মা ও ছেলে।

আর‌ও পড়ুন: এই প্রকল্প দিনের আলো দেখলে পাল্টে যেত বাঁকুড়া

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবন এলাকার বিশপুরে আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করলেন মা ও ছেলে। সন্দেশখালির কালিনগরের বাসিন্দা মৌমিতা সরদার ও ছেলে সৌম্যদীপ সরদার একই সঙ্গে ফুটবল প্র্যাকটিস করেন। আবার কখনও কখনওটুর্নামেন্ট এলে একই টুর্নামেন্টে খেলার ডাকও পান। সুন্দরবন এলাকায় হিঙ্গলগঞ্জের বিশপুরে আদিবাসী সমাজকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত মহিলা ফুটবল টুর্নামেন্টে মা ও ছেলের পায়ের জাদু দেখল এলাকার মানুষ।

যেখানে প্রত্যন্ত এলাকায় একাধিক সামাজিক বেড়াজলের প্রতিবন্ধকতার মাঝে বারে বার পিছুপা হতে হয়, সেখানে মা ও ছেলের একসঙ্গে ফুটবল খেলা চাক্ষুষ করল এলাকার মানুষ। মা ও ছেলের খেলার জুটি দেখতে পেয়ে খুশি অত্যন্ত এলাকার ফুটবল প্রেমীরা।

জুলফিকার মোল্যা

Local Football: বিশ্বমানের ফুটবল প্রতিভা ডুয়ার্সে! যার খোঁজে ছুটে এলেন খোদ…

জলপাইগুড়ি: ক্রীড়া ক্ষেত্রে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলার নারীরা। ছোট্ট শহর জলপাইগুড়ির বেশ ক’জন নারীও খেলাধুলোর ময়দানে নিজেদের সাফল্যের ছাপ রেখেছে। দেশের নানা খেলার ময়দানে এখন নারীদের সাফল্য চোখে পড়ার মত। তবুও আজ‌ও মেয়েদের অনেক বাধার মুখে পড়তে হয়। তারই মধ্যে জলপাইগুড়ি তথা ডুয়ার্সকে আশার আলো দেখাচ্ছে ফুটবল।

বাংলার মেয়েরা দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে খেলায় এগিয়ে আসুক, সেই লক্ষ্যে মহিলা ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে জলপাইগুড়িতে আয়োজিত হচ্ছে অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল টুর্নামেন্ট। স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (SAI)-এর উদ্যোগে জলপাইগুড়ি বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গনে ফুটবল খেলার আসর। মহিলাদের এই ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে কলকাতা, লাক্ষাদ্বীপ, কোকরাঝাড়, ইম্ফল, তিনসুকিয়া এবং সোনেলগাঁও কেন্দ্রের মহিলা ফুটবল দল।

আর‌ও পড়ুন: যমে-মানুষে কয়েক মিনিটের টানাটানি! রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে…

মূলত মহিলা ফুটবলারদের অগ্রগতির লক্ষ্যে ও ভারতীয় মহিলা ফুটবলকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে মহিলাদের জন্য বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে সাই। গ্রাম-গঞ্জ, শহরের সব মেধাবী প্রতিভাবান মহিলা ফুটবলারদের একটি প্ল্যাটফর্ম দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন মহিলা ফুটবলার শুক্লা দত্ত তাঁর নিজের জীবনের বাধা বিপত্তি পেরিয়ে সফলতা অর্জনের কথা বলে সবাইকে অনুপ্রেরণা দেন। ভবিষ্যতে যাতে জলপাইগুড়ি জেলায় মহিলা ফুটবলারদের তথা ক্রীড়াবিদদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয় তার আবেদন জানান তিনি।

সুরজিৎ দে

Local Cricket: তীব্র গরমের মধ্যেই মাঠ কাঁপাল ‘ওঁরা’, পুরোটা জানলে….

নদিয়া: তীব্র দাবদাহকে পেছনে ফেলে ভর দুপুরে ক্রিকেটে মাঠ কাঁপাল অনূর্ধ্ব ১৬ মহিলা ও পুরুষ ক্রিকেটারা। অনূর্ধ্ব ১৬ মহিলা ক্রিকেট ও অনূর্ধ্ব ১৬ পুরুষ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট পরিচালনায় ফুলিয়া আলো স্পোর্টস অ্যাকাডেমি। মহিলাদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হল হুগলি জিরাট ক্রিকেট অ্যাকাডেমি ও রানার্স বাদকুল্লা সুরবিস্থান যুবক সংঘ। পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন রানাঘাট ফ্রেন্ডস ক্লাব। রানার হয়েছে শান্তিপুর ডি রয় কোচিং ক্যাম্প।

আর‌ও পড়ুন: বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে ভূগর্ভস্থ জল নিয়ে সঙ্কটবার্তা

এই টুর্নামেন্টে রাজ্যস্তরের মহিলা ক্রিকেটাররা অংশগ্রহণ করেছিল। বাংলার অধিনায়ক মিতা পালের সঙ্গে ঝুমিয়া খাতুন, বর্ণালী তামেলি, রূপা মণ্ডল সহ আরও একঝাঁক মহিলা ক্রিকেটাররা খেলেন। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই দাপিয়ে মাঠ জুড়ে খেলল পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেট দল।

দুপুরে এতটাই গরম পড়ছে যে মানুষ বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছে। কিন্তু এই ক্রিকেটাররা নিজেদের এমন ভাবেইগড়ে তুলেছে যে তাপপ্রবাহের মধ্যেও তাঁরা নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটাই তুলে ধরেন সকলের সামনে। ক্রিকেটারদের দক্ষতায় মুগ্ধ হন উপস্থিত দর্শকরা।

মৈনাক দেবনাথ

Bodybuilder: বডি বিল্ডিংয়ে বাকি ভারতকে মাত মালদহের! বিরাট সাফল্য বাংলার জেলার

মালদহ: ওভার অল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে নজির গড়লে মালদহের রানা হোসেন। বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতায় এর আগেও একাধিক সাফল্য পেয়েছেন এই যুবক। এবার ঝাড়খণ্ডে আয়োজিত জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় ৭০ কেজি বিভাগে রুপো জিতেছেন তিনি। পাশাপাশি ফিজিক্স বিভাগে ওভার অল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রানা হোসেন।

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যারা সোনা জিতে থাকে তাদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এবার সেই প্রতিযোগিতায় দেশের সব বডি বিল্ডারদের পিছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হলেন মালদহের রানা। ওভার অল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে তিনি। এই সাফল্য প্রসঙ্গে রানা হোসেন বলেন, আড়াইশো জন এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে সোনা জয়ীদের নিয়ে অল ওভার চ্যাম্পিয়নশিপ হয়। সেখানে সফল হওয়াতেই এসেছে সোনার মেডেল। তবে আর্থিক সমস্যায় কীভাবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন রানা।

আর‌ও পড়ুন: রামনবমীর আগে ব্যাপক কেনাকাটা, শিলিগুড়িতে গেরুয়া পণ্যের চাহিদা তুঙ্গে

জেলার ছেলের এমন সাফল্যে খুশি মালদহবাসী শহরের কোঠাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা রানা হোসেন। বাবা পেশায় সবজি বিক্রেতা। নিজে মোবাইল রিপেয়ারিংয়ের কাজ করেন। ছোটবেলা থেকেই বডি বিল্ডিং শেখার ইচ্ছে। প্রথমে ক্যারাটে তারপর বডি বিল্ডিং শুরু করেন। গত চার বছরে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন বডি বিল্ডিংয়ে। সকলেই চাইছেন সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে এসে রানাকে সহযোগিতা করুক। তাহলে বিশ্বের দরবারেও জেলার মুখ উজ্জ্বল করতে পারবেন তিনি।

হরষিত সিংহ

Local Sports: জিমনাস্টিকে পরপর দুই বছর দেশের মধ্যে দ্বিতীয় নদিয়ার মেয়ে

নদিয়া: জিমন্যাস্টিকে তাক লাগানো সাফল্য এই বাংলার মেয়ের। পরপর দু’বছর দেশের মধ্যে দ্বিতীয় হলেন নদিয়ার দিয়া। অনূর্ধ্ব-১২ জাতীয় জিমন্যাস্টিক প্রতিযোগিতায় এই চমকে দেওয়া সাফল্য অর্জন করেছে বাংলার মেয়ে। উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদের খিলগাঁও-এ জাতীয় সাব-জুনিয়র ২০২৪ আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক চ্যাম্পিয়নশিপে এবারেও দ্বিতীয় হয়েছে নদিয়ার দিয়া হালদার।

নদিয়ার শিমুরালি সংস্কৃতি সংঘে জিমন্যাস্টিক্স প্র্যাকটিস করে দিয়া হালদার। তার এই সাফল্য বাংলার মানুষের কাছে গর্বের। এবারের জাতীয় প্রতিযোগিতায় অলরাউন্ড বিভাগে দিয়ার সংগ্রহীত পয়েন্ট ছিল ৪৬.৫০। প্রথম স্থানাধিকারীর থেকে মাত্র ০.৩৫ পয়েন্ট কম। এছাড়াও সে ব্যক্তিগত ইভেন্টে আন-ইভেন বারে তৃতীয় হয়েছে, ব্যালান্সিং বিমে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। এদিকে এই প্রতিযোগিতায় টিম ইভেন্টে প্রথম হয়েছে বাংলা। ফলে একটি স্বর্ণপদকও পেয়েছে দিয়া।

আর‌ও পড়ুন: হলুদ চাষ করে নিজের পায়ে দাঁড়ান

এবারের জাতীয় প্রতিযোগিতায় নদিয়ার এই কৃতি কিশোরী একটি সোনা, দুটি রুপো একটি ব্রোঞ্জ জিতেছে। মোট চারটি পদক পেয়েছে সে। এই সাফল্যের মধ্যেই আছে ক্ষোভের সুর। রাজ্য জিমনাস্টিকস প্রতিযোগিতায় অনেকেই দিয়াকে যোগ্য প্লেয়ারের সম্মান দেয়নি বলে ক্ষোভ তার কোচ ও পরিবারের।

মৈনাক দেবনাথ

International Chess Tournament: তমলুকে আন্তর্জাতিক দাবার আসর

পূর্ব মেদিনীপুর: দাবা খেলা বাড়ায় শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিমত্তা ও একাগ্রতা। তাই তমলুকে বসল আন্তর্জাতিক দাবা প্রতিযোগিতার আসর। দাবা খেলার মাধ্যমে ব্যক্তির বুদ্ধিমত্তা ও একাগ্রতা প্রকাশ পায়। কারণ ক্ষুরধার মস্তিষ্ক এবং ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয় দাবা খেলায়।

আর‌ও পড়ুন: লরির সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে গিয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনা, বেঘোরে প্রাণ গেল কৃষকের

একসময় গ্রাম বাংলার বাড়িতে বাড়িতে দাবার আসর বসত। কিন্তু বর্তমানে সেই রেওয়াজ প্রায় দেখাই যায় না। আর তাই বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে দাবা খেলার প্রসার ঘটাতে তমলুকে এই আন্তর্জাতিক দাবা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। কুলবেড়িয়া ভীমদেব আদর্শ বিদ্যাপীঠে এই প্রতিযোগিতার আসর বসেছে। ৫ দিন ধরে চলবে এই প্রতিযোগিতা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

অল ইন্ডিয়া রেটিং টুর্নামেন্ট ঘিরে দাবারুদের মধ্যে ভালই সাড়া পড়েছে। রবিবার পর্যন্ত চলবে এই টুর্নামেন্ট। অল ইন্ডিয়া চেস ফেডারেশন অনুমোদিত এই টুর্নামেন্টটি পরিচালনা করছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা দাবা সংস্থা। এই ধরনের টুর্নামেন্ট পশ্চিমবঙ্গ তথা জেলায় প্রথম। এই প্রতিযোগিতায় বাংলার পাশাপাশি ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্য থেকে মোট ৩৫০ জন প্রতিযোগী এসে অংশগ্রহণ করেছে। এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন তাম্রলিপ্তের পুরপ্রধান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায়। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব সমরেশ বেরা সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা দাবা সংস্থার সভাপতি পিনাকী রঞ্জন ঘোষ।

সৈকত শী

Local Sports: ইনডোর গেম টেবিল টেনিসে ঝুঁকছে নতুন প্রজন্ম

দক্ষিণ দিনাজপুর: আউটডোর গেমসের পাশাপাশি ইনডোর গেমসেও আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর জেলার ছেলেমেয়েদের ইনডোর গেমসে আগ্রহী করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বালুরঘাট চৌরঙ্গী ক্লাব। তাদের উদ্যোগে জেলায় টেবিল টেনিসের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে।

আর‌ও পড়ুন: হঠাৎ কয়েক মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড সুন্দরবনের এই গ্রাম, দেখুন ভিডিও…

বালুরঘাট চৌরঙ্গী ক্লাবের উদ্যোগে রাজ্য স্তরের আমন্ত্রণ মূলক টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়। তিন দিন ধরে চলা এই টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শতাধিকের বেশি প্রতিযোগী এই খেলায় অংশগ্রহণ করে। ক্লাব কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, মোট ৬ টি বিভাগে প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করে।

এই টুর্নামেন্টের বিষয়ে বালুরঘাটের পুরপ্রধান অশোক কুমার মিত্র জানান, ক্রিকেট-ফুটবলের পাশাপাশি টেবিল টেনিস খেলাও এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নতুন প্রজন্মের কাছে। পিছিয়ে নেই কেউ। এমনকি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায়ে টেবিল টেনিস খেলায় নেতৃত্ব দেবে বলেও আশা করা যায়।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

বালুরঘাট শহরের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে ক্রিকেট, ফুটবল খেলার যেভাবে প্রচলন রয়েছে ঠিক তেমনভাবেই টেবিল টেনিস খেলার বিস্তার ঘটছে। শহরে একাধিক ক্লাব দীর্ঘদিন ধরেই টেবিল টেনিসের ক্যাম্প করে আসছে। তাদের মধ্যে অন্যতম এই বালুরঘাট চৌরঙ্গী ক্লাব। তারা নিয়মিতভাবেই প্রতিবছর রাজ্য স্তরের টেবিল টেনিস টুর্নামেন্ট করে থাকে। এমনকি এই ক্লাবের টুর্নামেন্ট খেলার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খেলোয়াড়রা ভিড় জমিয়ে থাকেন।

সুস্মিতা গোস্বামী

Local Sports: কর্ফ বলে আশার আলো দেখাচ্ছে হাওড়ার দুই সন্তান

হাওড়া: কর্ফ বলে আশার আলো। ক্রিকেট বা ফুটবলের মত জনপ্রিয় খেলা নয়, এই নতুন খেলাতেই এবার বাজিমাতের আশা। সাঁকরাইল ব্লকের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম ঘিরে এই আশার জায়গা তৈরি হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: কামারপুকুর নয়, শ্রীরামকৃষ্ণের বাবার পৈত্রিক ভিটে অন্য গ্রামে! পা রাখুন সেই পুণ্যভূমিতে

জাতীয় স্তরের কর্ফ বল প্রতিযোগিতায় তাক লাগিয়ে দিয়েছে হাওড়ার সুরজিৎ ও সুমিত। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে বাংলার অনূর্ধ্ব ১৭ দলে সুযোগ পেয়েছে তারা। গ্রামাঞ্চলের খেটে খাওয়া পরিবার থেকে তাদের উঠে আসা। আগ্রায় সদ্য সমাপ্ত কর্ফ বল সিনিয়র ও সাব-জুনিয়র ন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে সুরজিৎ ও সুমিত। তারা নলপুর স্পোর্টস অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসেছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই শিবির থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে সুযোগ পাচ্ছে ছেলে-মেয়েরা। যার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতের আশার আলো দেখছেন গ্রামের মানুষ। এই প্রসঙ্গে অনিমেষ নস্কর জানান, প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলেমেয়েদের মধ্যে রয়েছে বহু প্রতিভা। রঘুদেববাটি, চক শ্রীকৃষ্ণ, কন্যামণি, নলপুর, বেটিয়ারি, মনোহরপুর, উলা, দাদপুর, সারেঙ্গা সহ বিভিন্ন গ্রামের ছেলে ও মেয়েরা খেলাধুলোয় প্রশিক্ষিত হচ্ছে। এরাই বাংলার আগামী দিনের ক্রীড়া জগতের ভবিষ্যৎ।

রাকেশ মাইতি