পূর্ব বর্ধমান: এই জেলা রাজ্যের শস্য ভাণ্ডার বা ধানের গোলা নামে পরিচিত। তবে অতিরিক্ত লাভের আশায় ক্রমশই পূর্ব-বর্ধমান বিকল্প চাষ বাড়ছে। যেমন পূর্বস্থলীতে শুধুমাত্র ধান চাষ নয়, বিকল্প চাষ হিসেবে বর্তমানে এখানকার চাষিরা বিভিন্ন ধরনের চাষ শুরু করেছেন। কোনও চাষি সবজি চাষ করছেন, আবার কেউ ফল চাষ করছেন। আবার অনেকে ফুল চাষও করে থাকেন।
তবে এবার বিকল্প হিসেবে পেয়ারা চাষ করতে দেখা গেল বেশ কিছু চাষিকে। পেয়ারা চাষ করেই অর্থ উপার্জন করছেন পূর্বস্থলী এলাকার বেশ কিছু চাষি। এই প্রসঙ্গে পূর্বস্থলীর এক পেয়ারা চাষি বলেন, পেয়ারা চাষে যেরকম লাভ আছে সে রকম খরচও আছে। বাজারে যখন পেয়ারা বেশি থাকে তখন দাম কমে যায়। শীতের সময় ভাল দাম পাওয়া যায়। ১ বিঘা জমিতে পেয়ারা চাষ করতে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ পড়ে। গাছ লাগানোর দুই বছর পর থেকে ফলন পাওয়া যায়। তিনবছর পর থেকে আরও ভাল ফলন পাওয়া যায়। একবার গাছ লাগালে তিন বছর পর থেকে একটানা আট বছর ভাল ফলন পাওয়া যাবে। বিকল্প চাষ হিসেবে পেয়ারা চাষ করে লাভ আছে , তবে না খাটলে লাভ চোখে দেখা যাবে না। নিজে থেকে খাটতে হবে, লোক রেখে মজুরি দিয়ে চাষ করলে সেরকম লাভ হবে না।
আরও পড়ুন: চিনি-আটা মিল ছিল না আগেই, এবার রেশনে বাড়ন্ত চাল’ও! এখানে ক্ষোভে ফুটছে মানুষ
এখানকার পেয়ারা চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বিকল্প চাষ হিসেবে এখন অনেকেই পেয়ারা উৎপাদন করাকে বেছে নিচ্ছেন। তার কারণ হিসেবে চাষিরা বলেন, একবার পেয়ারা গাছ লাগালে একটানা ৭ থেকে ৮ বছর ফলন পাওয়া সম্ভব। তাছাড়া বাঙালিদের মধ্যে পেয়ারা খাওয়ার চল অত্যন্ত বেশি।
চাষিরা নিজে থেকেই পেয়ারা বিক্রি করে থাকেন বলে জানান। তবে অনেক সময় পাইকাররা এসেও বাগান থেকে পেয়ারা কিনে নিয়ে যায়। চাষিদের কথায় শীতের সময় সবথেকে ভাল বাজার থাকে পেয়ারার এবং দামও ভাল পাওয়া যায়। তবে অধিকাংশ চাষি জানিয়েছেন, কেউ চাইলে এই চাষ শুরু করতেই পারেন। তবে পরিশ্রমের মানসিকতা থাকলে তবেই একমাত্র এই চাষে এগিয়ে আসা উচিত বলে তাঁরা পরামর্শ দিয়েছেন।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী