শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে বাংলায় হাতির সংখ্যা প্রায় ৭০০। কিন্তু জঙ্গল কেটে ক্রমশ বসতি স্থাপন ও কৃষিকাজ শুরু করায় হাতিদের খাবারের যোগানে টান পড়ছে। তাই তারা এখন খাবারের খোঁজে হন্যে হয়ে ঢুকে পড়ছে লোকালয়। আর তাতে মানুষ-হাতি সংঘর্ষে মৃত্যুর সংখ্যা আক্রমশই বাড়ছে। গত কয়েক বছরে হাতির হামলায় উত্তরবঙ্গে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা আতঙ্কজনকভাবে বেড়ে গিয়েছে।
শনিবার সকালে শিলিগুড়ির ভোলা মোড়, এনজেপি সহ বিভিন্ন এলাকায় একটি হাতিটিকে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে টি-পার্ক এবং ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের মধ্যবর্তী জঙ্গলে রয়েছে হাতিটি। সে যাতে লোকালয়ে না চলে আসতে পারে তাই বনকর্মীরা হাতিটিকে আপাতত সেখানেই রাখার চেষ্টা করছেন। খুব তাড়াতাড়ি তাকে অন্যত্র ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সম্প্রতি, শিলিগুড়ি সংলগ্ন ডাবগ্রাম-২ অঞ্চলের চয়নপাড়ায় ঢুকে পড়েছিল এই দাঁতালটি৷ বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল থেকে হাতিটি ইস্টার্ন বাইপাসের মূল রাস্তা পার করে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে৷ পাড়ায় বেশ কয়েকটি অলিগলি ঘুরে সে আবার জঙ্গলে ফিরে যায়৷ বারবার লোকালয়ে হাতির হানায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই ফাঁসিদেওয়া বন্দরগছ এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে জিরো পয়েন্টে আশ্রয় নেওয়া দিকভ্রষ্ট দুটি হাতিকে মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ফেরাতে সক্ষম হয় বন দফতর।
অনির্বাণ রায়