বাগদা থানা

Bike Accident: রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাতেও রেহাই পেলেন না ভ্যানচালক! বেপরোয়া বাইক কেড়ে নিল প্রাণ

উত্তর ২৪ পরগনা: সীমান্ত এলাকায় আবারও বেপরোয়া গতির বলি হল তরতাজা যুবক। মেলায় দোকান দিয়ে ইঞ্জিনভ্যানে চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বেপরোয়া বাইকের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কায় প্রাণ গেল তরণী সেনের। একই দুর্ঘটনায় বাইকে থাকা তিন যুবকের মধ্যে অর্ক রায় নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পথ দুর্ঘটনায় জোড়া মৃত্যুর বিষয়টি ঘটেছে বাগদা থানার কাকলিমারি ব্রিজ সংলগ্ন চাঁদা রায়পুর এলাকায়।

দুর্ঘটনার জেরে বাইকে থাকা আরও দুই যুবক মুস্তাকিন মণ্ডল ও প্রসেনজিৎ মণ্ডল গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের বাড়ি বনগাঁ থানার গাড়াপোতার পাগলতলা এলাকায়। ইঞ্জিন ভ্যানচালক মৃত তরণী সেনের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় মেলায় দোকান দিয়েছিল তিনি। রাতে মেলা শেষ করে বাগদা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত তরণী সেনের সঙ্গে আরও দু’জন সহকর্মী ছিলেন। তাঁরা অন্য ইঞ্জিন ভ্যানে করে আসছিলেন। সহকর্মী বিষ্ণু দাস বলেন, দাদা ইঞ্জিনভ্যান নিয়ে রাস্তার বাঁদিকে দাঁড়িয়েছিল। সে সময় একটি বাইক সজোরে এসে ইঞ্জিনভ্যানে ধাক্কা মারে। ধাক্কা মারার সঙ্গে সঙ্গে বাইকটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ইঞ্জিনভ্যান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ছিটকে পড়েন দাদা ও বাইকে থাকা তিন যুবক।

আর‌ও পড়ুন: অবাক কাণ্ড! তাঁতিদের তাঁত ঘরে নেই কাপড়, ঝুলছে পেঁয়াজ

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বনগাঁ থানার পুলিশ। তিন বাইক আরোহী ও ইঞ্জিন ভ্যানচালকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা ওই ইঞ্জিন ভ্যানচালক এবং এক বাইক আরোহীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি আছে আরও দুই যুবক। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। এমন একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা মেনে নিতে পারছে না ইঞ্জিন ভ্যান চালক তরণী সেনের পরিবার। সংসারে তিনিই ছিলেন একমাত্র রোজগেরে।

রুদ্রনারায়ণ রায়