অফিসার ছাড়াই পুলিশ ফাঁড়ি চালান দুই সিভিক 

Police Outpost: দু’জন সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়ে চলছে পুলিশ ফাঁড়ি!

দক্ষিণ দিনাজপুর: উদ্দেশ্য মহৎ হলেও কার্যক্ষেত্রে ঠিক তার উলটো ছবি দেখা গেল। মাত্র দুজন সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়ে চলছে একটি আস্ত পুলিশ ফাঁড়ি! নেই কোন পুলিশ অফিসার। এমনি বেহাল দৃশ্য দেখা গেল বুনিয়াদপুর পুলিশ ফাঁড়িতে।

দিনেরবেলা ফাঁড়ির বাইরে থেকে মেন গেট বন্ধ থাকে। ভেতরে অফিসার রুম, অফিস রুম ও স্টাফ রুম আছে। তিনটি ঘরে দরজাই ভেজানো। ভেতরে মাত্র দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার বসে থাকেন। কোনও পুলিশ আধিকারিক না থাকায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এসে আমজনতা লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে পারে না। তিনটি শিফটে দু’জন সিভিক আসছেন, সময় শেষ হলে বাড়ি ফিরছেন।

আর‌ও পড়ুন: মহাপ্রভুর নির্দেশে আজও দই-চিঁড়ে বিতরণ হচ্ছে! দণ্ড মহোৎসবে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়

এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দারা রাত-বিরেতে সমস্যায় পড়লে শহর থেকে ৩ কিলোমিটার পথ উজিয়ে বংশীহারি থানায় যাচ্ছেন অভিযোগ জানাতে। শহরে চুরি, ছিনতাই ও দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব রুখতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়াও আশেপাশের দুটি পঞ্চায়েত এলাকা থেকে কম সময়ে অভিযোগ জানানোর জন্য তৈরি হয়েছিল পুলিশ ফাঁড়ি। কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

এদিকে বুনিয়াদপুর শহর থেকে বংশীহারি থানার দূরত্ব অনেকটা হওয়ায় রাতে অভিযোগ জানাতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও বুনিয়াদপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘটনা ঘটলে বংশীহারি থেকে পুলিশের পৌঁছতে অনেকটা সময় লেগে যায়। এলাকাবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, এলাকায় একটি পুলিশ ফাঁড়ি করার। সেটা বাস্তবায়িত হলেও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না।

এই প্রসঙ্গে বংশীহারী থানার আইসি অসীম গোপ বলেন, নির্বাচনের কারণে বুনিয়াদপুর ফাঁড়ি থেকে ফোর্স উঠিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এর জন্য সাময়িক সমস্যা হয়েছিল। নির্বাচন শেষ হয়েছে, খুব শীঘ্রই পুলিশ ফাঁড়িতে আগের মত কাজ চালু হবে। প্রসঙ্গত, এলাকাবাসীদের দাবি মেনে শহরে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিমাবাদ রাজ্য সড়কের ধারে সরকারি জায়গায় আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হয় ঝাঁ চকচকে পুলিশ ফাঁড়ি। গত ৭ অগস্ট এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ফিতে কেটে ফলক উন্মোচনের মধ্যে দিয়ে পুলিশ ফাঁড়িটির উদ্বোধন হয়। সেইসময় উপস্থিত ছিলেন ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা ও পুলিশ সুপার রাহুল দে প্রমুখ। উদ্বোধনের পর থেকে সেখানে পুলিশ অফিসার বসতেন। কিন্তু কিছুদিন পর থেকে সেখানে আর কোনও পুলিশ অফিসারকে দেখা না গেলেও দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ারই সর্বক্ষণ থাকছেন।

এলাকাবাসীদের এখন একটাই প্রার্থনা দ্রুত আবার পূর্ণ ছন্দে ফিরে আসুক বুনিয়াদপুর পুলিশ ফাঁড়ি।

সুস্মিতা গোস্বামী