চড়ক গাছের প্রাণ প্রতিষ্ঠা‌ 

Charak Puja: স্বাধীনতার আগে শুরু, বহু যুগ পর নতুন চড়ক গাছের প্রাণ প্রতিষ্ঠা

মালদহ: বাংলা নববর্ষের আগের দিন চড়ক পুজো গ্রাম বাংলার বহু পরিচিত এক রীতি। যদিও শহর ঘেঁষা এলাকায় ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছে এই প্রাচীন প্রথা। এরই মধ্যে মালদহের এক গ্রামে নতুন চড়ক গাছের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হল। এখানকার চড়ক পুজোর সূচনা হয়েছিল দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে।

স্বাধীনতার আগে থেকে হয়ে আসছে এই চড়ক পুজো। মালদহ শহরের সর্বমঙ্গলাপল্লী এলাকায় কিছু গাজন সন্নাসী এই চড়ক পুজো শুরু করেছিলেন। তারপর থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে হয়ে আসছে এই চড়ক পুজো। এই বছরেও ধুমধামে সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে চড়ক পুজো। তার আগে থেকেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। তবে এখানকার চড়কগাছটি দীর্ঘদিনের পুরনো। প্রায় ৬০ বছর ধরে একটি গাছেই চড়ক হয়ে আসছে। তাই এই বছর সেই গাছ পরিবর্তন করা হল। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও পুজোর মধ্য দিয়ে নতুন চড়ক গাছের প্রাণ প্রতিষ্ঠা‌ করা হয়।

আর‌ও পড়ুন: পয়লা বৈশাখের হালখাতাতেও স্বাস্থ্য সচেতনতার ছাপ, ‘কম মিষ্টির’ সন্দেশের চাহিদা বেশি

মালদহ শহরের সর্বমঙ্গলাপল্লী এলাকায় চড়ক পুজো কমিটির উদ্যোগে পুরনো জরাজীর্ণ চড়কগাছ থেকে নতুন গাছে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্থানীয় মহিলা ও গাজন সন্নাসীরা বাদ্যযন্ত্র সহযোগে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। মহানন্দা নদী থেকে কলসিতে জল ভরে নিয়ে আসেন। এরপর নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে পুজোপাঠের মধ্য দিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয় নতুন চড়ক গাছের।চড়ক পুজো কমিটির সভাপতি জয়দেব ঘোষ বলেন, স্বাধীনতার আগে থেকে সর্বমঙ্গলা পল্লী এলাকায় চড়ক পুজোর আয়োজন হয়ে আসছে। জায়গা কম থাকার কারণে চড়ক ঘোরানো এবং মেলার আয়োজন করা হয় রবীন্দ্র সংঘ ময়দানে। আগে এই চড়ক পুজো উপলক্ষে মালদহ শহরে মেলা বসত। বর্তমানে মালদহ শহরের সর্বমঙ্গলাপল্লী এলাকায় জায়গা কমে এসেছে। চারিদিকে বাড়ি ঘর তৈরি হয়েছে। তাই পুজো এক জায়গায় হয়, সেখান থেকে কিছুটা দূরে মেলা বসে থাকে। স্থানীয় রবীন্দ্র সংঘ ক্লাবের মাঠে এখন মেলা বসে। তবে এখনও নিষ্ঠার সঙ্গে এই চড়ক পুজো হয়ে আসছে।

হরষিত সিংহ