Tag Archives: Charak puja

Charak Puja: এখানে চৈত্র সংক্রান্তিতে নয়, বৈশাখে হয় চড়ক!

দক্ষিণ দিনাজপুর: বৈশাখ মাসের সংক্রান্তি তিথিতে বৈশাখী চড়ক মেলা বসল বালুরঘাটের একাধিক জায়গায়। তাতে মেতে উঠলেন বালুরঘাট শহরে বাসিন্দারা।

বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে চৈত্রের শেষের দিন বা চৈত্র সংক্রান্তিতে সাধারণত চড়ক পুজো হয়। তবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের উত্তমাশা ক্লাব সংলগ্ন মাঠের চড়ক পুজো আর দশটা পুজোর থেকে একটু অন্য ধরনের। বালুরঘাট ব্লকের ডাঙি এলাকায় বটতলার বিস্তীর্ণ মাঠে চরক সন্ন্যাসীরা একত্রিত হয়ে চড়কের আয়োজন করেছিলেন। বৈশাখের সংক্রান্তির দিন সকাল থেকেই বালুরঘাটের বিভিন্ন এলাকায় চড়ক পুজোর ভক্তেরা ঘাড়ে করে ঠাকুর নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন দেবদেবী এবং সং সেজে রাস্তায় শোভাযাত্রা করেন।

আরও পড়ুন: কলেরা ঠেকিয়েছিলেন মা বুরুজ কালী!

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, অধিকাংশ ভক্ত চৈত্র চড়ক পালন করেন। তাঁদের মধে অনেকেই বৈশাখী চড়কে মেতে উঠেন। যা গ্রাম বাংলার সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। দেখতে অসংখ্য মানুষ ভিড় জমান। চলতি বছরেও এর কোন‌ও পরিবর্তন হয়নি। এদিনের চড়ক পুজো উপভোগ করতে বালুরঘাট শহর সহ শহর লাগোয়া এলাকার বহু সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।

সুস্মিতা গোস্বামী

Charak Puja: বৈশাখে অসময়ের চড়ক দেখতে এখানে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়

আলিপুরদুয়ার: কথাতেই আছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তার মধ্যে অন্যতম প্রধান এবং বাঙালির ঐতিহ্যবাহী উৎসব হল চড়ক। চৈত্র মাসের শেষে সাধারণত এই চড়ক উদযাপন হয়। তবে বৈশাখের শুরুতে অকাল চড়ক উৎসব লক্ষ্য করা যায় ফালাকাটার ধুলাগাঁও এলাকায়। এই অসময়ের চড়ক দেখতে ভিড় করেন বহু মানুষ।

এই অকাল চড়ক পুজো শুধু বহু বছর ধরে আয়োজিত হয়ে আসছে। চড়ক পুজোর মধ্য দিয়ে সন্তুষ্ট রাখা হয় দেবাদিদেব মহাদেবকে। চৈত্র সংক্রান্তির চড়ক পুজোর মত নিয়ম পালিত হয় অকাল চড়ক পুজোতেও। রবিবার রাতে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুলাগাঁও এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় এই অসময়ের চড়ক পুজো ও মেলা। রবিবার সন্ধে থেকে এলাকার বসতে শুরু করেছিল মেলা। মুহূর্তের মধ্যেই ভিড় জমে যায়। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই ময়দানে আসেন।

আর‌ও পড়ুন: মনসাই নদীর চরের তরমুজ খেলে স্বাদ মুখে লেগে থাকবে!

এই অকাল চড়কে বিভিন্ন ধরনের খেলা দেখানো হয়।পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে জানা গিয়েছে, ২০০২ সাল থেকে অকাল চড়ক পুজো করছেন তাঁরা। এটি এলাকাবাসীদের আবেগ। স্থানীয়দের মতে ধুলাগাঁও এলাকার এই চড়ক পুজোর মেলা নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা যথেষ্টই উপভোগ করছে। ফলে এর অত্যন্ত যথেষ্ট উজ্জ্বল।

অনন্যা দে

Charak Festival: বিভিন্ন দেবদেবী সেজে ‘হাজরা নৃত্য’, মালদহের চড়ক মাঠ সরগরম! কী এই নাচ জানেন?

মালদহ: চড়ক পুজোর হাজরা নিত্য মালদহ জেলা জুড়ে। এদিন সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যায় হাজরা নিত্য। ঐতিহ্য মেনেই প্রতিবছরের মতো এবারও গাজন সন্ন্যাসীরা এই হাজরা নৃত্যে অংশগ্রহণ করেন।
মালদহ: চড়ক পুজোর হাজরা নিত্য মালদহ জেলা জুড়ে। এদিন সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যায় হাজরা নিত্য। ঐতিহ্য মেনেই প্রতিবছরের মতো এবারও গাজন সন্ন্যাসীরা এই হাজরা নৃত্যে অংশগ্রহণ করেন।
চড়ক পুজো উপলক্ষে বিভিন্ন দেবদেবীর সাজে এই নিত্য দেখা যায়। মুখোশ পরে অস্ত্র হাতে নিত্য করতে দেখা যায় রাস্তায়। রাস্তার দুই ধারে বহু মানুষ ভিড় করেন এই হাজরা নিত্য দেখার জন্য।
চড়ক পুজো উপলক্ষে বিভিন্ন দেবদেবীর সাজে এই নিত্য দেখা যায়। মুখোশ পরে অস্ত্র হাতে নিত্য করতে দেখা যায় রাস্তায়। রাস্তার দুই ধারে বহু মানুষ ভিড় করেন এই হাজরা নিত্য দেখার জন্য।
একমাস পালনের পর চৈত্র সংক্রান্তিতে বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় চড়ক উৎসব। চড়ক উৎসবের মধ্যে দিয়ে মূলত শিবের আরাধনা করা হয়। হাজরা নিত্যতেও শিব সেজে গাজন সন্ন্যাসীরা নৃত্য করে থাকেন।
এক মাস পালনের পর চৈত্র সংক্রান্তিতে বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় চড়ক উৎসব। চড়ক উৎসবের মধ্যে দিয়ে মূলত শিবের আরাধনা করা হয়। হাজরা নিত্যতেও শিব সেজে গাজন সন্ন্যাসীরা নিত্য করে থাকেন।
একমাস নিরামিষ ভোজন করে নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে সংযম করেন শিব ভক্তরা। বিভিন্ন পুজো অর্চনা হয়ে থাকে এক মাস। চৈত্র সংক্রান্তিতে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় চড়ক পুজো। পিঠে বড়শি গেঁথে গাজন সন্ন্যাসীরা চড়ক গাছে ঘোরেন। ঘোরা দেখতেও বহু ভক্তের সমাগম ঘটে বিভিন্ন প্রান্তে।
একমাস নিরামিষ ভোজন করে নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে সংযম করেন শিব ভক্তরা। বিভিন্ন পুজো অর্চনা হয়ে থাকে এক মাস। চৈত্র সংক্রান্তিতে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় চড়ক পুজো। পিঠে বড়শি গেঁথে গাজন সন্ন্যাসীরা চড়ক গাছে ঘোরেন। ঘোরা দেখতেও বহু ভক্তের সমাগম ঘটে বিভিন্ন প্রান্তে।
বিভিন্ন দেবদেবী ছাড়াও ভুত-প্রেত সেজে এদিন হাজরা নৃত্যে অংশগ্রহণ করে থাকেন গাজন সন্ন্যাসীরা। মরার মাথা হাতে নিয়ে নিত্য করে থাকেন অনেকে। হাজরা নৃত্যের এটিও একটি আকর্ষণ। দিনভর হাজরা নিত্য পুজো করার পর সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় চড়ক ঘোরানো অনুষ্ঠান।
বিভিন্ন দেবদেবী ছাড়াও ভূত-প্রেত সেজে এদিন হাজরা নৃত্যে অংশগ্রহণ করে থাকেন গাজন সন্ন্যাসীরা। মরার মাথা হাতে নিয়ে নৃত্য করে থাকেন অনেকেই। হাজরা নিত্যের এটিও একটি আকর্ষণ। দিনভর হাজরা নৃত্য পুজো করার পর সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় চড়ক ঘোরানো অনুষ্ঠান।

Charak Puja: স্বাধীনতার আগে শুরু, বহু যুগ পর নতুন চড়ক গাছের প্রাণ প্রতিষ্ঠা

মালদহ: বাংলা নববর্ষের আগের দিন চড়ক পুজো গ্রাম বাংলার বহু পরিচিত এক রীতি। যদিও শহর ঘেঁষা এলাকায় ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছে এই প্রাচীন প্রথা। এরই মধ্যে মালদহের এক গ্রামে নতুন চড়ক গাছের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হল। এখানকার চড়ক পুজোর সূচনা হয়েছিল দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে।

স্বাধীনতার আগে থেকে হয়ে আসছে এই চড়ক পুজো। মালদহ শহরের সর্বমঙ্গলাপল্লী এলাকায় কিছু গাজন সন্নাসী এই চড়ক পুজো শুরু করেছিলেন। তারপর থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে হয়ে আসছে এই চড়ক পুজো। এই বছরেও ধুমধামে সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে চড়ক পুজো। তার আগে থেকেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। তবে এখানকার চড়কগাছটি দীর্ঘদিনের পুরনো। প্রায় ৬০ বছর ধরে একটি গাছেই চড়ক হয়ে আসছে। তাই এই বছর সেই গাছ পরিবর্তন করা হল। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও পুজোর মধ্য দিয়ে নতুন চড়ক গাছের প্রাণ প্রতিষ্ঠা‌ করা হয়।

আর‌ও পড়ুন: পয়লা বৈশাখের হালখাতাতেও স্বাস্থ্য সচেতনতার ছাপ, ‘কম মিষ্টির’ সন্দেশের চাহিদা বেশি

মালদহ শহরের সর্বমঙ্গলাপল্লী এলাকায় চড়ক পুজো কমিটির উদ্যোগে পুরনো জরাজীর্ণ চড়কগাছ থেকে নতুন গাছে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্থানীয় মহিলা ও গাজন সন্নাসীরা বাদ্যযন্ত্র সহযোগে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। মহানন্দা নদী থেকে কলসিতে জল ভরে নিয়ে আসেন। এরপর নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে পুজোপাঠের মধ্য দিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয় নতুন চড়ক গাছের।চড়ক পুজো কমিটির সভাপতি জয়দেব ঘোষ বলেন, স্বাধীনতার আগে থেকে সর্বমঙ্গলা পল্লী এলাকায় চড়ক পুজোর আয়োজন হয়ে আসছে। জায়গা কম থাকার কারণে চড়ক ঘোরানো এবং মেলার আয়োজন করা হয় রবীন্দ্র সংঘ ময়দানে। আগে এই চড়ক পুজো উপলক্ষে মালদহ শহরে মেলা বসত। বর্তমানে মালদহ শহরের সর্বমঙ্গলাপল্লী এলাকায় জায়গা কমে এসেছে। চারিদিকে বাড়ি ঘর তৈরি হয়েছে। তাই পুজো এক জায়গায় হয়, সেখান থেকে কিছুটা দূরে মেলা বসে থাকে। স্থানীয় রবীন্দ্র সংঘ ক্লাবের মাঠে এখন মেলা বসে। তবে এখনও নিষ্ঠার সঙ্গে এই চড়ক পুজো হয়ে আসছে।

হরষিত সিংহ

Charak Puja 2024: বঙ্গজীবনে চড়কপুজো এল কোথা থেকে? চৈত্র অবসানে জানুন এই লোকপার্বণের নিয়ম

পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুর: কথায় আছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর এই উৎসবের শুরু হয় পয়লা বৈশাখ আর শেষ হয় চৈত্র সংক্রান্তিতে ।বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, চৈত্র সংক্রান্তিতে পালিত হয় চড়ক পুজো। এটি মূলত বাঙালি হিন্দুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লোকোৎসব। চৈত্র সংক্রান্তিতে গাজন সন্ন্যাসীরা বড়শিতে বাণবিদ্ধ হয়ে মূলত এই উৎসব করেন। তবে এই চড়ক পুজো কবে কী ভাবে শুরু হয়েছিল? কী রয়েছে এই চড়ক পুজোর নিয়ম?

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে চৈত্র মাসে শিব ঠাকুরের আরাধনা নৃত্যগীতির বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। তবে এই চড়ক পুজোর কী নিয়ম পালন করতে হয় জানেন কি? পুরোহিত সুরজিৎ কুমার শাহ জানান, ‘‘এই চড়ক পুজো যাঁরা করেন তাঁদের পুরো চৈত্র মাস জুড়ে নিরামিষ আহার গ্রহণ করতে হয়। এই সময়ে রসুন , পেঁয়াজের পাশাপশি কোনো রকম আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ করা চলবে না। এছাড়া পুরো মাস জুড়ে সন্ন্যাসীদের মত জীবনযাত্রা পালন করতে হয়। এই সময় শিব গাজন যারা করেন তাঁরা দিনে একবার নিরামিষ আহার গ্রহণ করেন,পায়ে জুতা না পরেই এই একমাস সন্ন্যাস জীবন যাপন করেন।’’

আরও পড়ুন : কলকাতার কাছেই এক টুকরো ইউরোপ! অল্প খরচে ঘুরে আসুন এই গ্রাম থেকে

চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন চড়কগাছকে পরিষ্কার করে জলভরা একটি পাত্রে শিবের প্রতীক শিবলিঙ্গ রাখতে হয় এবং গাছের পুজো করতে হয়।শেষে গাছ ঘুরিয়ে চৈত্র সংক্রান্তির শেষে এই ব্রতের সমাপ্তি ঘটে। এবং নববর্ষে এই ব্রত বিধি যারা পালন করেন তাদের মৎসমুখী অনুষ্ঠান করতে হয়। মৎস্যমুখী অনুষ্ঠান প্রত্যেক চড়ক ব্রতধারীদের মাছ খাওয়ার নিয়ম রয়েছে।এছাড়া এই সময় যারা বাড়িতে চড়ক নামায় তাঁদেরও কিছু নিয়ম মানতে হয়। যারা বাড়িতে চড়ক নামান তাদের চার থেকে পাঁচ দিন আগে নিরামিষ খেয়ে ঘর বাড়ি পরিষ্কার রাখতে হয়। এ পুজোতে অন্যান্য পুজোর মতোই উপকরণের প্রয়োজন হয়। এইভাবে পুরো মাস জুড়ে নিয়ম নীতির সঙ্গে পুজো করা হয় চড়ক পুজোর।