সেবক করোনেশন ব্রিজ

Darjeeling Tourism: সবুজ পাহাড় চিরে বয়ে চলা খরস্রোতা তিস্তার উপর ব্রিটিশ আমলের সেতু চুম্বকের মতো টানে পর্যটকদের

সুজয় ঘোষ, দার্জিলিং: সেবক পাহাড়ে ব্রিটিশ আমলের তৈরি এই করোনেশন ব্রিজে প্রতিনিয়ত ছুটে আসে পর্যটকরা। বহু পুরনো এই ঐতিহ্যবাহী ব্রিজে হামেশাই পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়। ব্রিজে দাঁড়িয়ে প্রচুর পর্যটক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে করতে কেউ সেলফি এবং কেউ আবার রিলসের মাধ্যমে সবুজে ঘেরা পাহাড়ের প্রকৃতিক সৌন্দর্যকে ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত।

তবে আশ্চর্যজনক ব্যাপার ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ আমলের তৈরি এই করোনেশন ব্রিজ পাথরের উপর দিব্যি দাঁড়িয়ে আছে। সেতুর  নীচ দিয়ে নিজ মনে বয়ে চলছে খরস্রোতা তিস্তা । এই ব্রিজের উপর এলেই দেখতে পাবেন দু’চোখ ভরে সবুজে ঘেরা পাহাড়। আর সেই পাহাড়ের বুক চিরে নিজের গতিতে বয়ে চলেছে খরস্রোতা পাহাড়ি নদীর তীস্তা। প্রতিনিয়ত তিস্তার এই অপরূপ সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে এই করোনেশন ব্রিজে ছুটে আসেন পর্যটকেরা। এই করোনেশন ব্রিজ বাঘপুল নামেও পরিচিত। প্রতিনিয়ত দূর দূরান্ত থেকে সেবক কালীবাড়িতে পুজো দিতে আসেন প্রচুর ভক্ত। সেই অর্থে সেই পাহাড়ি সেবকেশ্বরী কালী মন্দিরের একদম কাছে পর্যটকদের পছন্দের অন্যতম সেরা জায়গা এই ব্রিজ। এখানে ঘুরতে আসা এক পর্যটক বলেন প্রতিনিয়ত সময় পেলেই পাহাড়ের কোলে এই ব্রিজে ঘুরতে আসি শহরের কোলাহল থেকে দূরে চারিদিকে পাহাড় এবং তিস্তা নদীর অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা এই পরিবেশে কিছুটা সময় কাটাতে বেশ ভাল লাগে।

আরও পড়ুন : সামনেই আপনার দার্জিলিং ভ্রমণ? আবহাওয়া নিয়ে চিন্তায়? বৃষ্টি হবে নাকি ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখবেন? জানুন

এই ঐতিহ্যবাহী সেবক করোনেশন ব্রিজ পার্শ্ববর্তী দেশ ভুটানের সঙ্গেও সংযোগ স্থাপন করে। প্রকৃতির মাঝে তিস্তা নদীর কূলে গড়ে ওঠা অপরূপ এই সুন্দর ব্রিজ পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের। অন্যদিকে এখানে ঘুরতে আসো উপর এক পর্যটক বলেন শহরের তীব্র গরম থেকে দূরে পাহাড়ের মাঝে শান্ত শীতল পরিবেশে এই জায়গায় এসে সত্যি খুব ভাল লাগছে। তাহলে আর দেরি কেন? ছুটির দিন হোক বা উইকএন্ডে বন্ধুবান্ধব অথবা পরিবারের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসুন এই ঐতিহ্যবাহী ব্রিজ থেকে। সবুজে ঘেরা পাহাড় এবং পাহাড়ি খরস্রোতা তিস্তার সৌন্দর্য নিমেষেই আপনার মনকে মুগ্ধ করবে।