হাতি

Elephant Attack: কমছে না হাতি মানুষ দ্বন্দ্ব! গত এক মাসে মৃত তিন

আলিপুরদুয়ার: হাতির হানার ঘটনা গত এক মাসে বেড়ে গিয়েছে । কোথাও ফসল নষ্ট হয়েছে আবার কোথাও জীবনহানির ঘটনা ঘটেছে। হাতির হানায় অতিষ্ট সকলেই।

জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের জঙ্গল থেকে যে বুনো হাতির দল বের হয় সেগুলি ঘুরে বেরোয় বনবস্তি এলাকাগুলিতে। সোলার ফেন্সিং না থাকার কারণে উত্তর ছেকামারীর মত গ্রামের মানুষরা ফসল ঘরে তুলতে পারেননা। আবার জলদাপাড়া জঙ্গল থেকে বেরিয়ে মাদারিহাটের লোকালয়ে দাপিয়ে বেরয় বুনো হাতির দল। মাদারিহাট সংলগ্ন এশিয়ান হাইওয়েতে মাঝেমধ্যে রাস্তা পার হতে দেখা যায় হাতির দলটিকে।যদিও এই হাতি গুলিকে বক্সা জঙ্গলে যেতে দেখা যায়না।গত একমাসে হাতির হানায় জলদাপাড়া জঙ্গলের বুনো হাতির হানায় গিয়েছে এক যুবকের প্রাণ। আহত দুজন। উত্তর ছেকামারী ও খয়েরবাড়িতে ফসল নষ্ট হয়েছে প্রচুর।

আরও পড়ুন: জলে ভাসছে হুগলি, গ্রাম পেড়িয়ে জল ঢুকছে শহরতলিতে

এদিকে বক্সা জঙ্গল থেকে বেরোনো হাতির হানার ঘটনা সবচাইতে বেশি হচ্ছে মেচপাড়া, দলসিংপাড়া, চুয়াপাড়া এলাকায়।চুয়াপাড়ায় রোজ আসছে হাতি। ফসল না পেলেই ভাঙছে ঘর। এদিকে দলসিংপাড়া এলাকাতেও সম্প্রতি বুনো হাতির হানায় প্রাণ গিয়েছে বৃদ্ধের। তিন এলাকা মিলিয়ে ৫৫ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত।বন দফতরের এক আধিকারিক যোগেশ্বর রায় জানিয়েছেন, লোকালয়ে হাতির হানায় কারও মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হয় বন দফতরে। জঙ্গল এলাকায় এই ঘটনা ঘটলে তা সম্ভব নয়।ঘর ভাঙলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। তবে হাতির করিডরে এই ঘটনা ঘটলে তা বন দফতর দেখে বিবেচনা করে।