প্রতিদিন বিকালে কয়েক শো টিয়া পাখি আসে খাবার খতে

Birds Dinner: ডিনার করতে এই বাড়ির ছাদে প্রতিদিন আসে শয়ে শয়ে টিয়া!

হুগলি: বাড়ির ছাদ যেন পশু-পাখিদের মুক্তাঙ্গন। শয়ে শয়ে টিয়ার ঝাঁক বিকাল হলেই উড়ে আসে এই বাড়ির ছাদে। আসর কারণ সুস্বাদু খাবারের অঢেল যোগান আর ভালবাসা। সেই কারনেই দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বাড়ির ছাদে বিকালের আস্তানা গড়ে উঠেছে টিয়া, ময়না, বুলবুলির মতন পাখিদের।

শত শত পাখির এই বৈকালিক সমাবেশ মন ভাল করে এলাকার সকল বাসিন্দাদের। এমনই ঘটনার সাক্ষী চুঁচুড়ার কাপাসডাঙার গুহঠাকুরতা বাড়ি। চুঁচুড়া কাপাসডাঙার দেবাশিস গুহঠাকুরতা ও তাঁর স্ত্রী পুতুল গুহঠাকুরতা দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কুকুর, বেড়াল ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের খাবারের সংস্থান করে চলেছেন। দেবাশিস’বাবুর বাড়ির ছাদে বিকাল হলেই বিভিন্ন প্রজাতির রংবাহারি পাখিদের লম্বা লাইন পড়ে যায়। পাখিদের জন্য থাকে এলাহী আয়োজন। চালের খুদ, ছোলা, ভাত, আপেল সহ অন্যান্য ফল। প্রত্যহ এসব খেতে হাজির হয় একঝাঁক টিয়া সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। এই তীব্র দাবদাহে পাখিদের জন্য জলের ব্যবস্থাও রাখা থাকে।

আর‌ও পড়ুন: পানীয় জল না পেয়ে পাম্প হাউসে ভাঙচুর গ্রামবাসীদের

দেবাশিস’বাবু কীয়ন্দ্রে সরকারের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। এই ৬৮ বছর বয়সেও নিজের জমানো টাকা দিয়ে পাখিদের খাবারের ব্যবস্থা করে চলেছেন। চাল, চালের খুদ, ছোলা ও ফল নিয়ে পাখিদের খাওয়া বাবদ মাসে পাঁচ হাজার টাকা খরচ করেন। এতে তাঁকে সহযোগিতা করেন স্ত্রী পুতুল গুহঠাকুরতা। এমন উদ্যোগ প্রসঙ্গে দেবাশিস গুহঠাকুরতা বলেন, খাবারের অভাবে অনেক পাখির মৃত্যু হয়। এতে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের কাছে আমার বার্তা, এই জীববৈচিত্র্যকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য পশু পাখিদের খাবারের সংস্থান করুন।

রাহী হালদার