আলিপুরদুয়ার: শস্য ক্ষেতে নতুন আতঙ্কের নাম বনটিয়া। ঝাঁকে ঝাঁকে এসে সাবাড় করে দিচ্ছে শস্য ক্ষেত। পরিস্থিতি এমনই যে কৃষকরা কিছুই করতে পারছেন না, যেন দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।আলিপুরদুয়ার জেলাজুড়েই ঘটছে এই ঘটনা।
বন টিয়ার এই উৎপাতের বিষয়টি জানানো হয়েছে বন দফতরকে। সকালে বনটিয়া পাখি ও রাতে বুনো হাতির তাণ্ডবে মারাত্মক ক্ষতিগ্ৰস্থ হচ্ছেন আলিপুরদুয়ার জেলার সাঁতালি ও লতাবাড়ি এলাকার কৃষকরা। সকালে ঝাঁকে ঝাঁকে বন টিয়া চলে আসে শস্যক্ষেতে। এলাকার কৃষকদের ভুট্টা ক্ষেতে হানা দিয়ে ভুট্টা খেয়ে চলে যাচ্ছে। কিছুই বাঁচছে না। এদিকে সন্ধে হলেই বুনো হাতির দল এলকার কৃষকদের শস্যক্ষেতে হানা দিচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে বন টিয়াকে কীভাবে আটকাবেন তা বুঝতে পারছেন না একটু ঝগড়া। ভুট্টা এখনও পাকেনি, তার আগেই কাঁচা ভুট্টা সাফ করে দিচ্ছে পাখি। কয়েকজন কৃষক টিয়া পাখি ঠেকাতে গেলে তারা ঠুকরে রক্তাক্ত করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। এই বিষয়ে অভিযোগ জানালেও বন দফতর কিছু করছে না বলে অভিযোগ। যদিও হ্যামিলটনগঞ্জ রেঞ্জের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাঁরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
ইউরোপ: করোনার আতঙ্কের দিনগুলি এখনও ভয় ধরায়। তার মাঝেই ‘সিটাকোসিস’ বা ‘প্যারট ফিভার’ নিয়ে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মঙ্গলবার ‘হু’ এর পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে প্যারট ফিভার সম্পর্কে।
জানা গিয়েছে, ইউরোপে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি প্যারট ফিভারে আকান্ত। প্রাথমিকভাবে ২০২৩ সালে শনাক্ত করা হয়েছিল সিটাকোসিস বা প্যারট ফিভার। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে সেইসময় পাঁচজন ব্যক্তির মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছিল । পাখি থেকেই ছড়াচ্ছে এই রোগ।
ক্ল্যামিডিয়া পরিবারের পাখিদের থেকে ছড়াতে পারে এই রোগ। হাঁস, মুরগী থেকে শুরু করে টিয়া পাখি-সহ একাধিক পাখি থেকে মানুষের দেহে প্রবেশ করতে এই রোগের জীবাণু। পাখিদের মধ্যে অনেক সময় কোনও লক্ষণই দেখা যায় না। কিন্তু তাদের শ্বাস প্রশ্বাস, মল থেকে ছড়িয়ে যায় প্যারট ফিভার।
ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুসারে, সংক্রামিত পাখির নিঃসরণে দূষিত ধূলিকণা শ্বাসের মাধ্যমে মানুষের দেহে প্রবেশ করে। সচরাচর এইভাবেই প্যারট ফিভারে আক্রান্ত হয় মানুষ। উপরন্তু, পাখি দ্বারা কামড় দিলে বা পাখির ঠোঁট এবং ব্যক্তির মুখের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যক্তি অসুস্থ হতে পারে। সংক্রমিত পশু খাওয়ার মাধ্যমে রোগ ছড়ায় না।