চাষের জমি 

Farmers Crisis: বিদ্যুতের বিল নিয়ে বিভ্রাট, টাকা দিয়েও অতান্তরে কৃষকরা! ব্যাঘাত চাষের কাজে

পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলা রাজ্যের শস্য ভাণ্ডার নামে পরিচিত। বিভিন্ন সবজি, ফুল, ফল চাষের পাশাপাশি এই জেলায় ব্যাপক পরিমাণে ধান চাষ হয়। বর্তমানে অনেকে নতুন চাষের সঙ্গে যুক্ত হলেও ধান চাষের পরিমাণ সবথেকে বেশি। পূর্ব বর্ধমানের অন্যতম একটি জায়গা হল পূর্বস্থলী। এই পূর্বস্থলীর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পাট চাষ হয়, সবজি চাষ হয়। তবে এখানে এইসকল চাষের পাশাপাশি ধান চাষও হয় বিপুল পরিমাণে। কিন্তু এবার পূর্বস্থলীর সেই ধান চাষিরাই পড়েছেন সমস্যায়।

পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী-২ ব্লকের অন্তর্গত একটি গ্রাম হল কমলনগর। এই কমলনগর গ্রামের ধান চাষিরাই বর্তমানে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন। ধান চাষের জন্য মূলত জলের প্রয়োজন হয়। সেই কারণে চাষিদের কথা মাথায় রেখে ২০১৬ সালে কমলনগর মৌজায় ‘জল সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দফতর’-এর অধীনে নদী জল উত্তোলন প্রকল্প চালু করা হয়। যেখানে দুটি সাবমার্সিবেল থেকে অল্প খরচে চাষের জল পেতেন চাষিরা। কিন্তু প্রায় ৫ বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে সেই সাবমার্সিবল। তাই এখন বাধ্য হয়ে বেশি দামে জল কিনে চাষ করতে হচ্ছে তাঁদের।

আর‌ও পড়ুন: গাছে পেরেক দিয়ে ভোটের ফ্লেক্স, ব্যানার টাঙানো ঠেকাতে এগিয়ে এলেন ‘ওঁরা’

এই প্রসঙ্গে এক স্থানীয় চাষিবলেন, এখানে জলের জন্য বিঘা প্রতি দেড় হাজার টাকা করে নেওয়া হত। আমরা টাকাও দিতাম। তখন শাসকদলের লোকেরা একটি কমিটি তৈরি করেছিল। তারাই সেই টাকাটা নিত। চাষিরা টাকা দেওয়ার ফলে চাষ হত, দুটো সিজেন চাষও হয়েছিল। কিন্তু তারপরে বিদ্যুৎ দফতর বলছে বিদ্যুৎ বিল না দেওয়ার কারণে আর জল দেওয়া হবে না। বিল দিলে তবেই জল দেওয়া হবে। সেই থেকে এখনও বন্ধ হয়ে পড়ে আছে সাবমার্সিবেল।

তবে চাষিদের দাবি, তাঁরা চাষের জন্য টাকা দিতেন। শাসক দলের নেতৃত্বে একটি স্থানীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটিকেই তাঁরা নিয়মিত টাকা দিতেন। তবে টাকা দেওয়ার কোনও রসিদ নেই চাষিদের কাছে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিল জমা না পড়ার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। সেই থেকে শুধুমাত্র বিল না জমা হওয়ার কারণে আজও বন্ধ রয়েছে এই প্রকল্প। চাষিদের কথায় প্রায় তিন লক্ষ টাকার বিল বাকি রয়েছে কমলনগর এলাকার এই দুটি সাবমার্সিবেলের। আর সেই কারণেই বিদ্যুৎ দফতর কেটেছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

আর‌ও পড়ুন: উল্টোদিকে ঘুরছে চাকা, ফ্লেক্স-ব্যানার ফেলে কার্টুন-ছড়ায় ভরছে এই কেন্দ্রের দেওয়াল

সেই সময় থেকে ধান চাষের মরশুমে জল না পেয়ে, অধিক পয়সা খরচ করে জল কিনে চাষ করতে হচ্ছে কমলনগর এলাকার চাষিদের। ফলে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়ছেন স্থানীয় তাঁরা। শাসকদলের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধক্ষ্য ঝন্টু ঘোষ বলেন, চাষিরা বিল মেটায়নি বলেই বিদ্যুৎ দফতর থেকে লাইন কাটা হয়েছে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী