দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জলের তলায় চলে গিয়েছে জেটির রাস্তা। ফলে মৎস্যজীবীদের মাছ নিয়ে হাঁটতে হচ্ছে নদীর বুকে। এতে প্রবল অসুবিধায় পড়েছেন মৎস্যজীবীরা।
রায়দিঘির মনি নদীর ভাঙনের সমস্যায় আগে থেকেই জেরবার ছিলেন মৎস্যজীবীরা। নদীর ভাঙনের ফলে নদীর পাড়ের রাস্তা নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে বসেছে, তা দীর্ঘদিন ধরে প্রাশাসনিক কর্তাদের কাছে বলে আসছিলেন এখানকার মৎস্যজীবীরা। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এবার সত্যিই সেই রাস্তা নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। ফলে এখন বাধ্য হয়ে নদীর পাড়ে থাকা একটি দোকানের স্ল্যাবের উপর দিয়ে মৎস্যজীবীরা যাওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও দোকানদার মৎস্যজীবীদের ওভাবে যাতায়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গির মরশুমের কথা ভেবে বিশেষ ব্যবস্থা কালনা হাসপাতালে
এই ঘটনায় নদীতে ধরা মাছ বাজারে নিয়ে যেতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। ট্রলারে লোডিং-আনলোডিংয়ের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। ভগবতী জেটি ও পরের ৪ নম্বর জেটির মধ্যে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখানকার মণি নদীর ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না হলে বাকি রাস্তাও নদীগর্ভে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সকলেই।
এদিকে জেটির অবস্থাও বেহাল। কংক্রিটের জেটির দ্রুত সংস্কার না হলে যে কোনও মুহূর্তে বড় বিপদ ঘটতে পারে বলে মৎস্যজীবীদের আশঙ্কা। জেটিতে আলোর সুব্যব্যস্থাও নেই। সবকিছু মিলিয়েই ক্ষোভ বেড়েছে মৎস্যজীবীদের মধ্যে। এ নিয়ে মথুরাপুর-২ ব্লকের বিডিও নাজির হোসেন জানান, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে অস্থায়ী বাঁধ দিয়ে আপাতত ভাঙন রোখার চেষ্টা করা হবে। সমস্যা সমাধানের জন্য সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নবাব মল্লিক