স্কুলের ক্লাসরুমের ছবি

Maths Teacher: সরকারি স্কুলে অঙ্কের ক্লাস নেন প্রাইভেট শিক্ষক! পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন

হুগলি: একজন প্রাইভেট শিক্ষকের কাঁধে দায়িত্ব মেয়েদের অঙ্ক শেখানোর। মেয়েরা পারে না এমনটা কিন্তু নয়। তারা বিজ্ঞান জানে, স্কুলের প্রোজেক্টে নিজেদের মন থেকেই সৌরজগতের ছবি বানিয়ে আনে। তারা বিজ্ঞান পড়ে, আত্মরক্ষার জন্য ক্যারাটেও শেখে। প্রায় ৪০০ ছাত্রী রয়েছে হুগলির গোস্বামী মালিপাড়া গার্লস হাইস্কুলে। এই স্কুলে ৭ জন স্থায়ী শিক্ষক, তিনজন প্যারা টিচার। নেই কোন ক্লার্ক, গ্রুপ ডি। সেইসঙ্গে নেই অঙ্কের কোন‌ও স্থায়ী শিক্ষক। গত কয়েক বছর ধরেই এমন পরিস্থিতিতে চলছে স্কুল।

হুগলির এই স্কুলে ক্লার্কের কাজ করতে হয় প্রধান শিক্ষিকা’কেই। গ্রুপ-ডি’র কাজও তাঁকেই করতে হয়। মিড ডে মিল দেখাশোনা করেন স্কুলের অন্যান্য শিক্ষিকারা। এভাবেই চলছে গোস্বামী মালিপাড়া গার্লস হাইস্কুল। প্রধান শিক্ষিকা রুমা দত্ত জানান, ২০১৩ সালে অঙ্কের একজন শিক্ষিকা উৎকর্ষ পোর্টালের সাহায্যে বদলি হয়ে গেছেন। তিনি আসতেন পূর্ব বর্ধমান থেকে। মাঝে একজন এসেছিলেন, কিন্তু কিছুদিন পরে তিনিও চলে যান। ফলে অঙ্কের শিক্ষক ছাড়াই স্কুল চলছে।

আরও পড়ুন: নামেই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল! বহু পরিষেবা অমিল

এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে একজন বৃদ্ধ গৃহ শিক্ষককে দিয়ে অঙ্কের ক্লাসগুলো পড়াতে হচ্ছে। সেই অঙ্কের শিক্ষক হামিদ হোসেন জানান, বাচ্চারা স্কুলে আসছে ঠিকই, কিন্তু শিখছে কম। পড়াশোনায় অনিহা আছে। এবারে ৪০ জন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ছিল।অঙ্কের ফল খুব ভাল হয়নি। গোড়ায় গদল হয়ে যাচ্ছে।প্রাথমিকে কিছু না শিখেই হাই স্কুলে চলে আসছে।

প্রধান শিক্ষিকা বলেন, খুব সমস্যার মধ্যে দিয়ে স্কুল চালাতে হচ্ছে। অংকে শিক্ষক না থাকায় বাইরে থেকে একজনকে কিছু পয়সা দিয়ে অঙ্ক শেখানোর ব্যবস্থা করেছি। পাশাপাশি কোন‌ও ক্লার্ক ও গ্রুপ-ডি না থাকায় সেই কাজও আমাদেরকেই করতে হচ্ছে। বছরে একটা দিনও ছুটি নিতে পারি না। দফতরকে জানালেও কোনও লাভ হয়নি।

এই প্রসঙ্গে এলাকার বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত বলেন, স্কুল আমাকে একটা চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করব। হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি এলাকারই বাসিন্দা রঞ্জন ধারা বলেন, সমস্যা আছে, কিন্তু মিটে যাবে।

রাহী হালদার