Tag Archives: Para Teacher

Durga Puja 2024: ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে সরব চা শ্রমিকরা, পুজোর আগেই বড় দাবি তাদের

আলিপুরদুয়ার: পুজো সামনে, আর বোনাস নিয়ে যথেষ্ট আশায় রয়েছেন চা বাগানের শ্রমিকরা। গতবার কোথাও ১৯% আবার কোথাও ১১% বোনাস দেওয়া হয়েছিল। তবে এবারে একটাই দাবি দিতে হবে ২০% বোনাস।

এদিন দুপুরে আয়োজিত হতে চলেছে চা বাগানের ভার্চুয়াল পুজো বোনাস বৈঠক। এবছরের প্রথম পুজো বোনাস বৈঠক এটাই। এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন শ্রমিকরা। ইতিমধ্যে কুড়ি শতাংশ হারে বোনাস প্রদানের দাবি করেছে বিজেপির চা বাগান সংগঠন বিটিডাব্লুইউ। এই বিষয়ে বিটিডিব্লুইউ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজেষ বারলা জানান, আমাদের দাবি উত্তরবঙ্গের চা বাগানের শ্রমিকদের কুড়ি শতাংশ বোনাস দিতে হবে। কিছু কিছু চা বাগান আছে যাদের অবস্থা খারাপ তাদের ছাড় দেওয়া হবে,প্রতিবার ছাড় দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: শুধু পাঠ্য বই নয়, এই স্কুলে পড়া হয় খেলার ছলে! দেখুন

এই পুজো বোনাস নিয়ে যথেষ্ট আশায় থাকেন শ্রমিকরা। কারণ উৎসবের মরশুমে এই টাকা দিয়েই তারা আনন্দে সামিল হন। পুজোর কেনাকাটা, খাওয়া দাওয়া করেন।নতুন কিছু ঘরে এলে তাঁদের এই পুজো বোনাসের মাধ্যমে হয়।এবারে কম বোনাস মানা হবেনা বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিল তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা ওমদাস লোহারা। তিনি জানান,  ন্যায্য বোনাস দিতে হবে কম বোনাস মানা হবেনা।কারণ এবারে চায়ের উৎপাদন ভাল হয়েছে। মালিকপক্ষ উৎপাদন নিয়ে কোনও কথা বলতে পারবেন না।

অনন্যা দে

Maths Teacher: সরকারি স্কুলে অঙ্কের ক্লাস নেন প্রাইভেট শিক্ষক! পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন

হুগলি: একজন প্রাইভেট শিক্ষকের কাঁধে দায়িত্ব মেয়েদের অঙ্ক শেখানোর। মেয়েরা পারে না এমনটা কিন্তু নয়। তারা বিজ্ঞান জানে, স্কুলের প্রোজেক্টে নিজেদের মন থেকেই সৌরজগতের ছবি বানিয়ে আনে। তারা বিজ্ঞান পড়ে, আত্মরক্ষার জন্য ক্যারাটেও শেখে। প্রায় ৪০০ ছাত্রী রয়েছে হুগলির গোস্বামী মালিপাড়া গার্লস হাইস্কুলে। এই স্কুলে ৭ জন স্থায়ী শিক্ষক, তিনজন প্যারা টিচার। নেই কোন ক্লার্ক, গ্রুপ ডি। সেইসঙ্গে নেই অঙ্কের কোন‌ও স্থায়ী শিক্ষক। গত কয়েক বছর ধরেই এমন পরিস্থিতিতে চলছে স্কুল।

হুগলির এই স্কুলে ক্লার্কের কাজ করতে হয় প্রধান শিক্ষিকা’কেই। গ্রুপ-ডি’র কাজও তাঁকেই করতে হয়। মিড ডে মিল দেখাশোনা করেন স্কুলের অন্যান্য শিক্ষিকারা। এভাবেই চলছে গোস্বামী মালিপাড়া গার্লস হাইস্কুল। প্রধান শিক্ষিকা রুমা দত্ত জানান, ২০১৩ সালে অঙ্কের একজন শিক্ষিকা উৎকর্ষ পোর্টালের সাহায্যে বদলি হয়ে গেছেন। তিনি আসতেন পূর্ব বর্ধমান থেকে। মাঝে একজন এসেছিলেন, কিন্তু কিছুদিন পরে তিনিও চলে যান। ফলে অঙ্কের শিক্ষক ছাড়াই স্কুল চলছে।

আরও পড়ুন: নামেই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল! বহু পরিষেবা অমিল

এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে একজন বৃদ্ধ গৃহ শিক্ষককে দিয়ে অঙ্কের ক্লাসগুলো পড়াতে হচ্ছে। সেই অঙ্কের শিক্ষক হামিদ হোসেন জানান, বাচ্চারা স্কুলে আসছে ঠিকই, কিন্তু শিখছে কম। পড়াশোনায় অনিহা আছে। এবারে ৪০ জন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ছিল।অঙ্কের ফল খুব ভাল হয়নি। গোড়ায় গদল হয়ে যাচ্ছে।প্রাথমিকে কিছু না শিখেই হাই স্কুলে চলে আসছে।

প্রধান শিক্ষিকা বলেন, খুব সমস্যার মধ্যে দিয়ে স্কুল চালাতে হচ্ছে। অংকে শিক্ষক না থাকায় বাইরে থেকে একজনকে কিছু পয়সা দিয়ে অঙ্ক শেখানোর ব্যবস্থা করেছি। পাশাপাশি কোন‌ও ক্লার্ক ও গ্রুপ-ডি না থাকায় সেই কাজও আমাদেরকেই করতে হচ্ছে। বছরে একটা দিনও ছুটি নিতে পারি না। দফতরকে জানালেও কোনও লাভ হয়নি।

এই প্রসঙ্গে এলাকার বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত বলেন, স্কুল আমাকে একটা চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করব। হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি এলাকারই বাসিন্দা রঞ্জন ধারা বলেন, সমস্যা আছে, কিন্তু মিটে যাবে।

রাহী হালদার

Road Accident: গৃহ প্রবেশের বাজার করতে গিয়ে ফেরা হল না, নতুন ঘরে ঢোকা অধরাই থেকে গেল শিক্ষিকার!

শিলিগুড়ি: নতুন বাড়ির গৃহপ্রবেশের জন্য প্রবল উৎসাহ নিয়ে বাজার করতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু জীবিত অবস্থায় শেষ পর্যন্ত আর সেই নতুন বাড়িতে ঢোকা হল না রাখি বিশ্বাস রায়ের (৪০)। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এই শিক্ষিকার। বুধবার শিলিগুড়ির বিধান মার্কেট এলাকার কাছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।

বুধবার সকালে গৃহরবেশের বাজার করে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান এই শিক্ষিকা। রাখি বিশ্বাস রায় শিলিগুড়ির ২১ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। বর্তমানে তিনি শিলিগুড়ির একটি স্কুলে প্যারা টিচার হিসেবে কাজ করতেন। আগামী ১১ জুলাই তাঁর নতুন বাড়ির গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তাই দিদিকে সঙ্গে নিয়ে এদিন সকালে বিধান মার্কেটে বাজার করতে গিয়েছিলেন। বাজার করার শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ভেনাস মোড় থেকে হাসপাতাল মোড়ের দিকে যাওয়ার সময় একটি স্কুল বাস সজোরে ধাক্কা মারে একটি অটোকে। তখন ফুটপাত ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন রাখিদেবী। বাসের ধাক্কায় আচমাই অটোটি এসে তাঁকে সজোরে আঘাত করে।

আরও পড়ুন: দলছুট হরিণকে ধরতে কালঘাম ছুটল বনকর্মীদের

অটোর ধাক্কায় গুরুতর আহত হন এই স্কুল শিক্ষিকা। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে ট্রাফিক পুলিশ। তৎক্ষণাৎ সেই মহিলাকে চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত শিক্ষিকার জামাইবাবু সুনীলচন্দ্র রায় জানান, গৃহপ্রবেশের বাজার করতে গিয়ে এমন দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হবে তা ভাবতে পারিনি। এই ঘটনায় ট্রাফিক ব্যবস্থার চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল অবস্থাকে দুষেছেন তিনি।

অনির্বাণ রায়