হুগলি: কোন্নগর শিশু খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। গ্রেফতার শিশুর মা শান্তা শর্মা ও তার বান্ধবী ইফফাত পারভিন। বান্ধবীকে ওয়াটগঞ্জ থানার খিদিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। শ্রীরামপুর ডিসিপি অর্ণব বিশ্বাস উত্তরপাড়া থানায় সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, দুজনের গভীর বন্ধুত্ব ছিল। বিয়ের আগে থেকে ছিল সেই বন্ধুত্ব। শান্তার বিয়ে হয় ২০১২ সালে। পারভিনের বিয়ে হয় ২০১৮ সালে। তবে মাস খানেকের মধ্যে স্বামীর ঘর ছেরে চলে আসে সে। দুজনে দুজনের বাড়ি যাতায়াত করত সেটা তাদের পরিবার জানত। গভীর রাত পর্যন্ত ফোনে গল্প করত। ঘটনার পরদিন পারভিন শান্তার বাড়ি আসে সমবেদনা জানাতে।
গত ১৬ তারিখ শুক্রবার সন্ধ্যায় খুন করা হয় শ্রেয়াংশকে। তার পরদিন শিশুর মাকে দেখা যায় তাদের পোষ্য কুকুর স্যাডোকে বিস্কুট খেতে দিতে।স্যাডো যদিও সেই বিস্কুট খায়নি। বরং কোনও রকম প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি, তার কুকুরকে তার মায়ের প্রতি। সেখানে তার মা সে পশুকে দেখে এমন কিছু কথা বলে যা খুবই রহস্যজন। সেখানে শান্তাকে বলতে শোনা যায় শ্যাডোকে লক্ষ্য করে, স্যাডো কি তার প্রতি রেগে রয়েছে এখনও! যদি রেগে থাকে, সে যেন তাকে ক্ষমা করে দেয়!
আরও পড়ুন: বলুন তো, ভারত-বাংলাদেশ ছাড়া আর কোন দেশের সরকারি ভাষা বাংলা? নাম শুনে মাথায় হাত পড়বে আপনার
এ সমস্ত কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে উঠে আসে এক অন্যরকম ভাবনা। কারণ গোটা ঘটনায় এক মাত্র সাক্ষী ছিল তার পোষ্য কুকুর। কারণ ঘটনার দিন যে কুকুর সকলকে দেখে চিৎকার করে সেই কুকুরের মুখ থেকে বেরোয়নি কোনও টু শব্দ।
আরও পড়ুন: বলুন তো, ভারতের সবচেয়ে দূষিত শহর কোনটি? আপনি থাকেন নাকি? নাম শুনেই আঁতকে উঠবেন
এই বিষয়ে ডিসিপি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে যে সব তথ্য প্রমাণ মিলেছে তার ভিত্তিতে। ফরেনসিক তদন্তের রিপোর্ট ও ফিঙ্গার প্রিন্ট রিপোর্ট এলাকার সিসি টিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের জেরা করে নিশ্চিত হওয়া যায় খুনের পিছনে শিশুর মা ও তারা বান্ধবী আছে। তার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় দুজনকে। দুজনকেই শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হবে, রিমান্ডে নিয়ে তদন্ত এগোবে।
—– রাহী হালদার