গ্রামের কৃষক 

Lok Sabha Election 2024: ভোট নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষকরা কী বলছেন?

উত্তর দিনাজপুর: রাজা আসে-যায়, রাজা বদলায়। কিন্তু কিছুই বদলায় না তাঁদের, লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে ঠিক এমনই আক্ষেপ ঝরে পড়ল অসহায় কৃষকদের কন্ঠ থেকে। আগামী ২৬ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে। তার আগে এমনই আক্ষেপ শোনা গেল সেখানকার কৃষকদের ভিতর থেকে।

লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে ভোট প্রচার। চড়চড় করে বাড়ছে ভোটের উত্তাপ। রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা একে অপরকে টেক্কা দিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন ময়দানে। কিন্তু ভোটে তো শেষ কথা বলে জনতা জনার্দন। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে এবার জনতা জনার্দন কী বলছেন?

আর‌ও পড়ুন: বিদ্যুতের বিল নিয়ে বিভ্রাট, টাকা দিয়েও অতান্তরে কৃষকরা! ব্যাঘাত চাষের কাজে

উত্তর দিনাজপুর জেলা কৃষি প্রধান এলাকা। এখানকার প্রধান ফসল ধান, পাট, গম ,ভুট্টা। এবার ভোটে কৃষকদের প্রত্যাশাই বা কী? একদিকে কৃষক অন্য দিকে টোটো চালক মনঞ্জুর আলম জানান, রাজা আসে রাজা যায়, কিন্তু কৃষকদের দিকে কেউ তাকায় না। প্রতিদিন বীজের দাম থেকে সারের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষকদের ন্যায্য পাওনা কেউ দিচ্ছে না। তাই শুধুমাত্র কৃষিকাজ করে দিন চলছে না। বেরোতে হচ্ছে টোটো নিয়ে। এরকমই আর এক কৃষক হুসেন মোহাম্মদ জানান, সারের দাম থেকে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গরিবদে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম এত বেড়ে গেছে আমাদের খেটে খাওয়া মানুষদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সারাদিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় করাও সম্ভব হচ্ছে না।

আর‌ও পড়ুন: গাছে পেরেক দিয়ে ভোটের ফ্লেক্স, ব্যানার টাঙানো ঠেকাতে এগিয়ে এলেন ‘ওঁরা’

তবে মহিলাদের একাংশ আবার বলছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেখেই ভোট হবে। অপর দিকে অন্য এক কৃষক জানান, সারাদিন খেটে সকলের পেটের ভাত যোগান সম্ভব কিনা সেই চিন্তাতেই থাকি। ফলে ভোট নিয়ে কী চিন্তা করব? নির্বাচনের আবহে তাই নির্বিকার উত্তর দিনাজপুর জেলার কৃষকরা। ভোট আসে ভোট যায়। গ্রামে গ্রামে দলে দলে ভিড় জমে লাল নীল গেরুয়া শিবিরের। কিন্তু দিন বদলায় না গরিব কৃষকদের। নির্বাচনের সময় মিলে শুধু প্রতিশ্রুতি। কিন্তু নির্বাচন শেষে কথা রাখে না কেউ। তাই ভোট নিয়ে তেমন কোন‌ও মাথা ব্যথা নেই গ্রামের শ্রমজীবী দিন আনা খাওয়া মানুষদের।

পিয়া গুপ্তা