Teesta River: গত বছরের দুঃসহ স্মৃতি আজও টাটকা, বর্ষা আসতেই তিস্তার আগ্রাসীর রূপ নিয়ে চিন্তা

জলপাইগুড়ি: বর্ষা আসতেই ভাঙনের চিন্তায় কাতর তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা। গত বর্ষায় তিস্তার ভয়াল রূপের আতঙ্ক আজও মোছেনি এখানকার মানুষের মন থেকে। এই বর্ষাতে আবার কী হয় সেই ভাবনায় অসহায় মানুষগুলোর কপালে চিন্তার ভাঁজ এখন থেকেই।

গত বছর বর্ষাকালে তিস্তার ভয়ঙ্কর রূপের সেই ভয় যেন আজও তাজা তিস্তা পাড়ের বাসিন্দা রুমাবালার মনে। তাই এবার জলপাইগুড়িতে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হতেই নৌকোয় আলকাতরা মাখিয়ে প্রস্তুত হয়ে আছেন, যাতে প্রয়োজনে নিরাপদ আশ্রয়ে দ্রুত চলে যেতে পারেন। একইরকম প্রস্তুতিতে ব্যস্ত জলপাইগুড়ি সংলগ্ন ময়নাগুড়ি ব্লকের বাসুসুবা গ্রামের আরও অনেকে।

আর‌ও পড়ুন: মাল্টিন্যাশনালের চাকরি ছেড়ে ফল চাষ! মোটা টাকা কামাচ্ছেন এই যুবক

বর্ষা এলেই তিস্তার জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করে, পাশাপাশি জল ঢুকতে শুরু করে তিস্তা পাড় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের বাসস্থানে। গত দু’দিন যাবত খানিক বৃষ্টি হওয়াতেই সেই ভয় ফের দেখা দিয়েছে তাঁদের চোখে-মুখে। এছাড়াও বেশ কয়েক জায়গায় বাঁধ সঠিকভাবে না থাকায় ধসের চিন্তায় আরও আতঙ্কিত এলাকাবাসী। ২০২৩ সালের বর্ষায় উত্তর সিকিমের ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের স্রোত বয়ে গিয়েছিল সমতলের বুক চিরে প্রবাহিত তিস্তার বুকের উপর দিয়ে। ভেসে গিয়েছিল বিঘার পর বিঘা জমির ফসল, তিস্তা পাড়ের বাসুসুবা গ্রাম সহ অন্যান্য জনপদের স্বাভাবিক জনজীবন।

হাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা। বর্ষা প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে বৃষ্টির দাপটে ভূমিধস। সম্প্রতি পশ্চিম সিকিমে ভূমি ধসে প্রাণ হারিয়েছেন চার জন। তাই তড়িঘড়ি ধান শুকিয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে এখানকার গ্রামের মানুষের। এবার আর কেউ ঝুঁকি নিতে চান না।

সুরজিৎ দে