Phalaharini Amavasya 2024: ফলহারিণী অমাবস্যায় পর্যটক থেকে স্থানীয় বাসিন্দা, তারাপীঠের কেউই এদিন ফল খান না

বীরভূম: প্রতি বছরের মত এবারও সাড়ম্বরে ফলহারিণী কালীপুজো পালিত হল তারাপীঠে। জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথি ফলহারিণী অমাবস্যা নামে খ্যাত। এই দিনেই পূজিত হন আদিশক্তি। এই অমাবস্যা তিথিতে কথিত রয়েছে আদিশক্তি মা কালী তথা মা তারাকে ফল দিয়ে ভোগ নিবেদন করতে হয়।আর ফল নিবেদন করলে মনস্কামনা পূরণ হয়।

এই বিশ্বাস থেকে এমন দিনে ফল দিয়ে মা তারাকে পুজো করেন ভক্তরা। ফলহারিণী অমাবস্যা উপলক্ষে তারাপীঠে তারা মায়ের নিশিরাতে পুজো ও আরতি হয়। রাতে মাকে ফুল এবং ফলের মালা দিয়ে রাজবেশে সাজানো হয়। যে ফল বিগ্রহকে নিবেদন করা হয় সেই ফল আর পরে প্রসাদ রুপে খাওয়া যায় না। ফলহারিণী অমাবস্যা উপলক্ষে তারাপীঠে আরতি হয় তিনবার।

আর‌ও পড়ুন: মাথায় গাছের ফেট্টি, গায়ে ফুল! একমনে গাছ লাগাচ্ছেন রাস্তার পাশে… চেনেন কে এই ‘হ্যালো’?

মা তারাকে এই বিশেষ দিনে দু’বার ভোগ নিবেদন করা হয়। দুপুরের মা তারাকে সাদা ভাত, খিচুড়ি পোলাও, পাঁচ রকম ভাজা, মিষ্টি, মাছের মাথা, শোল মাছ পোড়া এবং কারণ সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হয়। রাতে ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় পাঁচ রকমের ভাজা, খিচুড়ি, পোলাও, পাঁঠার মাংস। এই তিথিতে দেবীর আরাধনায় অশুভ কর্মফল নাশ হয় এবং শুভ ফলপ্রাপ্তি হয় বলে বিশ্বাস করেন ভক্তরা।

এবার ফলহারিণী অমাবস্যা শুরু হচ্ছে বুধবার সন্ধে ৭ টা ১৫ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড থেকে, চলবে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা ৫৩ মিনিট ৩১ সেকেন্ড পর্যন্ত। যেহেতু এদিন সন্ধেতে আমাবস্যা শুরু হচ্ছে তাই মা তারাকে রাজরাজেশ্বরী বেশে সাজিয়ে লিচু, আম, আপেল, বেদানা বিভিন্ন ফল দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হবে। পাশাপাশি ফলের মালা পরিয়ে পুজো শুরু হবে।

মন্দিরের পাশাপাশি তারাপীঠ মহাশ্মশানে সন্ধের পর থেকেই বিভিন্ন সাধু সন্ন্যাসীরা শুরু করবেন মহাযজ্ঞ। যেহেতু এদিন সন্ধেতে মা তারাকে ফল নিবেদন করে ভোগ দেওয়া হবে, তাই এই দিন তারাপীঠে আগত পর্যটক থেকে শুরু করে তারাপীঠ এলাকার বাসিন্দা এবং পুরোহিতরা কেউ সকাল থেকে কোনওরকম ফল খান না। মা তারাকে ফল দিয়ে ভোগ নিবেদনের পরেই পুরোহিতরা ফলের ভোগ গ্রহণ করে থাকে।

তারাপীঠের কৌশিকী অমাবস্যার মতই এই ফলহারিনি আমাবস্যার মাহাত্ম্য রয়েছে। আর সেই কারণেই বহু দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকরা তারাপীঠ মা তারার মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য ছুটে আসেন। তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, আগত পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে মন্দির কমিটির তরফ থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সৌভিক রায়