ফলহারিণী কালীপুজো

Phalaharini Kali Puja: সারারাত ফলহারিণী কালীপুজো, নামল ভক্তের ঢল

মুর্শিদাবাদ: বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির বিভিন্ন মন্দিরে ফলহারিণী কালীপুজো উপলক্ষে বিশেষ পুজো, হোম যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। মন্দিরে মন্দিরে পুজো দিতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ। কান্দির বহড়ার ভান্ডেরা গ্রামে প্রাচীন ফলহারিণী কালীপুজোয় মেতে ওঠেন গ্রামের বাসিন্দারা। চলে দশ মহাবিদ্যার হোম যজ্ঞ।

বাংলায় দেবী কালী নানারূপে পূজিত হন। কোথাও তিনি দক্ষিণাকালী, কোথাও আবার ভদ্রকালী। কোথাও বা সিদ্ধকালী, গুহ্যকালী, শ্মশানকালী, মহাকালী কিংবা রক্ষাকালী। একেক ভক্তের কাছে দেবী যেন একেক রূপে ধরা দিয়েছেন। কেউ দেবীকে ডাকেন আনন্দময়ী, কেউ বা ডাকেন ব্রহ্মময়ী। কেউ আবার ডাকেন ভবতারিণী রূপে। শাক্ত মতে, প্রতি অমাবস্যা তিথিতেই দেবী কালীর আরাধনা করা হয়। তার মধ্যে একেক অমাবস্যা নির্দিষ্ট রয়েছে দেবীর একেক রূপের আরাধনার জন্য। যেমন কার্তিক মাসের অমাবস্যায় হয় দীপান্বিতা কালীপুজো। তেমনই জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যায় হয় ফলহারিণী কালীপুজো। ফলহারিণী কালীপুজো উপলক্ষে দশ মহাবিদ্যার যজ্ঞের আয়োজন করা হয়।

আর‌ও পড়ুন: ভয়ঙ্কর সুন্দর শিল্প! দেখুন ডোকরার জটিল প্রক্রিয়া

এবছর ফলহারিণী বুধবার সন্ধে ৭ টা ১৫ মিনিটে শুরু হয় ফলহারিনী কালীপুজো। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা ৫৩ মিনিটে পর্যন্ত থাকবে অমাবস্যা। এছাড়াও বুধবার মধ্যরাতে দশ মহাবিদ্যার পুজো উপলক্ষে বিশেষ হোম যজ্ঞ হয়। মূলত মরশুমি ফল (আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, তরমুজ, তালশাঁস) দিয়ে এই পুজো করাই রীতি। দেবীকে নানারকম মরশুমি ফল দিয়ে পুজো করা হয়।

কৌশিক অধিকারী