সামনেই বর্ষাকাল, তার আগেই ফুঁসছে নদী 

River Erosion Panic: বর্ষার আগেই ভাঙন আতঙ্কে ভাগীরথীর পাড়ের বাসিন্দারা

নদিয়া: সামনেই আসছে বর্ষাকাল, এখন থেকেই নদীর গতি পরিবর্তন হওয়া শুরু করেছে। দু’দিনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে অতিরিক্ত ফুঁসেছিল নদী। উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে গেলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনও বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়নি। কিন্তু তার আগেই চঞ্চল হয়ে উঠেছে নদী। এবার নদীর ভাঙন শুরু হওয়ায় চিন্তাতে ঘুম উড়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দার। ঘটনাটি শান্তিপুর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামচাঁদ ঘাট তীরবর্তী এলাকার।

স্থানীয়দের দাবি, কয়েক মাস ধরে নদীর পাড়ের ভাঙন রোধ করার জন্য বিক্ষিপ্তভাবে বালির বস্তা ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। তবে এই ঘাট সংলগ্ন এলাকায় এখনও কাজ শুরু হয়নি। নদীর পাড়েই রয়েছে বিঘা বিঘা চাষের জমি। কেউ চাষ করেছেন পাট, কেউ চাষ করেছেন অন্যান্য সবজি। তবে এখন থেকেই নদীর উত্তাল অবস্থা দেখে ভয় পাচ্ছেন স্থানীয়রা। একটাই আশঙ্কা, এই বুঝি আবার শুরু হল ভাঙন। আসলে প্রতিবছরই নদী ভাঙনের জেরে এই এলাকার বাসিন্দাদের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। ফলে তাঁদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে একটা আতঙ্ক আছেই।

আর‌ও পড়ুন: হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যুবকের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার

এখানকার বাসিন্দাদের নদী ভাঙনের জেরে প্রায় প্রতিবছর নিয়ম করে বর্ষাকালে ভিটেমাটি ছেড়ে চলে যেতে হয় অন্যত্র। এছাড়াও বেশ কিছু চাষের জমি ইতিমধ্যেই নদী বক্ষে চলে গিয়েছে। স্থানীয়দের ক্ষোভ, ভোটের সময় বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারা নদী ভাঙন রোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজের কাজ কিছু হয় না। প্রয়োজন পাকাপোক্তভাবে কাজ করা। কারণ বালির বস্তা ফেলে কখনও নদীর ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। তবে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ পরিষ্কারই জানিয়েছে, গত দুদিনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাটি নরম হতে শুরু করেছে‌। আর যেভাবে জলোচ্ছ্বাস বেড়ে চলেছে তাতে করে যখন তখন ভাঙন শুরু হ‌ওয়ার আশঙ্কা থেকেই দিয়েছে।

মৈনাক দেবনাথ