বাগানের মধ্যে চড়ুইভাতির আয়োজন

Summer Picnic: এই গরমে চড়ুইভাতি! অবাক কাণ্ড অধ্যাপকদের

নদিয়া: এই প্যাচপ্যাচে গরমে চড়ুইভাতি! এর আগে নিশ্চয়ই কখনও শোনেননি। কিন্তু সেটাই করে দেখালেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল অধ্যাপক ও গবেষক। ব্যাপারটা শুনতে বেজায় বিস্ময়কর হলেও পুরোটা জানলে অন্যরকম মনে হবে আপনার।

আসলে লিচু উৎসব পালন করতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা লোকসংস্কৃতি গবেষক বিভাগের ছাত্রছাত্রী এবং অধ্যাপকদের একটি দল শান্তিপুর এসেছিল। তাঁরা সেখানকার এক লিচু বাগানে লিচু উৎসবে অংশ নিয়ে চড়ুইভাতি করেন। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নারায়ণ হালদার জানান, নদিয়া জেলার শান্তিপুরেই তাঁর আদি বাড়ি। সেই সুবাদেই প্রতিবার নানান জেলায় ছড়িয়ে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গরমের সময় দেশের বাড়ির লিচু বাগানে চড়ুইভাতি করেন। এর ফলে কলকাতা এবং শহরতলীর ছাত্র-ছাত্রীরা লিচু দেখা, খাওয়া এবং গাছ থেকে পাড়ার অনাবিল আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পান।

আর‌ও পড়ুন: রচনার জয়ের আনন্দে সিঙ্গুরের কালীমন্দিরে পুজো হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার

পাশাপাশি বাংলার আমের মত লিচু’ও যাতে জিআই ট্যাগ পায় সেই দাবি তুলেছেন নারায়নবাবু। বাগানের আম দিয়ে তৈরি টক ডাল, ক্ষেতের পটল, বেগুন-ঢেঁড়স ভাজা, পাট শাক, গ্রামের পুকুরের দেশি কাতলা, গঙ্গার পাবদা, শান্তিপুরের দই এবং নিখুঁতি এই ছিল চড়ুইভাতির মেনু। তবে মেনু যাই হোক মূল মেনু অবশ্যই লিচু। খাওয়ার আগেই পরে টপাটপ মুখে পোড়েন সবাই। ছবি তোলা, সারাদিন গাছে ওঠা, এ বাগান থেকে সে বাগান হেঁটে বেড়ানো এ সব তো ছিল‌ই।

মৈনাক দেবনাথ