Tag Archives: Professor

Medical College dean of students removed: সরিয়ে দেওয়া হল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ডিন মানব নন্দীকে, কেন এই পদক্ষেপ?

কলকাতা: হাসপাতালে আবার রদবদল। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ডিন অফ স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল চিকিৎসক মানব নন্দীকে। পরিবর্তে নতুন ডিন হচ্ছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক চিকিৎসক অরূপ চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন: মাঝরাতে জেলের মধ্যে পায়চারি, রবিবার পলিগ্রাফ টেস্টের আগেই মুখ খুলল সঞ্জয়?

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অভিযোগ উঠেছিল হস্টেলে ঘর পেতে গেলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করতে হবে। হস্টেলের সুপার তথা ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক চিকিৎসক সুহেনা সরকার এবং এনাটমি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক চিকিৎসক ঈশিতা সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছিলেন এক ছাত্রী।

আরও পড়ুন: দেশের সবচেয়ে বড় ইনকাম ট্যাক্স রেইড, ১০ দিন ধরেও টাকা গোনা শেষ হয়নি! কত নগদ উদ্ধার হয় জানেন?

অভিযোগ পাওয়ার পরেই পদক্ষেপ করা হয়। অভিযোগকে কেন্দ্র করে মেডিক্যাল কলেজের তরফ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, ছাত্রদের সমস্ত কাজকর্ম থেকে এবং ডিন অফ স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স সংক্রান্ত সমস্ত জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়া হল মানব নন্দীকে।

আরও পড়ুন: ‘নবান্ন চলো’ অভিযান নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কলকাতা হাই কোর্টের, কী জানাল ডিভিশন বেঞ্চ?

আরজি কর কাণ্ডের পরে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে রদবদলের ঘটনা ঘটেছে। দু’বার বদল করা হয়েছে আরজি কর হাসপাতালের সুপার, অন্যান্য হাসপাতালগুলিতেও টুকটাক বদল হয়েছে। এবার পড়ুয়াদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে।

Guest Professors Agitation: দু’মাস ধরে বেতন হচ্ছে না অতিথি অধ্যাপকদের, প্রতিবাদে উপাচার্যের ঘরে তালা দিয়ে বিক্ষোভ!

দক্ষিণ দিনাজপুর: অতিথি অধ্যাপকরা গত দু’মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। তাই নিয়েই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়। অবিলম্বে বকেয়া বেতন দিতে হবে, এই দাবি তুলে অতিথি অধ্যাপকরা উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের ঘর তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।

যদিও অতিথি অধ্যাপকদের বেতন বকেয়া থাকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সাফাই দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, অতিথি অধ্যাপকদের কাগজপত্র খতিয়ে দেখতে গিয়ে কিছু গরমিল খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। এরপরই সমস্ত অতিথি অধ্যাপকদের কাগজপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেই কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাঁশির সুরে ভেসে আসছে মানুষের কণ্ঠস্বর! কোথায় জানেন?

জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৮ জন অতিথি অধ্যাপক রয়েছেন। কয়েকজন অন্য কলেজের অধ্যাপক। এর মধ্যে ১০-১২ জন অতিথি অধ্যাপক সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন। কারণ এঁদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতনের উপর‌ই ভরসা করে সংসার চলে। দু’মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় তাঁদের সংসারে কার্যত হাঁড়ির হাল। কেন বেতন হচ্ছে না তার কারণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অফিশিয়ালি জানায়নি বলে অতিথি অধ্যাপকদের অভিযোগ। এই বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবব্রত মিত্র বলেন, এই সমস্ত শিক্ষকদের নিয়োগ হয়েছিল প্রথম উপাচার্যের আমলে। এতদিন তাঁরা বেতন পেয়ে এসেছেন সঠিকভাবেই। হঠাৎ করে তাঁদের বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়াটা অমানবিক। কিন্তু কাগজপত্র সঠিক থাকাটাও বাঞ্ছনীয়। তিনি জানান যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে।

জানা গিয়েছে, প্রায় মাস তিনেক আগে রেজিস্ট্রারের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন কৌশিক মাজি। তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেই কর্মরত শিক্ষকদের কাগজপত্র খতিয়ে দেখা শুরু করেন। আর তা করতে গিয়েই কিছু গরমিল খুঁজে পান। যে পদ্ধতিতে নিয়োগ করা উচিৎ সেই পদ্ধতি সঠিকভাবে মেনে চলা হয়নি বলে তিনি মনে করছেন। তাই কাগজপত্র তিনি পাঠিয়েছেন উচ্চশিক্ষা দফতরে। সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলেই শিক্ষকদের বেতন আবার চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার কৌশিক মাজি।

সুস্মিতা গোস্বামী

Summer Picnic: এই গরমে চড়ুইভাতি! অবাক কাণ্ড অধ্যাপকদের

নদিয়া: এই প্যাচপ্যাচে গরমে চড়ুইভাতি! এর আগে নিশ্চয়ই কখনও শোনেননি। কিন্তু সেটাই করে দেখালেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল অধ্যাপক ও গবেষক। ব্যাপারটা শুনতে বেজায় বিস্ময়কর হলেও পুরোটা জানলে অন্যরকম মনে হবে আপনার।

আসলে লিচু উৎসব পালন করতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা লোকসংস্কৃতি গবেষক বিভাগের ছাত্রছাত্রী এবং অধ্যাপকদের একটি দল শান্তিপুর এসেছিল। তাঁরা সেখানকার এক লিচু বাগানে লিচু উৎসবে অংশ নিয়ে চড়ুইভাতি করেন। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নারায়ণ হালদার জানান, নদিয়া জেলার শান্তিপুরেই তাঁর আদি বাড়ি। সেই সুবাদেই প্রতিবার নানান জেলায় ছড়িয়ে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গরমের সময় দেশের বাড়ির লিচু বাগানে চড়ুইভাতি করেন। এর ফলে কলকাতা এবং শহরতলীর ছাত্র-ছাত্রীরা লিচু দেখা, খাওয়া এবং গাছ থেকে পাড়ার অনাবিল আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পান।

আর‌ও পড়ুন: রচনার জয়ের আনন্দে সিঙ্গুরের কালীমন্দিরে পুজো হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার

পাশাপাশি বাংলার আমের মত লিচু’ও যাতে জিআই ট্যাগ পায় সেই দাবি তুলেছেন নারায়নবাবু। বাগানের আম দিয়ে তৈরি টক ডাল, ক্ষেতের পটল, বেগুন-ঢেঁড়স ভাজা, পাট শাক, গ্রামের পুকুরের দেশি কাতলা, গঙ্গার পাবদা, শান্তিপুরের দই এবং নিখুঁতি এই ছিল চড়ুইভাতির মেনু। তবে মেনু যাই হোক মূল মেনু অবশ্যই লিচু। খাওয়ার আগেই পরে টপাটপ মুখে পোড়েন সবাই। ছবি তোলা, সারাদিন গাছে ওঠা, এ বাগান থেকে সে বাগান হেঁটে বেড়ানো এ সব তো ছিল‌ই।

মৈনাক দেবনাথ