প্রযুক্তি AC Earthing: বাড়িতে AC লাগানোর আগে এই কাজটা করে নিন! না হলে সামান্য টাকা বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যুও হতে পারে Gallery May 3, 2024 Bangla Digital Desk অনেক সময় আমরা খালি পায়ে মাটিতে রেখে ল্যাপটপ, ওয়াশিং মেশিন বা ফ্রিজ স্পর্শ করলে কারেন্টের হালকা শক পাই। এর কারণ ঘরের আর্থিং না থাকা। ঘরে আর্থিং করা থাকলে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ত্রুটি হলেও কারেন্ট মাটির ভিতরে চলে যায়। এমন পরিস্থিতিতে আপনি যখন ডিভাইস স্পর্শ করবেন তখন শক অনুভব করবেন না। যখনই একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রে ত্রুটি হয় তখন বাইরে থেকে কারেন্ট প্রবাহিত হতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ভুলবশত কেউ ওই যন্ত্রটিকে স্পর্শ করলে প্রবল বৈদ্যুতিক শক পেতে পারে। প্রাণহানিও হতে পারে এক্ষেত্রে। ভারী ভোল্টেজ ইকুইপমেন্টের ক্ষেত্রে মেইন তার এসির বডি স্পর্শ করা তারের কানেকশন ঢিলে হয়ে গেলে মেটাল বডি দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হতে থাকে। তখন যে কেউ শক পেতে পারেন। বিদ্যুতের বিপদ থেকে বাঁচতে বাড়িতে এসি বা যে কোনও বড় যন্ত্র ইনস্টল করার আগে আর্থিং করিয়ে নেওয়া ভাল। বাড়ির ওয়ারিং করানোর সময়ই আর্থি করিয়ে নিতে পারেন। এতে অনেক বিপদের হাত থেকে বাঁচা যায়। খরচও খুবই কম হয় আর্থিং করাতে। আর্থিং অনেক ধরনের হয়। তবে বাড়িতে মূলত চার ধরনের আর্থিং করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে বার, প্লেট, পাইপ এবং স্ট্রিপ আর্থিং। আপনি আপনার সুবিধা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এই আর্থিং এর যে কোন একটি করতে পারেন। আর্থিং এর জন্য আপনাকে সবসময় একজন প্রশিক্ষিত ইলেকট্রিশিয়ানের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রযুক্তি AC Buying Rule According To Room:কত মাপের ঘরে কত টনের এসি দরকার? ভুল হলেই হবে সর্বনাশ, এখন দেখে নিন সঠিক মাপ Gallery May 2, 2024 Bangla Digital Desk প্রচণ্ড গরমে এসি কেনার ধুম লেগেছে৷ কিন্তু আপনি আপনার ঘরের জন্য সঠিক এসি কিনছেন কি? তার জন্য প্রথম যেটি দেখতে হবে, সেটি হল আপনার ঘরের আকার কত! অর্থাৎ আপনার ঘরের আকারের উপরেই নির্ভর করতে কত টনের এসি আপনাকে কিনতে হবে৷ হ্যাঁ, তাই এসি কেনার আগে প্রথমেই আপনি ঘরের মাপ সম্পর্কে একটি পরিস্কার ধারণ তৈরি করুন৷ ঠিক কত বড় ঘর আপনি ঠান্ডা করতে চাইছেন, সেটা দেখে নেওয়ার জন্য আপনাকে ঘরের মাপ জানতে হবে৷ কারণ, এক-একটি নির্দিষ্ট মাপের এসি এক একটি নির্দিষ্ট মাপের ঘরকেই ঠান্ডা করতে পারে৷ বলা হয়, তাপের পরিমাপ হলো বিটিইউ বা ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট। এসির পরিমাণ হিসাব করার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান৷ সাধারণত যে হিসাব করা হয়, তাতে এক টনের একটি এসি প্রতি ঘন্টায় ১২০০০ বিটিইউ গরম বায়ু অপসারণ করতে পারে। সেই হিসাবে ২ টনের এসি গরম বাতাসের ২৪০০০ বিটিইউ অপসারণের ক্ষমতা রাখে। এই ভাবে এসির ক্ষমতার নির্দিষ্ট হিসাব চলতে থাকে। এর মানে যার কাছে যত বেশি টনেজ থাকবে, তত দ্রুত ঘরের বাতাস ঠান্ডা হবে। আরও সহজ ভাবে বললে, এক টন এসি ঘরকে এক টন বরফের শীতলতা দেবে। দুই টনের এসি থাকলে ঘর দু’টন বরফের মতো ঠান্ডা হবে। এ বার আসা যাক, আসল প্রশ্নে, কোন ঘরে কত টন এসি লাগবে৷ আপনার ঘরের মাপ যদি ১০০ থেকে ১৩০ বর্গফুটের মতো হয়, তাহলে ০.৮ থেকে ১ টন এসি লাগবে৷ আর আপনার ঘরের মাপ যদি ১৩০ থেকে ২০০ বর্গফুটের মতো হয়, তা হলে ১.৫ টন বা দেড় টন এসি লাগবে৷ আর আপনার ঘর যদি ২৫০ থেকে ৩৫০ বর্গফুটের হয়, তা হলে আপনার ২ টন এসি লাগবে৷ এ বার এর পর ৫০০ বর্গফুটের বড় একটি ঘরের জন্য লাগবে একাধিক এসি বা এর থেকেও শক্তিশালী কোনও এসি৷ বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে অনেকসময় এগুলি ব্যবহৃত হয়৷ তার মানে, আপনাকে এসি কেনার সময়েই সঠিক পরিমাণ বেছে নিতে হবে, ঘরের নির্দিষ্ট মাপ অনুসারে৷ এসি কেনার আগে তাই ভাল করে ঘরের মাপ দেখে নিন, না হলে বড় ঘরে কম শক্তিশালী এসি ব্যবহার করলে এসিরও ক্ষতি হবে, ঠান্ডাও হবে না৷
প্রযুক্তি AC Working: এত গরমে AC চাইই চাই! অথচ AC তৈরি ঘর ঠান্ডা রাখতে হয়ইনি! আসল কারণ কিন্তু চমকে দেবে Gallery May 1, 2024 Bangla Digital Desk প্রচণ্ড গরমে AC-কেই সবচেয়ে বড় বন্ধু মনে হয়। গরমের তীব্রতায় স্বস্তির জোগান দেয় AC। দাবদাহ থেকে বাঁচতে মানুষ এসি ব্যবহার করলেও এসি তৈরির উদ্দেশ্য কিন্তু মোটেও তা ছিল না। মূলত খাবার সংরক্ষণ ও ছাপাখানার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্যই এসি তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় রাখা খাদ্যদ্রব্য ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। তবে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নীচে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি দ্রুত হ্রাস পায়। তাই শুরুতে মূলত ব্যাকটেরিয়া থেকে খাদ্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা থেকেই শীতাতপনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়। আধুনিক এসির জনক হিসেবে আলোচনায় যার নামটি প্রথম আসে, তিনি আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার হ্যাভিল্যান্ড ক্যারিয়ার। ১৯০২ সালে উইলিস হ্যাভিল্যান্ড ক্যারিয়ার প্রথম বৈদ্যুতিক এয়ার কন্ডিশনার আবিষ্কার করেন। সেই এসি মূলত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। হ্যাভিল্যান্ড একটি ছাপাখানায় কাজ করতেন। সেখানকার বাতাসের আর্দ্রতা ও তাপমাত্রার কারণে ঠিকঠাক কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মূলত এ যন্ত্রের নকশা করা হয়েছিল। বাতাসের আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ছাপা কাগজের আকার ও কালির যথার্থ ব্যবহার ঠিক রাখতে এসি ব্যবহার শুরু হয়েছিল। ১৯০৬ সালে তিনি এসির জন্য আমেরিকান সরকারের পেটেন্ট পান। উল্লেখ্য, ১৮২৪ সালে রেফ্রিজারেশন নীতি আবিষ্কারের ফলে তরল অ্যামোনিয়া বাষ্পীভবনের মাধ্যমে বাতাসকে শীতল করার পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়। ১৮৪০ সালে পদার্থবিদ ও চিকিৎসক জন গরি উচ্চ তাপমাত্রা থেকে নগরবাসীকে বাঁচাতে ফ্লোরিডার শহরগুলোকে শীতল করার ধারণা প্রস্তাব দেন। তাঁর মতামত ছিল, ম্যালেরিয়ার মতো বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের একমাত্র সমাধান হতে পারে এই শীতলীকরণ পদ্ধতি। জন গরি কমপ্রেসর ব্যবহার করে রেফ্রিজারেটর তৈরি করলেও তিনি পেটেন্ট নিতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীকালে বেশ কয়েক বছর কৃত্রিম শীতলীকরণ এ ব্যবস্থার কাজ বন্ধ ছিল। এরপর উইলিস হ্যাভিল্যান্ড ক্যারিয়ার এয়ারকন্ডিশন আবিষ্কারের উদ্যোগ নেন। ১৯১৫ সালে হ্যাভিল্যান্ড ও ছয় প্রকৌশলী মিলে বিশ্বের বৃহত্তম এসি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ‘ক্যারিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৬ সালে ঘরবাড়িতে এসি ব্যবহার শুরু হয়। তখন এসিতে অ্যামোনিয়া, প্রোপেন ও মিথাইল ক্লোরাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহৃত হতো। ১৯২৮ সালে টমাস মিগলি জুনিয়র ফ্রেয়ন আবিষ্কারের মাধ্যমে আবাসিক, শিল্প ও বাণিজ্যিক কাজে মানুষের জন্য নিরাপদ এসি উদ্ভাবন করেন। ১৯৩০ সালে হোয়াইট হাউস শীতাতপনিয়ন্ত্রিত করা হয়। তবে ক্যারিয়ারের উদ্ভাবিত এসি এতটাই বিশাল ছিল যে এটি রাখতে একটি ঘরের প্রয়োজন হতো। ফলে বড় বড় কারখানা ছাড়া এই এসি তেমন একটা ব্যবহার করা যেত না। পরবর্তী সময়ে ১৯৪৫ সালে রবার্ট শেরম্যান পোর্টেবল এসি আবিষ্কার করেন, যা জানালার পাশে রেখে ব্যবহার করা যেত। এই এসি ঘরের বাতাসকে ফিল্টার করার পাশাপাশি গরমের দিনে ঘর ঠান্ডা রাখত এবং শীতের দিনে ঘর গরম রাখত। ১৯৫০ সালের ৭ অক্টোবর হ্যাভিল্যান্ড ক্যারিয়ার মারা যান। ১৯৭৯ সালে আমেরিকার ইউনাইটেড টেকনোলজিস ক্যারিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কিনে নেয়।
পাঁচমিশালি, প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল 3 স্টার, 4 স্টার, 5 স্টার…! কোন AC কিনবেন? কোন এসিতে Bill কম আসবে? কেনার আগে জানুন Gallery April 30, 2024 Bangla Digital Desk গরম যেন আর কমছেই না। পারদ যে ভাবে চড়ছে তাতে ঘর থেকে এক পা বেরনোও দায়। আর বাইরে থেকে ঘরে ঢুকলেও সঙ্গে সঙ্গে এসি চালাচ্ছেন সবাই। কিন্তু একইসঙ্গে মাথায় ঘুরছে মাসের শেষের চওড়া বিলের টেনশন। তবে যে হরে তাপমাত্রা চড়ছে কোনও তোয়াক্কা না করেই এসি কিনতে ছুটছেন মানুষ। এসির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ইএমআই-এর সুবিধা থাকায় এসি কেনাও সাধ্যের মধ্যে চলে এসেছে। তবে এসি কিনতে গিয়ে দোকানে গিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তিতে পড়েন কোন এসি কিনবেন? কত স্টার AC কিনলে মাসে মাসে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারবেন?AC কেনা নিয়ে মনে অনেক প্রশ্ন। যেমন কত স্টার রেটিং এসি কেনা ভাল হবে? এছাড়া কোন সাইজের এসি কেনা উচিত তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এসি কিনতে গিয়ে অনেকেই বুঝতে পারেন না কোন এসি কিনবেন। কোম্পানি বিশেষে এসির দামের যেমন থাকে তারতম্য তেমনই এসির ফিচার্স ও হয় নানা রকমের। বাজারে 3 স্টার, 4 স্টার, 5 স্টারের এসি পাওয়া যায়। এসি সবসময় ঘরের আকার অনুযায়ী কেনা উচিত। বেশি বড় এসি কিনলে বিদ্যুতের অপচয় বেশি হবে। আপনি যদি খুব ছোট একটি এসি কেনেন তবে এটি ঘরকে ঠান্ডা করতে সক্ষম হবে না। আপনি যদি অনেক বেশি এসি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার কত স্টার রেটিং এসি কেনা উচিত? কম ব্যবহার করলে কত স্টার কিনলে তা লাভজনক হবে? এই ধরণের প্রশ্ন বার বার উঠে আসে এসির বাজারে। 5 স্টার রেটিং-এর বা উচ্চতর রেটিং-এর এসি যদি বেছে নেওয়া হয় তবে দেখা যাবে তাদের দক্ষতার কারণে ঘরের ভিতর ঠান্ডা করার ক্ষমতা কম রেটিং-সহ অন্যান্য এসির তুলনায় দ্রুত। সুতরাং, যদি আপনি একটি 3 স্টার এসি বা 5 স্টার এসি কিনবেন কিনা তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্থ থাকেন, তাহলে এসি সম্পর্কিত সমস্ত সম্ভাব্য প্রশ্নের উত্তর জানতে এই প্রতিবেদনটি পড়া জরুরি। তবে তার আগে, আসুন একটি স্টার রেটিং এসি কী তা বোঝা যাক। কোন স্টার রেটিং এসি কেনা ভাল তা বুঝতে যে কারণগুলি প্রধান তা হল কোন স্টার রেটিং-সম্বলিত এসি বিদ্যুৎ খরচকে প্রভাবিত করে তা বোঝা। স্টার রেটিং এসিগুলি কী?একটি স্টার রেটিং অ্যাপ্লায়েন্স বা এসি তার শক্তি বা দক্ষতার মাপকাঠি নির্দেশ করে। তারার সংখ্যা যত বেশি হবে, যন্ত্রের শক্তির দক্ষতা তত বেশি হবে। সাধারণত, স্টার রেটিং 1 থেকে শুরু হয় এবং 5 এ শেষ হয়৷ 5 স্টার এসি এবং 3 স্টার এসির মধ্যে পার্থক্য:নিম্নলিখিত পয়েন্টগুলি একটি 5 স্টার এসি এবং একটি 3 স্টার এসির মধ্যে পার্থক্যগুলি বিস্তারিত করে- একটি 5 স্টার এসি তে কুলিং এবং পাওয়ার দক্ষতা 3 স্টার বিশিষ্ট এসির থেকে বেশি।3 স্টার এসির তুলনায় 5 স্টার এসি কম শক্তি খরচ করে; তাই, একজন ব্যবহারকারীকে বিদ্যুৎ বিলের টাকা বাঁচাতে সাহায্য করে এই এসি। সাধারণত, 3 স্টার এসির সঙ্গে তুলনা করার সময় 5-স্টার এসি-তে একটি বড় কনডেন্সার থাকে, যার ফলে শেষ পর্যন্ত তাপ বিনিময় হয়5 স্টার এসি 3 স্টার এসি থেকে কম তাপ উৎপন্ন করে5-স্টার রেটিং সহ এসি সারা বছর ব্যবহার করা যেতে পারেউচ্চ রেটিং-যুক্ত এসিগুলিকে শক্তিশালী বলে মনে করা হয় কারণ তারা ঘর দ্রুত ঠান্ডা করে। 3 স্টার এসি এবং 5 স্টার এসি এর মধ্যে পাওয়ার খরচের তারতম্য:AC-এর ওজনের উপর ভিত্তি করে, নিম্নলিখিত পার্থক্যগুলি 3-স্টার AC এবং 5-স্টার ACগুলিকে একে অপরের থেকে আলাদা করেছে- স্টার রেটিং ০.৭৫ টন ১ টন ১.৫ টন ২ টন3 স্টার রেটিং 542 ওয়াট 747 ওয়াট 1104 ওয়াট 1448 ওয়াট5 স্টার রেটিং 450 ওয়াট 554 ওয়াট 840 ওয়াট 1113 ওয়াট এছাড়াও, এসি কিনতে গিয়ে অন্যান্য বৈশিষ্ট্য এবং দামের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। এসি কেনার সময় কিছু বিশেষ ফিচার যেমন ওয়াই-ফাই কন্ট্রোল, এয়ার ফিল্টার এবং স্লিপ মোড ব্যবহার করা উচিত। আপনি ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি (BEE) এর ওয়েবসাইটে এসি ব্র্যান্ড এবং মডেলগুলির স্টার রেটিং সম্পর্কে জানতে পারবেন বিস্তারিত।
পাঁচমিশালি, প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল ইনভার্টার AC না নন-ইনভার্টার AC…? কোনটা কিনবেন? খরচ ‘কম’ কোন এসিতে? কেনার আগে জানা Must! Gallery April 28, 2024 Bangla Digital Desk গরমের হাঁসফাঁস হাল অব্যাহত দেশ জুড়েই। তাই এসি বা এয়ারকন্ডিশন এখন আর বিলাসতা নয় এটি এখন জনজীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। বৈশাখের শুরু থেকে সীমাহীন গরমে এসি কেনার ঝোঁক প্রবলভাবে বেড়েছে। ঘরের মাপ অনুযায়ী ১ টন, ১.৫ টন কিংবা ২ টনের এসি কেনেন অনেকেই। তবে বেশি গরম পড়ায় এসি কিনতে গিয়ে প্রায়ই দোকানে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে ক্রেতাদের। একই এয়ার কন্ডিশনিং মেশিন, অথচ ফিচার এক এক রকম। ইদানীং আবার ইনভার্টার এসি এবং নন-ইনভার্টার এসির কথা শোনা যাচ্ছে। এই দুই ধরণের এসির মধ্যে কোনটি কিনলে বিদ্যুতের খরচ কমানো যাবে বা ইনভার্টার এসি আর নন-ইনভার্টার এসির মধ্যে আদতে পার্থক্যই বা কী? আজ এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক এসির দুই বিশেষ প্রকারভেদের তারতম্যের আসল কারণ। কোনটি দ্রুত ঠান্ডা দেয় ইনভার্টার এসি না নন-ইনভার্টার?এই প্রশ্নটি অনেকের মনেই ঘুরপাক খায় যে কোন এসি দ্রুত রুম ঠান্ডা করতে পারে, ইনভার্টার নাকি নন-ইনভার্টার? প্রথমে ইনভার্টার এসির কথা বলি, এই এসির কাজ হল কম্প্রেসারের মোটরের গতি নিয়ন্ত্রণ করা। এই কারণে যখন আপনার রুম ঠান্ডা হয়ে যায়, তখন ইনভার্টার এসি কম্প্রেসারকে থামতে দেয় না কিন্তু কম্প্রেসারকে কম গতিতে চলতে দেয়। অন্যদিকে, নন-ইনভার্টার এসি ঠিক বিপরীত কাজটি করে। একটি ইনভার্টার এসির কম্প্রেসর মোটরটি তার গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। একবার ঘর ঠান্ডা কিংবা উষ্ণ হলে, ইনভার্টার প্রযুক্তির এয়ার কন্ডিশনার মেশিন শক্তি সঞ্চয় করতে থাকে। এটি ঘরের প্রয়োজন অনুযায়ী তাপমাত্রা বজায় রাখতে মোটরের গতিও কমিয়ে দেয়। এছাড়াও এক ইউনিটে পৌঁছানোর আগেই ইনভার্টার এসি গ্রিড থেকে ডিসি পাওয়ারকে এসিতে রূপান্তরিত করে। যে কারণে একদিকে যেমন মেশিনের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়, তেমনই এই প্রক্রিয়া বিদ্যুতের বিলও কম করতে সাহায্য করে। নন-ইনভার্টার এসির কম্প্রেসর নির্দিষ্ট গতি মেনে চলে। কম্প্রেসর চালু থাকলে ঘরের ভিতরের তাপমাত্রা কমতেই থাকবে। ঘর বেশ ঠান্ডা হয়ে গেলে কম্প্রেসর বন্ধ হয়ে যায়। ফের ঘর গরম হলে সেটি ফের চালু করে দেয়। তবে এক্ষেত্রে বিদ্যুতের খরচ বেশি হতে পারে। এসি কিনতে গেলে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত। তবে খেয়াল রাখবেন, ইনভার্টার এসির পার্টসের দাম নন-ইনভার্টার এসির চেয়ে একটু বেশি। মূল্য:আপনি অফলাইন এবং অনলাইন উভয় ক্ষেত্রেই ইনভার্টার এবং নন-ইনভার্টার এসি পাবেন বাজারে। তবে এখানে লক্ষণীয় বিষয় হল যে উভয় মডেলের দাম বেশ আলাদা। নন-ইনভার্টার এসির তুলনায় ইনভার্টার এসির জন্য আপনাকে বেশি টাকা দিতে হবে। শক্তি সঞ্চয়এসি কেনার সময় বুদ্ধিমত্তা না দেখালে কিন্তু এসি কেনার পর বিপুল বিদ্যুতের বিল আপনার পকেট ফাঁকা করে দিতে পারে। একটি নন-ইনভার্টার এসি কিনলে, আপনি শুরুতে অর্থ সাশ্রয় করবেন ঠিক। তবে এক্ষেত্রে, এসি কেনার পরে, নন-ইনভার্টার এসি অচিরেই আপনার বিদ্যুৎ বিল বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ ইনভার্টার এসির মডেলগুলি নন-ইনভার্টার এসির তুলনায় কম বিদ্যুৎ খরচ করে। যদি বিদ্যুতের ব্যবহার কমে যায় তাহলে আপনি স্পষ্ট দেখতে পাবেন বিদ্যুৎ বিলের উপর এর সরাসরি প্রভাব।
পাঁচমিশালি, প্রযুক্তি ১ টন, ১.৫ টন, ২ টন…! AC তে ‘Ton’ আসলে কী বলুন দেখি? ৯০% লোকই ভাবেন ওজন! এসি কেনার আগে জানা Must Gallery April 21, 2024 Bangla Digital Desk গ্রীষ্ম যেন হুড়মুড় করে ড্রয়িং রুমে ঢুকে পড়েছে। আর তাতেই মানুষ এসি কেনার বা ভাড়া নেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছেন ঘরে ঘরে। যাঁরা এই বছর বাড়িতে এসি লাগাতে চান তাঁরা বাজারে ভাল বিকল্প খুঁজছেন। এরইমধ্যে কিছু মানুষ আবার ঠিক কত টন এসি কেনা উচিত তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। কিন্তু দু’পক্ষের অনেকেই এখনও জানেন না এসি-তে টন শব্দের মানে কী? এমন পরিস্থিতিতে, তারা এটিকে ওজনের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। আজ এই প্রতিবেদনে চলুন জেনে নেওয়া যাক AC তে টন মানে কী। আসলে, টন হল একটি ইউনিট যা আপনার ঘরের আকার এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে এয়ার কন্ডিশনারটির শীতলতার ক্ষমতা পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়। এখন, আপনি ভাবছেন কী ভাবে টন নির্ণয়ের মাধ্যমে শীততাপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রটির শীতল করার ক্ষমতা গণনা করা হয়? উত্তর হল যে এটি প্রতি ঘণ্টায় ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিটের মাধ্যমে গণনা করা হয়, যা সাধারণত BTU/hr হিসাবে প্রকাশ করা হয়। এয়ার কন্ডিশনারগুলির জন্য BTU পরিসীমা ৫০০০ থেকে ২৪০০০ BTU এবং ১২০০০ BTU ১ টন-এর সমান হয়। BTU হল মান পরিমাপের একক এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পরিমাপ অনুযায়ী আপনার ঘরের প্রতি বর্গফুটের জন্য ২০ BTU/ঘণ্টা প্রয়োজন । অর্থাৎ, ধরে নেওয়া যায় যে BTU/ঘণ্টার মান যত বেশি হবে, আপনার এসি তত শক্তিশালী হবে। যাইহোক, এর মানে এই নয় যে আপনার সবসময় বেশি দামের এসি-তে বিনিয়োগ করা উচিত। কারণ এর জন্য আপনাকে আপনার ঘরের আকার বিবেচনা করতে হবে। অন্যথায় এসি কার্যকরী ও একইসঙ্গে ভাল নির্বাচন হবে না।