কলকাতা: শীতের মরশুম বিদায় নিতে না নিতেই কড়া নাড়তে শুরু করেছে গরমের মরশুম। তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ চড়ছে। যা ধীরে ধীরে অসহনীয় হয়ে উঠবে আর কয়েক দিনের মধ্যেই। ফলে এই সময় একমাত্র সহায় হতে পারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি। যা তীব্র গরমের দাপট থেকে আমাদের স্বস্তি দেবে। কিন্তু অতিরিক্ত এসি চালালে আবার ইলেকট্রিসিটি বিলের বোঝা বৃদ্ধি পাওয়ারও আশঙ্কা থাকে।

যদিও বর্তমানে এসি মেশিন এমন ভাবে ডিজাইন করা হচ্ছে, যাতে তা কম এনার্জি ব্যবহার করে। তবুও বিদ্যুতের বিলের খরচটাও সব সময় যেন দুশ্চিন্তা হয়ে তাড়া করে বেড়ায়। তাই আজ এসি চালিয়েও কীভাবে বিদ্যুতের বিল কমানো যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা করে নেওয়া যাক।

আরও পড়ুন- বিখ্যাত এই ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করেন ধনঞ্জয়, সম্পত্তির পরিমাণ জানেন?

এসি সার্ভিসিং:

এই সময় তো নিয়মিত এসি ব্যবহার হবেই। তাই গরমে ব্যবহার শুরুর আগে এসি পরিষ্কার করিয়ে সার্ভিসিং করাতে হবে। এতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ভাল ভাবে কাজ করতে পারবে।

আসলে এসি-র মধ্যে ধুলোময়লা থাকলে তা ভাল ভাবে ঘর ঠান্ডা করতে পারে না। ফলে তা বেশিক্ষণ চালিয়ে রাখতে হয়। যার ফলে ইলেকট্রিসিটি বিলও বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত সার্ভিসিং করালে ইলেকট্রিসিটি বিলের বোঝা অনেকটাই কমে যাবে।

দরজা-জানালা বন্ধ:

এসি চালানোর সময় দরজা-জানলা বন্ধ রাখতে হবে। এতে ঘর দ্রুত ঠান্ডা হয়। আর অনেকক্ষণ সেই ঠান্ডা ভাব বজায় থাকে। আসলে দরজা-জানলা বন্ধ থাকলে এসি-র ঠান্ডা হাওয়া বাইরে যেতে পারে না।

টাইমারের ব্যবহার:

প্রতিটি এয়ার কন্ডিশনারে টাইমার সিস্টেম থাকে। রাতে এটা কাজে আসে। কারণ সমস্ত রাত এসি না চালিয়ে রেখে ঘুমোতে যাওয়ার সময় ২-৩ ঘণ্টার টাইমার সেট করে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এতে সময়মতো এসি বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে ইলেকট্রিসিটি বিলের বোঝাও বাড়বে না।

আরও পড়ুন- পৃথিবীর এক আশ্চর্য গ্রাম, এখানে মানুষ জন্মেই হয়ে যায় ‘বেঁটে’, বিজ্ঞানীরাও অবাক

এনার্জি স্টার-রেটেড এসি:

সব সময় এনার্জি স্টার এসি-ই কেনা উচিত। কারণ এই ধরনের এসি পাওয়ার কনজাম্পশন তো কমায়ই, সেই সঙ্গে কমায় ইলেকট্রিক বিলের বোঝাও।

সঠিক তাপমাত্রা চয়ন:

ব্যুরো অফ এনার্জি এফিশিয়েন্সি (বিইই)-র মতে, মানবদেহের জন্য সর্বোত্তম তাপমাত্রা হল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সেই উষ্ণতার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে এসি-র উপর তেমন চাপও পড়ে না। যার ফলস্বরূর, এসি-র তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রিই রাখা উচিত। এতে বিদ্যুৎ সংরক্ষণ হবে, ফলে বাঁচবে বিদ্যুৎ বিলের খরচও।