Tag Archives: Anaconda

Python in West Bengal: বর্ষা বাড়তেই রাজ্যের এই জায়গায় বাড়ছে অজগরের দাপট, আতঙ্কে স্থানীয়রা

পূর্ব বর্ধমান: বর্তমানে অজগর বা পাইথন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে যেন একটি আতঙ্কের নাম। আউশগ্রামের জঙ্গলে বাড়ছে পাইথন এর সংখ্যা, জঙ্গলময় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পাইথন। বেশ কিছু বাড়িতে অজগর ঢুকে হাঁস, মুরগি গিলে খাওয়ার খবরও শোনা গিয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন গ্রামবাসীরা।

বন দফতরের দাবি, আউশগ্রামে পাইথনের করিডর করে ফেলেছে৷ আউশগ্রাম অঞ্চলের বাগড়াই ক্যানেল ধরে পাইথন আসছে৷ পাশাপাশি তারা ওই এলাকায় কুনুর নদীও পাচ্ছে৷ তাই দুই জলাশয় ধরে আসছে৷ রামচন্দ্রপুর, পূর্বতটি, প্রতাপপুর এসব গ্রামগুলিই পাইথনের মূল রুট৷ এমনকি আলেফনগর গ্রামেও পাইথন হানা দিচ্ছে৷ এরা মূলত জলাশয় থেকে গ্রামে ঢুকছে রোদ পোহানোর জন্য আর শিকারের সন্ধানে৷

আরও পড়ুন: মাত্র কয়েক মিনিটের টর্নেডোর মতো ভয়াল ঝড়! লন্ডভন্ড হুগলির একের পর এক গ্রাম

আউশগ্রাম বিট অফিসার হিমাংশু মণ্ডল জানিয়েছেন, আউশগ্রামে পাইথন বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ ডিভিসির ক্যানেলের জল আর কুনুর নদীর জল৷ বাগড়াই ক্যানেলের পাড়ে বেশি পাইথন দেখা যায়। বাগড়াই পাইথন জোন হিসাবে পরিণত হয়েছে৷ কয়েক দিন আগে দেখা গিয়েছিল বাঁশঝাড়ের ডগায় পাইথন উঠে বসে আছে৷ আমরা বাঁশ কেটে নামিয়েছি। মূলত গ্রামীণ এলাকায় বিশালাকার পাইথন হাঁস মুরগির লোভেই আসছে৷ মানুষ ভয় পেয়ে যাচ্ছেন, আমরা রাত হলেও খবর পেলেই পাইথন উদ্ধার করে আবার গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসি৷

আরও পড়ুন: ১৪ লাখের চাকরি, ৬০০ বর্গ গজ জমি… বড় পুরস্কার পাচ্ছেন সিরাজ, কে দিচ্ছে জানেন?

৩০ জুলাই পূর্বতটী গ্রামে পাইথন হানা দিয়েছিল৷ তাছাড়া ১৭ জুলাই আলেফনগরে হানা দিয়েছিল পাইথন। আউশগ্রামের বাসিন্দা নরেন মাণ্ডি বলেন, “আমাদেরও আতঙ্কে থাকতে হয়৷ জঙ্গলে পাতা কুড়াতে যেতেও ভয় লাগে৷ বাড়িতে হাঁস, মুরগির ঘরের ভিতরে কখন যে অজগর ঢুকে ঘাপটি মেরে থাকছে তা বুঝতে পারছি না”৷

বর্ষায় দামোদরের ক্যানেল বা কুনুর নদীতে জল বাড়ছে৷ আর এই সময় পাইথনের দেখা মিলছে বেশি৷ জানা গিয়েছে, এক বছরে আউশগ্রামে ৩২ টি পাইথন উদ্ধার করেছে বন দফতর। সেগুলি উদ্ধার করে পরবর্তীতে আবার গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ আউশগ্রামের জঙ্গলে পাইথনের সংখ্যা রীতিমতো বাড়ছে৷ আউশগ্রাম এলাকায় যে সব পাইথন দেখা যাচ্ছে তার বেশির ভাগই ৭ থেকে ৮ ফুট লম্বা৷ আর প্রায় ১০ থেকে ১২ কেজি ওজনের।

Rare Anaconda Death: ২০০ কেজি ওজনের সবুজ অ্যানাকোন্ডা! আমাজনের বৃষ্টিঅরণ্যে আবিষ্কারের কিছু দিনের মধ্যেই হত্যা বিশ্বের ‘সবথেকে বড়’ সাপকে

বোনিতো : আবিষ্কার করার মাত্র কিছু দিনের মধ্যেই মৃত্যু হল দৈত্যাকৃতি অ্যানাকোন্ডা-র৷ বিজ্ঞানীদের ধারণা, বিশ্বের বৃহত্তম সাপগুলির মধ্যে এটি অন্যতম৷ যে গবেষক সাপটিকে প্রাথমিক ভাবে আবিষ্কার করেছিলেন তাঁর দাবি বন্দুকের গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছে বিশালাকায় সরীসৃপটি৷

দক্ষিণ ব্রাজিলের মাতো গ্রোসো দো সাল প্রদেশের বোনিতো এলাকার গ্রামীণ অঞ্চলে ফোরমোজো নদীতে এই অ্যানাকোন্ডা সাপটিকে পাঁচ সপ্তাহ আগে আবিষ্কার করা হয়৷ তার নাম রাখা হয় অ্যানা জুলিয়া৷ এক বহজাতিক নামী টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য ‘পোল টু পোল’ সিরিজের শ্যুটিঙের সময় অ্যানাকোন্ডাটিকে দেখা গিয়েছিল প্রথম বার৷

আরও পড়ুন : সুজি খান এভাবে! চোখের নিমেষে রোগা হবেন! দূর হবে ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা

দৈর্ঘ্যে ২৬ ফুট, সবুজ রঙের সাপটির ওজন প্রায় ৪৪০ পাউন্ড বা ১৯৯.৫৮১ কিলোগ্রাম৷ যা প্রায় ৩১ টি বড় পাথরের ওজনের সমান৷ অ্যানাকোন্ডার মাথার আয়তন মানুষের মাথার আয়তনের সঙ্গে তুলনীয়৷ বিরল সাপটির মৃত্যুর কারণ নিয়ে তদন্ত চলছে৷ অধ্যাপক ফ্রিক ভঙ্ক ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘‘তীব্র দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে একটা বিশাল আয়তনের সবুজ অ্যানাকোন্ডা, যেটির সঙ্গে আমি সাঁতার কেটেছিলাম, সেটিকে নদীতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে৷’’

 

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Prof. dr. Freek Vonk (@freekvonk)

পূর্ণবয়স্ক অ্যানাকোন্ডাটি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল বলে দাবি অধ্যাপকের৷ জীবিত থাকলে তার প্রজাতির বংশবৃদ্ধি হত এবং সেটা বিশ্বের জীববৈচিত্রের জন্য লাভদায়ক বলে মন্তব্য সর্পগবেষকদের৷ কারণ দানবাকৃতির এই বিশেষ প্রজাতির সাপ পৃথিবীতে খুব বেশি নেই৷ বলছেন বিজ্ঞানী তথা গবেষকরা৷ বিরল এই সরীসৃপের অকালমৃত্যু যে বন্যপ্রাণের উপর মানুষের নৃশংসতারই আরও একটি নিদর্শন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই ওয়াকিবহাল মহলের৷

আস্ত এলিগেটরকে গিলে খাচ্ছে অ্যানাকোন্ডা! শেষমেষ কী হল, দেখুন ভিডিও

#ব্রাজিল: এলিগেটরকে গিলে খাচ্ছে অ্যানাকোন্ডা! এমনই ভয়ানক দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন ব্রাজিলের মানৌসের পন্টে নেগরা বলে একটি এলাকার বাসিন্দারা৷ সেই ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে৷ যা দেখলে রীতিমতো শিউরে উঠতে হয়!

ভিডিও-টিতে দেখা যাচ্ছে, একটি এলিগেটরকে সর্বশক্তি দিয়ে পেঁচিয়ে ধরেছে অ্যানাকোন্ডা৷ ধীরে ধীরে সেটিকে গিলে খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে৷ কিন্তু এই কাণ্ড চোখে পড়তেই এলিগেটরটিকে বাঁচাতে উদ্যোগী হন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ অ্যানাকোন্ডাটির কবল থেকে এলিগেটরটিকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেন তাঁরা৷ দড়ি দিয়ে সাপটিকে টেনে তার রাশ আলগা করার চেষ্টা শুরু হয়৷

স্থানীয় একটি নিউজ পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি গত ৭ অগাস্টের৷ তবে কয়েকদিন আগে সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়৷ জানা গিয়েছে, কোনওভাবে কাছের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসেছিল প্রাণী দু’টি৷ স্থানীয় একটি আবাসন চত্বরে ঢুকে পড়ে তারা৷ সেখানেই এলিগেটরটিকে বাগে পেয়ে যায় অ্যানাকোন্ডাটি৷

দড়ি দিয়ে টেনে প্রাণী দু’টিকে আলাদা করার চেষ্টা চালাতে থাকেন আবাসনের বাসিন্দারা৷ এক সময় এলিগেটরটিকে ছেড়ে দেয় অ্যানাকোন্ডা৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সাপটি অন্তত ৬ ফুট দীর্ঘ ছিল৷ সাপটিকে ধরে ছবি তোলেন স্থানীয়রা৷ দু’টি প্রাণীই অবশ্য জঙ্গলে ফিরে যায়৷

তবে যেভাবে অ্যানাকোন্ডাটির শিকারে স্থানীয়রা বাধা দিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি দেখে অনেকেই তা অনেকেই মেনে নিতে পারেননি৷ কারণ তাঁরা মনে করছেন প্রকৃতির নিয়ম মেনেই নিজের শিকার খুঁজে নিয়েছিল সাপটি, তাই তাকে বাধা দেওয়া একেবারেই উচিত হয়নি৷ তবে যেভাবে সাপটি বড়সড় এলিগেটরটিকে শ্বাসরোধ করে গিলে খাওয়ার চেষ্টা করছিল, তা দেখে অনেকেই শিউরে উঠেছেন৷