Tag Archives: Arvind Kejriwal

অরবিন্দ কেজরিওয়াল: ব্যক্তিগত জীবন, রাজনৈতিক কেরিয়ার একনজরে

পুরো নাম: অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

জন্ম: ১৯৬৮ সালের ১৬ আগস্ট, হরিয়ানার ভিওয়ানিতে।

রাজনৈতিক দল: আম আদমি পার্টি।

পরিবার: সুনীতা কেজরিওয়ালের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কেজরি। তাঁদের দুই সন্তান। হর্ষিতা এবং পুলকিত।

অরবিন্দ কেজরিওয়াল সম্পর্কে:

অরবিন্দ কেজরিওয়াল একজন সমাজকর্মী এবং রাজনীতিবিদ। বর্তমানে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। রাজধানীর ৭০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৬৭টিতেই জিতেছে তাঁর দল। ২০১২ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজস্ব বিভাগের চাকরি ছেড়ে আম আদমি পার্টির প্রতিষ্ঠা করেন কেজরি। জন লোকপাল বিলের খসড়া তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।

১৯৯৯ সালে বিদ্যুৎ, আয়কর এবং রেশন সংক্রান্ত বিষয়ে নাগরিকদের সাহায্য করতে ‘পরিবর্তন’ নামে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন কেজরিওয়াল। দরিদ্রদের ক্ষমতায়C এবং তথ্যের অধিকার আইন (আরটিআই) বাস্তবায়নে অবদানের জন্য রামোন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার জেতেন। এই পুরস্কারের অর্থমূল্য দিয়ে একটা তহবিল তৈরি করেন কেজরি। সেই টাকা দিয়ে চালান ২০০৬ সালে তৈরি করা ‘পাবলিক কজ রিসার্চ ফাউন্ডেশন’ নামের এনজিও।

২০১২ সালে একটি বই লেখেন কেজরিওয়াল, নাম ‘স্বরাজ’। ২০১৩ সালে কংগ্রেসের সমর্থনে দিল্লিতে সরকার গঠন করেন। ২৮ ডিসেম্বর রামলীলা ময়দানে প্রথমবারের মতো দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। কিনতি সেই সরকার মাত্র ৪৯ দিন স্থায়ী হয়। জন লোকপাল বিল নিয়ে কংগ্রেস এবং বিজেপির দড়ি টানাটানির জেরে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।

ব্যক্তিগত জীবন: ১৯৬৮ সালের ১৬ অগাস্ট, হরিয়ানার প্রত্যন্ত গ্রাম ভিওয়ানিতে জন্মগ্রহণ করেন কেজরিওয়াল। বাবা গোবিন্দ রাম কেজরিওয়াল ছিলেন মেসরার বিড়লা ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার। মা গীতাদেবী গৃহবধূ। কাজের সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় বদলি হতেন কেজরিওয়ালের বাবা। ফলে গাজিয়াবাদ, হিসার এবং সোনিপাতের মতো শহরে ঘুরে ঘুরে কেটেছে তাঁর শৈশব। হিসারের ক্যাম্পাস স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। ছোটবেলা থেকেই ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। ১৯৮৯ সালে চান্স পান খড়গপুর আইআইটি-তে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হন। এছাড়া কলকাতা রামকৃষ্ণ মিশন এবং নেহরু যুব কেন্দ্রেও খুব অল্প সময় পড়াশোনা করেছেন কেজরিওয়াল।

মুসৌরির ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে তাঁর সহপাঠী সুনীতাকে বিয়ে করেন কেজরিওয়াল। তাঁদের দুই সন্তান- এক মেয়ে হর্ষিতা এবং এক ছেলে পুলকিত। কেজরিওয়াল নিরামিষাশী। শুধু তাই নয়, তিনি নিয়মিত বিপাসনা অনুশীলন করেন।

পেশা: ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি অর্জন করে টাটা স্টিলে বেশ কিছুদিন চাকরি করেন কেজরিওয়াল। কিন্তু মন টেঁকেনি। শুরু করেন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি। ১৯৯২ সালে টাটার চাকরি ছেড়ে দেন। সে বছরই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসে যোগ দেন। ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে, তিনি আয়কর বিভাগের যুগ্ম কমিশনারের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে চাকরি করতে করতেই ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘পরিবর্তন’ নামের এনজিও।

রাজনীতিতে প্রবেশ (Arvind Kejriwal Political Career)

২০১২ সালে আন্না হাজারের নেতৃত্বে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন কেজরিওয়ালও। কিন্তু একসময় আন্নার সঙ্গে মতপার্থক্য শুরু হয়। আন্না চেয়েছিলেন জন লোকপাল আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ হোক। অন্য দিকে, কেজরিওয়ালের দাবি ছিল, সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া প্রয়োজন। এই নিয়ে ‘ইন্ডিয়া এগেনস্ট কোরাপশন নামে একটি সংস্থা সমীক্ষা চালায়। ফলাফলে দেখা যায়, রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পক্ষেই মত দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই নিয়ে আন্দোলনের অন্যান্য নেতারাও ছিলেন দ্বিধাবিভক্ত। কেজরিকে সমর্থন করেন শান্তি ভূষণ, প্রশান্ত ভূষণ। অন্য দিকে, সন্তোষ হেগড়ে, কিরণ বেদীর মতো নেতা-নেত্রীরা এর বিরোধিতা করেন।

এরপর ২০১২-এ ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধির জন্মজয়ন্তীতে রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা করেন কেজরি। নাম দেন আম আদমি পার্টি। ২০১৩ সালে প্রথমবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে লড়েই ব্যাপক জয় হাসিল করে আপ। টানা তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে হারিয়ে রাজধানীর মসনদে বসেন কেজরিওয়াল।

Rahul Gandhi on Arvind Kejriwal arrest: ‘মুখের মতো জবাব দেবে ইন্ডিয়া!’ কেজরীওয়ালের গ্রেফতারির পর হুঙ্কার রাহুলের

নয়াদিল্লি: অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গ্রেফতারির তীব্র প্রতিক্রিয়া দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি৷ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে রাহুল গান্ধি দাবি করেছেন, ‘ইন্ডিয়া এ সবেরই মুখের মতো জবাব দেবে৷’

এ দিন আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করেছে ইডি৷ এ দিন দিল্লি হাইকোর্ট অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আগাম জামিনের আর্জি নাকচ করার পরই দ্রুত পদক্ষেপ করে ইডি৷ কেজরীওয়ালের বাসভবনে তল্লাশি করে ইডি৷ প্রায় দু ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়৷

এর পরই এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল গান্ধি লেখেন, ‘একজন ভীত একনায়ক, একটি মৃত গণতন্ত্রকে তৈরি করতে চাইছেন৷ সংবাদমাধ্যম সহ বিভিন্ন সংস্থাকে কব্জা করে,বিরোধী দলগুলিকে ভাঙা, সংস্থাগুলির থেকে তোলা আদায়, প্রধান বিরোধী দলের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েও অসুরীয় শক্তির জন্য যথেষ্ট ছিল না৷ এবার নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীদের গ্রেফতার করাও জলভাত হয়ে গিয়েছে৷ ইন্ডিয়া এর মুখের মতো জবাব দেবে৷’

আরও পড়ুন: ইডির হাতে গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল! রাতেই সুপ্রিম কোর্টে আপ

একা রাহুল গান্ধি নন, কেজরীওয়াল গ্রেফতার হওয়ার পর তার তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল সহ বিভিন্ন বিরোধী দলগুলি৷ সবারই দাবি, ভোটের আগে ভয় পেয়েই বিরোধী শিবিরের নেতাদের এ ভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে৷

কেজরীওয়ালের গ্রেফতারির বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে দ্রুত শুনানি চেয়ে আবেদন করে আপ৷ যদিও বৃহস্পতিবার রাতে সেই শুনানি হচ্ছে না৷ এর আগে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকেও এই একই মামলায় গ্রেফতার করে ইডি৷ আপ-এর দাবি, কেজরীওয়াল যাতে নির্বাচনে প্রচার করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতেই তাঁকে গ্রেফতার করানো হয়েছে৷

Delhi CM Arvind Kejriwal Arrested : ‘অরবিন্দ কেজরিওয়ালই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, দরকারে জেল থেকে সরকার চালাবেন’, মন্তব্য আপনেত্রী অতিশীর

নয়াদিল্লি : অরবিন্দ কেজরিওয়ালই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন এবং জেল থেকে তিনি তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালন করবেন। বৃহস্পতিবার রাতে এই দাবি করলেন আপ নেত্রী তথা দিল্লির মন্ত্রী অতিশী মারলেনা সিং।

বৃহস্পতিবার রাতে কেজরিওয়াল গ্রেফতার হওয়ার পর পরই এই মন্তব্য করেন অতিশী। এই রাজনীতিক তথা শিক্ষাবিদ বলেন, ‘‘অরবিন্দ কেজরিওয়ালই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং তিনিই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। এ নিয়ে আর কোনও দ্বিতীয় পথ নেই।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছি যে যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে তিনি কারাগার থেকেই কাজ করবেন। তাঁকে এই কাজ করা থেকে আটকাতে পারে এমন কোনও আইন নেই। তিনি এখনও দোষী প্রমাণিত হননি।’’

অতিশী মারলেনা সিং এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল (ফাইল ছবি)

ইডি-র হাতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতার হওয়ার ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে অতিশীর মন্তব্য, এই তদন্তে ৫০০ জন আধিকারিক থাকলেও গত দু’ বছরে তাঁরা একটা টাকাও উদ্ধার করতে পারেননি।

আরও পড়ুন : ইডির হাতে গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল! রাতেই সুপ্রিম কোর্টে আপ

প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। প্রায় দু’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় এর আগে ৮ বার ইডির সমন এড়ানোর পর বৃহস্পতিবার কেজরিওয়ালকে ফের তলব করেছিল ইডি। তাতে সাড়া না দিয়ে রক্ষকবচ চেয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরিওয়াল। কিন্তু আদালত তাঁর দাবি খারিজ করে দেয়।

গ্রেফতার করার পর কেজরিওয়ালকে নিয়ে যাওয়া হয় ইডি-র সদর দফতরে। ইডি আধিকারিকদের অভিযানের পর থেকেই তাঁর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন আপ কর্মী-সমর্থকেরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

Arvind Kejriwal Arrested: ইডির হাতে গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল! রাতেই সুপ্রিম কোর্টে আপ

নয়াদিল্লি: গ্রেফতার করা হল দিল্লির মুখ‍্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আবগারি মামলায় আপ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার সন্ধ‍্যায় দিল্লির মুখ‍্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌছান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। যে আবগারি মামলায় উপ মুখ‍্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া জেলে রয়েছেন সেই মামলাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করার জন‍্যই পৌঁছন ইডি আধিকারিকরা গিয়েছিলেন বলেই খবর।

এর আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে ৯ বার সমন জারি করে দিল্লির মুখ‍্যমন্ত্রীকে তলব করা হলেও তিনি জিজ্ঞাসাবাদের সামনে হাজির হন নি। শেষবার তাঁর গরহাজিরার পরেই তল্লাশির ওয়ারেন্ট-সহ হাজির ইডির উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ‍্যের পর থেকেই বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয় কেজরিওয়ালের বাসভবনের বাইরে।

ইডি হানার খবর পেয়ে আপ শীর্ষ নেতৃত্ব এবং সমর্থকেরা সেখানে পৌঁছে যান। এবং প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় কেজরিওয়ালের ফোন, ট‍্যাব এবং ল‍্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করে ইডি। যদিও এবিষয়ে স্পস্ট কোনও তথ‍্য প্রদান করা হয় নি।

আরও পড়ুন: হার মানবে ইলিশ, ভেটকি! কলাপাতা নয়, এই পাতায় মুড়ে বানান মৌরলা মাছের পাতুরি, নিমেষে চেটেপুটে সাফ ভাতের থালা

আবগারি সংক্রান্ত মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে যাতে কোনও কঠোর পদক্ষেপ না করা হয়, সেজন্য হাইকোর্টে আগেই আবেদন জানিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত। শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হন আপ নেতা।

প্রসঙ্গত, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর আবগারি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আম আদমি পার্টি। দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী এবং আপ নেত্রী অতিশী মারলেনা X করে জানালেন সেকথা।

আবগারি দুর্নীতিতে দিল্লিতে এর আগে মণীশ সিসোদিয়া, সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এরপরই মুখ‍্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

Arvind Kejriwal: সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ, বিপাকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল

নয়াদিল্লি: আবগারি দুর্নীতি মামলায় এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিল দিল্লি রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট৷ এই মামলায় ইডি-র পাঁচটি সমন উপেক্ষা করেছেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল৷ এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি৷

বিচারক জানিয়েছেন, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে৷ যদিও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আদালতের এই নির্দেশ মানেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়৷

আরও পড়ুন: উত্তরপত্রে লিখতে হবে এই বিশেষ নম্বর! উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় নতুন নিয়ম পর্ষদের

গত শুক্রবারও কেজরীওয়ালকে হাজিরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি৷ যদিও কেন্দ্রীয় এজেন্সি এই সমন মানেননি কেজরীওয়াল৷ এর পরই শনিবার কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে আদালতে নতুন মামলা করে ইডি৷

আম আদমি পার্টি অবশ্য প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে কেজরীওয়ালকে সমন পাঠানো হচ্ছে৷ ইডি-র এই সমন বেআইনি বলেও দাবি করেছে আপ৷ ইতিমধ্যেই এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া৷

Lok Sabha 2024: ‘একলা চলো’! নিজেদের রাজ‍্যে একাই লড়াইের বার্তা মমতা, অরবিন্দের! তবে এরপর কে? 

কলকাতাঃ  অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যেই হিন্দুত্বের জোয়ার তুলতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর দল। লোকসভার প্রচারে কোন অস্ত্রে তার মোকাবিলা করবে দল? বিজেপি বিরোধীতায় তৈরি হওয়া জোট INDIA তাই আগেই চেয়েছিল জোট নিয়ে, আসন সমঝোতার রাস্তা আগে স্থির করা হোক৷ যদিও একের পর এক জোটের ডেটলাইন মিস৷ ফলে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় পশ্চিমবাংলা নিয়ে তার অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ আজ থেকে মাধ্যমিকের অ্যাডমিট দেওয়া শুরু! বহু জরুরি নির্দেশ দিল মধ্য শিক্ষা পর্ষদ

মমতার পথে হেঁটেছে কেজরীওয়ালের দল। পাঞ্জাবে একাই লড়ার বার্তা দিয়েছে আপ। এই অবস্থায় কংগ্রেসের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’র মধ্যেই একটি কমফোর্ট জোন তৈরি হয়েছে মমতাকে কেন্দ্র করে। তাতে রয়েছেন অখিলেশ, অরবিন্দ কেজরীওয়াল, উদ্ধব ঠাকরের মতো নেতারা। উত্তরপ্রদেশে একটি আসন মমতাকে ছেড়ে দেওয়ার পরে এই তত্ত্ব আরও জোরালো হল বলেই মনে করা হচ্ছে।

জোটে থাকা একাধিক রাজনৈতিক দলের বক্তব্য, তৃণমূল নেত্রীর দীর্ঘদিনের সংগ্রাম এবং মানুষের পাশে থাকার ইতিহাসকে শ্রদ্ধা করেন অখিলেশ সিংহ যাদব, অরবিন্দ কেজরীওয়াল, উদ্ধব ঠাকরের মতো নেতারা।

সমাজবাদী পার্টির  সহ সভাপতি কিরণময় নন্দ ইতিমধ্যেই বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি আসনে লড়তে চেয়েছিলেন। আমরা তৃণমূলকে একটি আসন দেব। বিষয়টি আমাদের বৈঠকে চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এর আগে দিল্লিতে আমাদের নেতা অখিলেশ সিংহ যাদবের সঙ্গে মমতার এই বিষয়ে কথা হয়। তারও আগে আমার সঙ্গেও তৃণমূল নেত্রীর আলোচনা হয়েছে।”

এসপি সূত্রে জানানো হয়েছে, কংগ্রেসের প্রাক্তন নেতা কমলাপতি ত্রিপাঠীর নাতি রাজেশ ত্রিপাঠী লড়বেন ঘাসফুল চিহ্নে। কমলাপতি যে আসন থেকে লড়তেন সেই চাঁদোলি নির্বাচনী ক্ষেত্র থেকে বারাণসীর পার্শ্ববর্তী লড়তে চাইছে ত্রিপাঠী পরিবার। এ নিয়ে সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে সূত্রের খবর। তবে মির্জাপুর জেলা থেকেই লড়তে দেখা যাবে তৃণমূল প্রার্থীকে। তৃণমূলকে টিকিট দেওয়ার প্রশ্নে নিশ্চয়তার কথা রাজেশের বাবা অর্থাৎ কমলাপতির পুত্র ললিতেশকে জানানো হয়েছে।আবার আসাম ও মেঘালয়েও লড়তে প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।

Arvind Kejriwal: গ্রেফতার হবেন কেজরিওয়াল…? দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বাড়ছে নিরাপত্তা! উদ্বিগ্ন AAP

নয়াদিল্লি: কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করতে চলেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। এমনই ইঙ্গিত শোনা যাচ্ছে রাজধানীর বুকে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার রাস্তা ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি আপ কর্মীদের প্রবেশও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

দিল্লি আবগারি তদন্তে ইঙ্গিত আবগারি দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার হতে পারেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এমনটাই আশঙ্কা করছেন দিল্লির আপ নেতারা। আপ নেত্রী অতিশীর দাবি, কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করার পরিকল্পনা করে ফেলেছে কেন্দ্র। সেই মতো বন্দোবস্তও করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন : ফুলে ফুলে উপচে পড়বে গোলাপ গাছ…! ধারেকাছে ঘেঁষবে না পোকামাকড়…! ১০ টাকার এই ‘ছোট্ট’ জিনিস জাস্ট ‘একচিমটি’!

আপ নেতা কেজরিওয়াল গ্রেফতার হতে পারেন এই আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই পার্টি অফিসে জড়ো হওয়া শুরু করেছেন শীর্ষনেতৃত্ব। আগামী দিনের রুটম্যাপও তৈরি রাখছেন তাঁরা। দিল্লির মদ নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সমস্যা বাড়ছে। ইডি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তিনবার নোটিশ পাঠিয়েছে ইতিমধ্যে।

CM Arvind Kejriwal: আম্বেদকর ও ভগত সিং ছাড়া সরকারি অফিসে টাঙানো যাবে না কোনও রাজনৈতিক নেতার ছবি! জানালেন কেজরিওয়াল

#দিল্লি: দিল্লির সরকারি অফিসগুলিতে কোনও রাজনৈতিক নেতাদের ছবি রাখা যাবে না। শুধুমাত্র বিআর আম্বেদকর (BR Ambedkar) এবং ভগত সিংয়ের (Bhagat Singh) ছবিই এর পর থেকে টাঙানো হবে অফিসে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Chief Minister Arvind Kejriwal) মঙ্গলবার এমনটাই ঘোষণা করেছেন। সরকারি কোনও দফতরে কোনও রাজনীতিবিদদের ছবি এর পর থেকে আর দেখা যাবে না৷

আরও পড়ুন- ২০২৪-এ বিজেপিকে পরাস্ত করা সম্ভব! কিন্তু…নিজের পরিকল্পনা বললেন প্রশান্ত কিশোর

বিভিন্ন রাজ্যেই ক্ষমতাধীন সরকারের সঙ্গে বদলে বদলে যায় ছবি বা মূর্তিরা। দলীয় প্রবীণ নেতা বা দলীয় আইকনদের ছবি শোভা পায় সরকারের নানান দফতরে। এমনকী বিভিন্ন রাজ্যে নির্দিষ্ট নেতার ছবি টাঙানোর বাধ্যতার গল্প নানা সময়ে প্রকাশ্যে এসেছে। এর থেকে বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে একটি উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেজরিওয়াল (CM Arvind Kejriwal) এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের ভোট পেতে গ্রামে ‘মহিলা চৌপাল’ আর কীর্তনের আয়োজন বিজেপির

একটি অনুষ্ঠানে অরবিন্দ কেজরিওয়াল (CM Arvind Kejriwal) বলেন, “আজ আমি ঘোষণা করছি যে দিল্লি সরকারের প্রতিটি অফিসে বিআর আম্বেদকর এবং ভগত সিংয়ের ছবি থাকবে। এখন থেকে আমরা কোনও মুখ্যমন্ত্রী বা রাজনৈতিক নেতার ছবি রাখব না।”

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, তিনি বাবা সাহেব আম্বেদকর এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিংয়ের দ্বারাই সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছেন। একই স্বপ্ন এবং লক্ষ্যের জন্য বিভিন্ন পথ বেছেছিলেন তাঁরা এবং পরবর্তীকালে নিজের স্বতন্ত্র পথও নির্মাণ করেছেন।

ধনী হোক বা দরিদ্র সকল শিশুর জন্য যথোপযুক্ত শিক্ষা দানের আম্বেদকরের যে স্বপ্ন ছিল তা পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ভারতীয় সংবিধানের জনক বিআর আম্বেদকর ভারতের প্রথম আইনমন্ত্রীও ছিলেন।

সাধারণত বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি অফিসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীদের ছবি দেখা যায়। তবে অরবিন্দ কেজরিওয়াল স্পষ্টতই জানিয়েছেন দিল্লির কোনও সরকারি দফতরে এর পর থেকে এই ছবি আর দেখা যাবে না।