মুর্শিদাবাদ:বহরমপুরের হোম থেকে পালিয়ে গেল চার আবাসিক। পলাতকদের মধ্যে একজন আবার বাংলাদেশের নাগরিক। বিষয়টি জানাজানি হতেই রাজ্যের প্রশাসনিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে হোমের পাঁচিল টপকে এই চারজন পালিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই পুলিশে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে হোম কর্তৃপক্ষ। পলাতকদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।
বহরমপুরের কাজী নজরুল ইসলাম হোমে এই ঘটনাটি ঘটেছে। একসঙ্গে চারজন আবাসিক হঠাৎই রাতের অন্ধকারে ভবনের দু’তলা থেকে বেরিয়ে এসে পাঁচিল টপকে পালিয়ে যায়। গত বছর এপ্রিল মাসেও ১১ জন নাবালক আবাসিক এই হোম থেকে নিখোঁজ হয়েছিল। আবারও একই ঘটনায় এই হোমের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিষয়টি নজরে আসতেই তড়িঘড়ি বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে হোম কর্তৃপক্ষের তরফে।
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলা শিশু কল্যাণ সমিতির চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির নির্দেশে এই আবাসিকদের হোমটিতে রাখা হয়েছিল। এই হোম চত্বরেই রয়েছে শিশু সুরক্ষা কেন্দ্রের অফিস। হোম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হোমের আবাসিকদের থাকা, খাওয়া, পোশাক, পড়াশোনা সব কিছুর ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বর্তমানে অনেকেই হোমে থাকতে পছন্দ করে না। অনেকেই মনে করেন স্বাধীনভাবে থাকতে হবে। সেই কারণেই তারা অনেক সময় পালিয়ে যায়। অনেকে আবার পরবর্তীতে হোমে ফিরে আসে। তবে এক্ষেত্রে পলাতকদের মধ্যে একজন বাংলাদেশের হওয়ায় বিষয়টি আরও সাড়া ফেলে দিয়েছে।
দুর্গাপুর, অর্পণ চক্রবর্তী: বাংলাদেশি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত সন্দেহে এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এসটিএফ। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম শেখ আনোয়ার।
এসটিএফ সূত্রে খবর, কর্মসূত্রে চেন্নাইতে থাকতেন অভিযুক্ত শেখ আনোয়ার। তাঁকে চেন্নাই থেকেই গ্রেফতার করে রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। জানা গিয়েছে, গত ছয় মাস ধরে চেন্নাইতে জামাকাপড় ইস্ত্রির কাজে নিযুক্ত ছিলেন শেখ আনোয়ার। বাংলাদেশি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন এই শেখ আনোয়ার। ৩০ বছর বয়সি এই যুবক পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের ভালুক গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে কাঁকসার পানাগড় থেকে ২২ জুন গ্রেফতার হন শেখ হাবিবুল্লাহ। জানা গিয়েছিল ‘আনসার আল ইসলাম’ নামে একটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন রয়েছে বাংলাদেশে। ‘আল কায়দা’র সঙ্গেও ‘আনসার আল ইসলাম’-এর যোগ রয়েছে। সেই সংগঠনেরই একটি শাখা ‘শাহাদত’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন হাবিবুল্লাহ। হাবিবুল্লাহকে জেরা করে হারেজ শেখের নাম উঠে আসে। ২৫ জুন হারেজ শেখকে গ্রেফতার করে এসটিএফ রয়েছে। তারপর উঠে আসে ধৃত শেখ আনোয়ারের নাম। এ বার অভিযুক্ত শেখ আনোয়ারকে চেন্নাই থেকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। অভিযুক্ত শেখ আনোয়ারকে শনিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বিচারক শেখ আনোয়ারকে ১৪ দিনের এসটিএফ হেফাজতের নির্দেশ দেন।