বাসি রুটি এমন একটা জিনিস, যা সব হেঁশেলেই কমবেশি পড়ে থাকে। আমরা অনেকেই এই খাবারের দিকে ফিরেও তাকাই না। মুখ ঘুরিয়ে নিই অবহেলায়।
নির্দ্বিধায় ফেলে দিই রাতের উদ্বৃত্ত রুটি। ধরেই নিই ওই খাবার আদতে দরিদ্রদের খাবার। এখানেই ভুলটা করি। হাতছাড়া হয় একাধিক পুষ্টিগুণ। সংবাদমাধ্যমে এ সম্বন্ধে বলছেন পুষ্টিবিদ প্রিয়া পালান।
পুষ্টিগুণে ঠাসা বাসি রুটি প্রাতরাশ বা সকালের জলখাবারের জন্য খুবই ভাল অপশন৷
তাজা রুটির তুলনায় বাসি রুটিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম৷ ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকাই বেড়ে যায় না৷ নিয়ন্ত্রণে থাকে মধুমেহ৷ ব্লাড সুগারের রোগীদের জন্য বাসি রুটি খাবার হিসেবে ভাল অপশন৷
বাসি রুটি হজম করা যায় না, এটা ভুল ধারণা৷ যদি সঠিক উপায়ে খাওয়া যায়, তাহলে পরিপাক ক্রিয়ায় সহায়ক৷
বাসি রুটিতে প্রচুর পরিমাণে প্রিবায়োটিক আছে৷ এই যৌগ পেটের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী৷ সার্বিক রোগ প্রতিরোধ শক্তি মজবুত করে এই খাবার৷
বাসি রুটিতে প্রচুর পরিমাণে আছে নানা রকমের ভিটামিন বি, আয়রন এবং ফাইবার৷ ফলে শরীরে ভিটামিনের যোগান অটুট রাখে বাসি রুটি৷
বাসি রুটি খাওয়া পকেটের জন্যেও সাশ্রয়ী৷ তাছাড়া খাবার অপচয়ের মতো অভ্যাসও দূর হয় বাসি রুটি প্রাতরাশে খেলে৷ সময় এবং জ্বালানি বাঁচানোর উপায়ও হাজির হয় প্রাতরাশে বাসি রুটি খেলে৷
রোজ রুটি বানাতে গিয়ে তাওয়া বা চাটু পুড়ে যাচ্ছে। বারবার পরিষ্কার কর দাগ দূর হচ্ছে না। এক্ষেত্রে সামান্য কিছু ঘরোয়া টোটকা আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারে।যারা রোজ রুটি খেতে ভালবাসেন তাদের জন্য তাওয়া বা চাটুই ভরসা। সাধারণত লোহার চাটু বা তাওয়া বছরের পর বছর ধরে ব্যবহার করা হয়। এমন চাটুতে রান্না করলে রুটিও শক্ত হয়ে যায়। রোজ সাবান দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করেও কালচে ভাব যায় না।রোজ রুটি বানাতে তাওয়া বা চাটুই ভরসা। কিন্তু রোজ তাওয়া ব্যবহারের ফলে কালো হতে থাকে। এমন চাটুতে রান্না করলে রুটিও শক্ত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে রোজ সাবান দিয়ে তাওয়া ঘষে পরিষ্কার করলেও কালচে ভাব দেখা যায়।এক্ষেত্রে চাটু পুড়ে গেলে গরম জলের সাহায্য নিন। চাটুটা কিছুক্ষণ গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। এতে চাটুর উপর যে আস্তরণ পড়েছে, তা পরিষ্কার হয়ে যায়। গরম জলে ডুবিয়ে রাখার পর সাধারণ জল দিয়ে চাটু ধুয়ে নিন।প্রতিদিন বাসন ধোওয়ার লিকুইড সাবান দিয়ে চাটু পরিষ্কার করুন। আর তার সঙ্গে ব্যবহার করুন ফিটকিরি। ফিটকিরি দিয়ে চাটু ঘষে নিন। এতে চাটুর কালো ছোপ উধাও হবে।এছাড়াও কালো চাটু পরিষ্কার করতে আঁচে জল গরম হলে তাতে নুন ছড়িয়ে দেবেন। আঁচ কমিয়ে বাসন মাজার স্ক্রাবারের সাহায্যে ঘষে নিন। এতে কয়েক মিনিটের মধ্যেই চাটুর কালো দাগ উঠে যাবে।এছাড়া চাটু পরিষ্কার করতে আপনি লেবুর রস ও ভিনিগার ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে চাটু গরম করে নিন। এবার এতে লেবুর রস ও সাদা ভিনিগার দিয়ে দিন। এতে অল্প নুনও দিতে পারেন।তারপর ঘষে নিলেই চাটু চকচক করবে। বেকিং সোডা চাটুর পোড়া দাগ দূর করার আরও একটি উপায়। একটি বাটিতে এক চামচ করে বেকিং সোডা, নুন এবং ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি দিয়ে চাটু ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। দেখবেন নতুনের মতো দেখাচ্ছে। (পিয়া গুপ্তা)
বাসি রুটি খেতে অভ্যস্ত নই আমরা অনেকেই৷ তথাকথিত দরিদ্রদের খাবার ভেবে মুখ ঘুরিয়ে থাকি৷ রাতের পড়ে থাকা রুটি ফেলে দিতেও দ্বিধা করি না৷
কিন্তু আমরা জানিই না বাসি রুটি আদতে পুষ্টিগুণে ভরপুর৷ প্রাতরাশ বা সকালের জলখাবারের জন্য খুবই ভাল অপশন৷ বলছেন পুষ্টিবিদ অবনী কৌল৷
তাজা রুটির তুলনায় বাসি রুটিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম৷ ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকাই বেড়ে যায় না৷ নিয়ন্ত্রণে থাকে মধুমেহ৷ ব্লাড সুগারের রোগীদের জন্য বাসি রুটি খাবার হিসেবে ভাল অপশন৷
বাসি রুটি হজম করা যায় না, এটা ভুল ধারণা৷ যদি সঠিক উপায়ে খাওয়া যায়, তাহলে পরিপাক ক্রিয়ায় সহায়ক৷
বাসি রুটিতে প্রচুর পরিমাণে প্রিবায়োটিক আছে৷ এই যৌগ পেটের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী৷ সার্বিক রোগ প্রতিরোধ শক্তি মজবুত করে এই খাবার৷
বাসি রুটিতে প্রচুর পরিমাণে আছে নানা রকমের ভিটামিন বি, আয়রন এবং ফাইবার৷ ফলে শরীরে ভিটামিনের যোগান অটুট রাখে বাসি রুটি৷
বাসি রুটি খাওয়া পকেটের জন্যেও সাশ্রয়ী৷ তাছাড়া খাবার অপচয়ের মতো অভ্যাসও দূর হয় বাসি রুটি প্রাতরাশে খেলে৷ সময় এবং জ্বালানি বাঁচানোর উপায়ও হাজির হয় প্রাতরাশে বাসি রুটি খেলে৷
*বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই অফিস যান। সেক্ষেত্রে গৃহিণীকে বাড়ির কাজ এবং অফিস দুটোই সামলাতে হয়। তাই অনেকেই সকালে একসঙ্গে দু-বেলার রান্না করে ফেলেন। মাছ, ভাত হোক অথবা রুটি সবকিছুই সকালে রান্না করে ফ্রিজে ঢুকিয়ে অফিসে চলে যান অনেকেই। সংগৃহীত ছবি। *তবে মাছ-ভাত হালকা গরম করে নিলে কোনও অসুবিধে না হলেও ফ্রিজে রাখা রুটি যদি আপনি গরম করে খেতে যান সেই রুটি ভীষণ শক্ত হয়ে যায়। জেনে নিন এমন এক পদ্ধতি যাতে সকালের রুটি ফ্রিজে রেখে দিলেও সেই রুটি শক্ত হবে না। সংগৃহীত ছবি। *আটা মাখার সময় জলের পাশাপাশি দিয়ে দিন অল্প তেল বা ঘি। তেল দিলে আটা নরম থাকবে তো বটেই আপনার রুটিও ফ্রিজে রাখলে একেবারে শক্ত হবে না। সংগৃহীত ছবি। *আটা মাখার সময় অল্প ময়দা দিয়ে দিলেও রুটি নরম থাকে। সংগৃহীত ছবি। *রুটি সেঁকে নেওয়ার পর সেটি কাগজ বা টিস্যু পেপারে রেখে একটু শুকিয়ে নিন। রুটিতে কোনও আর্দ্রতা না থাকলে রুটি শক্ত হবে না। সংগৃহীত ছবি। *রুটি যখন ফ্রিজে রাখবেন তখন চেষ্টা করুন এয়ারটাইট কোনও কৌটোর মধ্যে রাখুন। হাওয়া না লাগলে রুটি শক্ত হবে না। সংগৃহীত ছবি। *আপনি চাইলে ডো বানিয়েও ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। বাড়ি ফিরে শুধু রুটি তৈরি করে নিতে হবে। আটা মেখে ফ্রিজে রেখে গেলে আপনার সময়টা বেঁচে যাবে। সংগৃহীত ছবি। *রুটি ফ্রিজ থেকে বের করে গরম করতে হলে মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করুন। মাইক্রোওয়েভ প্রুফ একটি থালার চারিদিকে রুটি সাজিয়ে মাঝে একটি বাটিতে জল রেখে ১৯০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ১ মিনিট ঘুরিয়ে নিন। তাতে রুটি নরম হয়ে যাবে। মাইক্রোওয়েভ না থাকলে চাটুতে হালকা গরম করে নিতে পারেন। সংগৃহীত ছবি। *প্রেসার কুকারে সামান্য জল নিয়ে তার উপরে একটি বাটি বসিয়ে তার মধ্যে রুটি রাখুন। ৩০-৪০ সেকেন্ডের মাথায় যখন সিটি বাজবে সঙ্গে সঙ্গে প্রেসার কুকার খুলে দিন। সঙ্গে সঙ্গে আপনার রুটি তুলতুলে হয়ে যাবে। সংগৃহীত ছবি। *রুটি তৈরি করার সময় না সেঁকে হালকা মাখন দিয়ে যদি ভেজে নিতে পারেন তাহলে আপনার রুটি অনেকক্ষণ নরম থাকবে। মাখনের পরিবর্তে তেলও ব্যবহার করতে পারেন। সংগৃহীত ছবি। *গরম জলে রুটি ডুবিয়ে যদি সঙ্গে সঙ্গে তুলে নিতে পারেন তাহলে রুটি থাকবে একেবারে তুলতুলে নরম। সংগৃহীত ছবি।