প্রায় ৩ বছর আগে অর্থাৎ সেই ২০২১ সাল থেকে সংবাদমাধ্যম এবং পাপারাৎজিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখছিলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। ক্যামেরা দেখলেই তা এড়িয়ে চলছিলেন, কিংবা কখনও বা ছাতার আড়ালে লুকিয়ে ফেলছিলেন নিজেকে।

এমনকী কোনও অনুষ্ঠান কিংবা পার্টিতে যোগ দিলেও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হচ্ছিলেন না। যদিও বেশ কিছু জায়গায় তাঁর বিরল উপস্থিতি দেখা গেলেও পাপারাৎজিদের ক্যামেরাকে এড়িয়ে চলছিলেন শাহরুখ। কিন্তু কেন? সম্প্রতি সেই রহস্যই ফাঁস করলেন এক পাপারাৎজি।

ওই পাপারাৎজির দাবি, শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান যখন গ্রেফতার হয়েছিলেন, সেই সময় সংবাদমাধ্যম বিষয়টাকে যেভাবে উপস্থাপন করেছিল, তা বিলকুল না-পসন্দ ছিল বলিউড বাদশার। এমনকী তিনি সংবাদমাধ্যমের উপর যারপরনাই ক্ষুব্ধও ছিলেন।

আরও পড়ুন: ভাত রান্নার আগে করুন এই ছোট্ট কাজ! হাতের মুঠোয় ব্লাড সুগার, একলাফে বেড়ে যাবে পুষ্টিগুণ

প্রসঙ্গত ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে ‘ড্রাগস অন ক্রুজ’ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল শাহরুখ-পুত্র আরিয়ানকে। ২২ দিন পুলিশি হেফাজতে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। পুত্র জেলবন্দি থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে দেখা করতেও গিয়েছিলেন শাহরুখ। যদিও এরপরে আরিয়ান মুক্তি পান জেল থেকে এবং সমস্ত অভিযোগ থেকেও মুক্ত হন।

মুম্বইয়ের পাপারাৎজি বরিন্দর চাওলা মুখ খুলেছেন শাহরুখের বিষয়ে। তিনি জানান যে, সংবাদমাধ্যমের উপর প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলেন শাহরুখ।
তিনি বলেন, “২০২৩ সালে যখন ‘পাঠান’ মুক্তি পেয়েছিল, তখন আমার টিম দেখতে পেয়েছিলেন শাহরুখকে। এরপর সেই মুহূর্তটি ক‍্যামেরাবন্দি করে আমায় পাঠিয়েছিল তারা। কিন্তু বিষয়টা আমার পছন্দ হয়নি। কারণ মনে হয়েছিল, আমরা যেন তাঁর গোপনীয়তা লঙ্ঘন করছি। আর এসআরকে-কে যথেষ্ট ক্ষিপ্ত মনে হয়েছিল। এরপর আমি অভিনেতার পিআর-এর সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাঁদের জানাই যে, আমার টিম শাহরুখের ভিডিওটি রেকর্ড করেছে। কিন্তু আমরা তা ব্যবহার করব না। সেই সঙ্গে অভিনেতার গোপনীয়তা লঙ্ঘনের জন্য আমি ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলাম।”

বরিন্দর আরও বলেন, “আপনারা বিশ্বাস করবেন না। আমি কল করা মাত্রই এসআরকে-র ম্যানেজারের তরফ থেকে একটি কল পাই। তিনি আমায় প্রথমে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন যে, শাহরুখ খান স্বয়ং আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। আমি তো শুনে চমকে গিয়েছিলাম।’’

আরও পড়ুন: ছোট্ট ছোট্ট সাদা দানা ক‍্যালসিয়ামে ঠাসা! ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, চুল পড়াও কমায়? গুণের ভাণ্ডার

তিনি আরও বলেন, ‘‘ যাঁর একটা ঝলক পেতে তাঁর গাড়ির পিছনে দৌড়াতে হয়, সেই শাহরুখ খান আমার সঙ্গে কথা বলতেই চাইছেন, বিষয়টা আমার কাছে প্রথমে অবাস্তব মনে হয়েছিল। প্রায় পাঁচ মিনিটেরও বেশি সময় আমাদের কথা হয়েছিল। আর কথা বলার পরে সন্তানদের বিশেষ করে পুত্র আরিয়ানের জন্য ওঁর গভীর ভালবাসাটা বুঝতে পেরেছিলাম। আমারও সন্তান রয়েছে। যদি মানুষ আমার সন্তানের বিষয়ে ভুলভাল এবং নেতিবাচক কথা বলেন, তাহলে আমারও খারাপ লাগে। সেই সময় শাহরুখও গভীর মনোকষ্টে ভুগছিলেন। অথচ বিষয়টাকে আমরা পাত্তাই দিইনি। আর আমরা শুধু অভিযোগ করে যাচ্ছিলাম যে, এসআরকে কেন আমাদের ছবি দিচ্ছেন না কিংবা কেন নিজের মুখ ঢেকে নিচ্ছেন? সংবাদমাধ্যম তাঁর সন্তানের সঙ্গে যা করেছিল, তার জন্য রেগে আগুন থাকাতেই এমনটা করছিলেন তিনি।”