Tag Archives: Burdwan city

Potato Price: মাত্র ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হল আলু! কিনতে ঝাঁপিয়ে পড়ল গোটা শহর

পূর্ব বর্ধমান: খোলা বাজারে এই মুহূর্তে প্রতি কেজি জ্যোতি আলুর দাম ৩৪-৩৫ টাকা। আর চন্দ্রমুখি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু বর্ধমান শহরে এ কী অবাক কাণ্ড। মাত্র ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হল আলু! আর এত কম দামে আলু কেনার জন্য ভিড় উপচে পড়ল শহরবাসীর।

এত কম দামে আলু কেনার জন্য লম্বা লাইন দিতে দেখা গেল ক্রেতাদের। প্রসঙ্গত পূর্ব বর্ধমান জেলায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সুফল বাংলা গাড়ি থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করা আগেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু এবার পূর্ব বর্ধমানের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে মাত্র ২০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করার দৃশ্য দেখা গেল। শুক্রবার বিকেলে বর্ধমান শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ‘খেলা হবে’ উদ্যানে এই কম দামে আলু বিক্রির আয়োজন করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: দু’মাস ধরে বেতন হচ্ছে না অতিথি অধ্যাপকদের, প্রতিবাদে উপাচার্যের ঘরে তালা দিয়ে বিক্ষোভ!

এই বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে সন্দীপন সরকার জানিয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্টার্ট আপ ফাউন্ডেশন এবং মিলিত প্রয়াসের উদ্যোগে এই কর্মসূচি আগামী দুই-তিন দিন চালানো হবে। বাজারে আলুর দাম অনেক বেশি। তাই সাধারণ মানুষের কথা ভেবে আমরা মাত্র ২০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করছি। আগামী দিন আলুর সঙ্গে পেঁয়াজ‌ও কম দামে বিক্রি করা হবে। যতদিন না বাজারে আলু-পিঁয়াজের দাম স্বাভাবিক জায়গায় ফিরছে ততদিন এই উদ্যোগ চলবে বলে জানান তিনি।

বর্ধমানের আরও বেশ কিছু জায়গায় এই কম দামে সবজি বিক্রি করা হবে। কিন্তু এত কম দামে কীভাবে আলু দেওয়া সম্ভব হচ্ছে? তা নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেল, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি সরাসরি চাষিদের থেকে আলু কিনে তা সাধারণ মানুষকে বিক্রি করছেন। আর তাই কম দামে আলু বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এহেন উদ্যোগে খুশি সাধারণ মানুষ। এমন উদ্যোগের ফলে আমজনতার পকেটে চাপ কিছুটা হলেও হালকা হল।

শুক্রবার প্রায় ২০০ জন সাধারণ মানুষকে ৫০০ কেজি আলু বিক্রি করা হয়েছে। কম দামে আলু কিনে ক্রেতারাও যথেষ্ট খুশি। বর্তমানে সবজির বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম আকাশছোঁয়া। সেই সময় এমন একটি উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Chaitra Sale: হাসফাঁস করা গরমকে হেলায় উড়িয়ে জমে উঠেছে চৈত্র সেল

পূর্ব বর্ধমান: বাংলা ক্যালেন্ডার বলছে এটা চৈত্র মাস। একদিকে একটু একটু করে বাড়তে থাকা তাপমাত্রা জানান দিচ্ছে গরমে হাঁসফাঁস করার দিন শুরু হল। এদিকে চৈত্র মাসের এক চিরপরিচিত বিষয় হল চৈত্র সেল। গোটা বছরের তুলনায় এই সময় বেশ কিছুটা কমদামে জামাকাপড়, জুতো, ঘর সাজানোর সামগ্রী ইত্যাদি বিক্রি হয়। বঙ্গজাতির একটা বড় অংশের কাছে চৈত্র মাস ও চৈত্র সেল যেন একে অপরের পরিপূরক। দাম কম হওয়ায় চৈত্র সেলে কেনাকাটি করার জন্য দোকান বাজারে ভালই ভিড় হতে শুরু করেছে।

আর‌ও পড়ুন: পোস্টাল ব্যালটের দিন শেষ, ভোটকর্মীরা এবার ফেসিলিটেশন সেন্টারে মতামত জানাবেন

চৈত্র সেলের সেই চেনা ছবিটা ধরা পড়ল পূর্ব বর্ধমানে। জেলা শহর বর্ধমানের উৎসব ময়দানে বসেছে চৈত্র সেল। যা আয়োজিত হচ্ছে বর্ধমান পুরসভার উদ্যোগে। প্রায় এক মাসব্যাপী চলা এই সেল শুরু হতেই ভিড় করছেন অনেকে। বর্ধমান পুরসভার উদ্যোগে উৎসব ময়দানে আয়োজিত এই সেলে বেশ কিছুটা কম দামে মিলছে বিভিন্ন রকম পোশাক। রয়েছে বাচ্চাদের পোশাকেরও বিপুল সম্ভার। এই প্রসঙ্গে এক বিক্রেতা বলেন, তাঁরা জামাকাপড় বিক্রি করছেন এই জায়গায়। ভালই কেনাকাটা হচ্ছে। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত এখানকার চৈত্র সেল চলবে।

আর‌ও পড়ুন: বাংলার এই গ্রামীণ হাটে হিরে থেকে জিরে পাবেন সব কিছু

বিভিন্ন ধরনের শাড়ি, জামা-প্যান্ট ছাড়াও রয়েছে নানান সামগ্রী। যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, বিছানার চাদর সহ অন্যান্য জিনিস পত্র। চৈত্র সেলে বাজার করতে আসা এক ব্যক্তি এই প্রসঙ্গে জানান, এখানে প্রতিবছরই বেশ কম দামে জিনিসপত্র পাওয়া যায়। তাই চৈত্র সেলে মানুষ ব্যাপকভাবে ভিড় করে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী