গ্রীষ্মকালে সুস্থ শরীরের জন্য অনেক ধরনের ভিটামিন ও পুষ্টির প্রয়োজন হয়। এই গরম আবহাওয়ায় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে জলও খেতে হয় পর্যাপ্ত পরিমাণে। এ কারণেই এই সময় সবুজ শাকসবজি, ফল ও জুস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। গাজরও তেমনই একটি উপকারী সবজি।
গাজরে উপস্থিত পুষ্টিগুণ দামি ফলকেও হার মানায়। এতে আছে ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ফসফরাস, থায়ামিন, কপার, অনেক ধরনের ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ, সি, ডি, কে ইত্যাদি, যা সুস্থ শরীরের জন্য অপরিহার্য। লখনউ রিজেন্সি হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান রিতু ত্রিবেদী নিউজ১৮-কে জানান যে কমলা গাজর এবং গাজরের রস বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। যদি দিনে এক গ্লাস গাজরের রস পান করেন তবে এটি শরীরে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সরবরাহ করবে।
ডায়েটিশিয়ান রিতু ত্রিবেদী মতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গাজর খুবই উপকারী। নিয়মিত গাজর খাওয়া বা গাজরের রস পান করাও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও গাজরে ভিটামিন ই পাওয়া যায় যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গাজর খেলে বা গাজরের রস পান করলে হার্টও সুস্থ রাখে। এটি কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। হৃদরোগেরও ঝুঁকি কমে।
গাজরের রস চোখের জন্য খুব উপকারি। এতে থাকা ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। গাজরের রস দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতেও উপকারী বলে বিবেচিত হতে পারে। প্রতিদিন গাজর খেলে দৃষ্টিশক্তি ভাল হয়। গাজর ও গাজরের রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। শরীর সুস্থ থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
গাজরের রস ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ওজন কমানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকার এটি। এতে রয়েছে ফাইবার, যা ওজন কমাতে কার্যকরী। গাজরের রসে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। এটি পান করার পর, পেট দীর্ঘ সময়ের জন্য ভরা থাকে, যা অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে।