Tag Archives: CBI

CBI-RG Kar Case: সন্দীপ ঘোষের ‘ডানহাত’ কে? শেষমেশ ‘জেনেই’ ফেলল সিবিআই! খোঁজ মিলল ‘সিং’য়েরও, ভয়ঙ্কর অভিযোগ

কলকাতা: আরজি কর দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে সন্দীপ ঘোষের দুই ঘনিষ্ঠ আরজি কর হাসপাতালের মেডিক্যাল সামগ্রী সরবরাহকারী সুমন হাজরা ও বিপ্লব সিংয়ের। হাওড়ার সাঁকরাইলের হাঁটগাছার বাসিন্দা এই দুই ব্যবসায়ী ছিল সন্দীপ ঘোষের যাবতীয় দুর্নীতির মিডলম্যান, এমনটাই মনে করছে CBI।

রবিবার দুজনের বাড়িতে ও সুমন হাজরার মেডিক্যাল শপে সিবিআই তল্লাশি চালিয়ে বহু নথি বাজেয়াপ্ত করে। সুমন হাজরা প্রথম থেকেই মেডিক্যাল পেশায় যুক্ত ছিলেন। আরজি করে সামগ্রী সরবরাহ করতেন, সেখান থেকেই সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে বেড়ে ওঠে সুসম্পর্ক। ধীরে ধীরে সুমন হয়ে ওঠে সন্দীপের ডান হাত। সরাকারি ওষুধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেডিক্যাল সামগ্রী রিসাইকেলিং করে তা বাজারে বিক্রি করা, এমনকি সরকারি হাসপাতালে বিক্রিও করা হত।

আরও পড়ুন: শুধু সন্দীপ নয়, উঠে এল একের পর এক চমকে দেওয়া নাম! আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে বড় মোড়! কারা তারা?

যার একটি ভাগ কমিশন হিসাবে চলে যেত সন্দীপ ঘোষের পকেটে। ধীরে ধীরে সন্দীপ হয়ে ওঠে আরজি কর হাসপাতালের হর্তাকর্তা। হাসপাতালের বেড থেকে দ্রুত অস্ত্রোপচার সবই হত অর্থের বিনিময়। সিবিআই সূত্রে এমনই খবর। সাঁকরাইলের বাসিন্দা বিপ্লব সিং সুমনের এলাকার বাসিন্দা। বিপ্লবের বাবা ছিলেন মেডিকেল কলেজের সাধারণ কর্মী। ছোট থেকেই বিপ্লব ভাল ছবি আঁকত। পরবর্তী কালে ব্যানার পোস্টার লেখা, বাবার সোর্স লাগিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ব্যানার পোস্টার লেখার কাজ শুরু করে। সেখান থেকেই সুমনের সঙ্গে ধীরে ধীরে শুরু করে মেডিকেল সামগ্রী সরবরাহের কাজ।

সময়ের সঙ্গেসঙ্গে বিপ্লব হয়ে ওঠে বেতাজ বাদশা। একদিকে সুমন, অন্য দিকে বিপ্লব, সন্দীপ ঘোষের যাবতীয় দুর্নীতির সঙ্গে নাম জড়ায় দুজনের। মেডিক্যাল সামগ্রী থেকে মৃত দেহ বিক্রি, বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কমিশনের ভিত্তিতে কাজ পাইয়ে দেওয়া, সবই করত বিপ্লব আর সুমন। সাইকেল চালিয়ে বাচ্চাদের আঁকার শিক্ষকের এখন বিলাসবাহুল বাড়ি ও একাধিক গাড়ি। একই রকম ভাবে আন্দুল রোডের ওপর ওষুধের দোকান। সেই দোকানের আড়ালেই চলত যাবতীয় দুর্নীতির কাজকর্ম। প্রথম দিকে দোকানে গেলেও পরবর্তী কালে কর্মীদের হাতেই দোকান ছেড়ে বিলাসবাহুল জীবনযাত্রা শুরু করে সাধারণ ব্যাংক কর্মীর ছেলে সুমন। এই মুহূর্তে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দুর্নীতি মামলায় CBI-এর নজরে তারা দুজনই।

Sandip Ghosh: সন্দীপ ঘোষের ‘কারবার’! সব ফাঁস ‘কাছের লোক’ দেবাশিস সোমের? দেখুন ভিডিও

RG Kar Hospital News LIVE | আর জি করে দুর্নীতি তদন্ত! সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় CBI-হানা। দুর্নীতি তদন্তে একাধিক জায়গায় CBI হানা। সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে CBI হানা। আর জি করের প্রাক্তন সুপারের বাড়িতেও CBI। এন্টালিতে সঞ্জয় বশিষ্ঠের ফ্ল্যাটে CBI হানা। ট্যাংরায় সঞ্জয় বশিষ্ঠের স্ত্রীর ফ্ল্যাটও তল্লাশি। আর জি করের আরও এক ডাক্তারের বাড়িতে CBI। কেষ্টপুরে দেবাসিশ সোমের বাড়িতে হানা। ফরেনসিক মেডিসিনের অধ্যাপক দেবাশিস সোম। আরজি কর হাসপাতালেও CBI-এর একাধিক টিম। হাওড়ায় মেডিক্যাল সাপ্লায়ারের বাড়িতেও CBI তল্লাশি।

CBI-RG Kar Case: ঘটনার দিন নিয়ে ৭ ‘জরুরি’ প্রশ্ন, এবার সিবিআই জেরার মুখে কলকাতা পুলিশের অফিসার! যা ঘটল…

কলকাতা: আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ডিসি ডিডি স্পেশাল বিদিত বুন্দেশের বয়ান রেকর্ড করল সিবিআই। ডিসি ডিডি স্পেশালের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় একাধিক তথ‍্য।

সিবিআই সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (গোয়েন্দা বিভাগ) বিদিত বুন্দেশের কাছে জানতে হয়েছে একাধিক বিষয়। নীচে তালিকার আকারে দেওয়া হল প্রশ্নগুলি।

আরও পড়ুন: জিন্স প‍্যান্টে কেন থাকে এই ‘ছোট্ট পকেট’? রোজই পরেন, তাও ৯৯% লোকজনই জানেন না, আসল কারণ শুনলে চমকে যাবেন

মূলত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা কী ভাবে করা হয়?

ইনকোয়েস্ট পদ্ধতি কি? কারা ইনকোয়েস্ট করেন?

ইনকোয়েস্টের ফর্ম কি অস্বাভাবিক মামলা হিসেবে ধরা হয়?
জিডিই এন্ট্রি কি ভাবে প্রস্তুত করা হয়?

আপনারা কি জিডিই এন্ট্রি দুটো করেন? না কি খবর পেয়ে যাওয়ার সময় এন্ট্রি হয়?

কোথাও দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটলে অস্বাভাবিক মামলা রুজু করে ময়না তদন্ত করানো হয়?

ময়না তদন্তের পর ফাইনডিং পেয়ে কি নির্দিষ্ট সেকশন যুক্ত করে এফআইআর করেন?

Sandip Ghosh: ৭৫ মিনিট! শুরুতেই জেগে গেল ‘সন্দেহ’, সন্দীপের বাড়ি গিয়ে চমকে উঠল CBI, দেখুন সেই ভিডিও

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে রবিবার ঘটল নয়া মোড়। ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের সূত্রে আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। সেই সূত্রেই আলাদা মামলাও রুজু হয়েছে। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে সিট তৈরি করা হলেও সেই তদন্তের ভারও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। সেই দায়িত্ব হাতে পেয়েই এফআইআর রুজু করে সিবিআই। আর এরপরই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি সহ ১৫ জায়গায় হানা দিল সিবিআই। কিন্তু সকাল ৬.৪৫ মিনিটে সিবিআই আধিকারিকরা সন্দীপের বাড়িতে গেলেও তাঁদের গেটের বাইরে অপেক্ষা করতে হল প্রায় ৭৫ মিনিট। এতক্ষণ কেন সময় লাগল সন্দীপের দরজা খুলতে, তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে।

RG Kar Hospital News: আরজি করের ক্যান্টিনে কী এমন ঘটে? তদন্তে সেখানে কেন সিবিআই? দেখুন ভিডিও

RG Kar Hospital News: আর জি কর হাসপাতালে CBI। হাসপাতাল Superএর ঘরে তদন্তকারীরা। বর্তমান অধ্যক্ষ Manas Banerjee এর সঙ্গে কথা তদন্তকারীদের। কথা বর্তমান সুপার Saptarshi Chatterjeeএর সঙ্গেও। হাসপাতালের স্টোর বিল্ডিংয়েও তল্লাশি তদন্তকারীদের। স্টোর বিল্ডিং-এ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক নথি সংরক্ষিত হয়।

Sandip Ghosh: সন্দীপের বাড়িতে কী নিয়ে ঢুকল সিবিআই? মিলল বড় কোনও প্রমাণ? দেখুন ভিডিও

কলকাতা: রবিবার সকাল ৬.৪৫ মিনিট নাগাদ আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। যদিও দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরও সাড়া দেননি সন্দীপ। অবশেষে সকাল ৮.০৫ মিনিট নাগাদ খোদ সন্দীপ এসে সিবিআই-কে গেট খুলে দে। ততক্ষণে অবশ্য এ বিষয়ে বেলেঘাট থানাকে জানান সিবিআই অফিসাররা। কিন্তু গেট খুলতে এতক্ষণ দেরি হল কেন সন্দীপ ঘোষের? উত্তর খুঁজছে সিবিআই। অবশ্য এদিন শুধু সন্দীপ ঘোষের বাড়িতেই নয়, আরজি করের দুর্নীতি মামলায় কলকাতা, হাওড়ার একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তবে, সবচেয়ে বেশি নজরে রয়েছে সন্দীপ ঘোষের বাড়ি।

রবিবার সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ বেলেঘাটায় সন্দীপের বাড়ির সামনে পৌঁছে যায় সিবিআই। সেই দলে ছিলেন এক মহিলা আধিকারিক-সহ সাত জন। এরপর দুপুর ১২টা নাগাদ আরও ৬ জন তদন্তকারী সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে ঢোকেন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সিবিআইয়ের তরফ থেকে প্রিন্টার নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ির ভিতরে। এরপরই জল্পনা ছড়ায়, তাহলে কি এই দুর্নীতির তদন্তে যুক্ত গুরুত্বপূর্ণ কোনও নথি হাতে পেল সিবিআই? এখনও পর্যন্ত অবশ্য কোনও সুস্পষ্ট উত্তর মেলেনি। পরে অবশ্য ৩ জন অফিসার সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।

Sandip Ghosh-RG Kar Case: সন্দীপের বাড়িতে মিলল ‘বড়’ কোনও প্রমাণ? সিবিআই-এর দুটি পদক্ষেপেই জল্পনা তুঙ্গে! কী ঘটল এমন?

কলকাতা: রবিবার সকাল ৬.৪৫ মিনিট নাগাদ আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। যদিও দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরও সাড়া দেননি সন্দীপ। অবশেষে সকাল ৮.০৫ মিনিট নাগাদ খোদ সন্দীপ এসে সিবিআই-কে গেট খুলে দে। ততক্ষণে অবশ্য এ বিষয়ে বেলেঘাট থানাকে জানান সিবিআই অফিসাররা। কিন্তু গেট খুলতে এতক্ষণ দেরি হল কেন সন্দীপ ঘোষের? উত্তর খুঁজছে সিবিআই। অবশ্য এদিন শুধু সন্দীপ ঘোষের বাড়িতেই নয়, আরজি করের দুর্নীতি মামলায় কলকাতা, হাওড়ার একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তবে, সবচেয়ে বেশি নজরে রয়েছে সন্দীপ ঘোষের বাড়ি।

রবিবার সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ বেলেঘাটায় সন্দীপের বাড়ির সামনে পৌঁছে যায় সিবিআই। সেই দলে ছিলেন এক মহিলা আধিকারিক-সহ সাত জন। এরপর দুপুর ১২টা নাগাদ আরও ৬ জন তদন্তকারী সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে ঢোকেন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সিবিআইয়ের তরফ থেকে প্রিন্টার নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ির ভিতরে। এরপরই জল্পনা ছড়ায়, তাহলে কি এই দুর্নীতির তদন্তে যুক্ত গুরুত্বপূর্ণ কোনও নথি হাতে পেল সিবিআই? এখনও পর্যন্ত অবশ্য কোনও সুস্পষ্ট উত্তর মেলেনি। পরে অবশ্য ৩ জন অফিসার সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।

আরও পড়ুন: ৭৫ মিনিট! শুরুতেই জেগে গেল ‘সন্দেহ’, সন্দীপের বাড়ি গিয়ে শুরুতেই চমকে উঠল CBI

এদিকে, হাওড়ার সাঁকরাইলের হাঁটগাছায় বিপ্লব সিংয়ের বাড়িতেও এই কাণ্ডে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। বিপ্লব আরজি কর হাসপাতালের ভেন্ডর। সূত্রের খবর, আরজিকর হাসপাতালে দুজন ভেন্ডর ছিল। সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিং। ইনজেকশনের সিরিঞ্জ থেকে বিভিন্ন ওষুধ সরবরাহ করত এই দুজন। এমনকি সরকারি ওষুধ নিয়ে সেগুলিকে রিসাইক্লিং করে সেগুলিকে বাইরে বাজারে বিক্রি করত বিপ্লব আর সুমন। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। আর এই ব্যবসায় তাদের সঙ্গ দিত সন্দীপ ঘোষ। সন্দীপ ঘোষের হয়ে বিভিন্ন হোটেলে পার্টির ব্যবস্থা করা এমনকি বিভিন্ন ক্ষেত্রে কমিশন থেকে টাকা পয়সার লেনদেন সবই হত বিপ্লব আর সুমনের মাধ্যমে।

এদিকে, আরজি করের অপসারিত সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠের এন্টালির আবাসনেও হানা দেয় সিবিআই। আরজি করে টেন্ডার দুর্নীতি, আর্থিক তছরূপ মামলায় সিবিআই-এর অভিযানে সকাল পৌনে আটটা নাগাদ সঞ্জয়ের বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই। আবার, কেষ্টপুর হানাপাড়ায় আরজি করের অ্যানাটমি বিভাগের চিকিৎসক দেবাশিস সোমের বাড়িতেও তল্লাশি চলছে। সন্দীপ ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই চিকিৎসক। এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও এই মামলার অভিযোগকারী চিকিৎসক আখতার আলি একাধিকবার অভিযোগ করেছিলেন। সেই দেবাশিস সোমের বাড়িতেও সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

সিবিআই-এর তল্লাশি চলছে আরজি কর হাসপাতালের স্টোরেও। এই বিল্ডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত প্রশাসনিক নথি সংরক্ষিত হয়। অপরদিকে, বেলগাছিয়া জেকে ঘোষ রোডের একটি বাড়িতে গিয়েছে সিবিআই। এই বাড়িতেই আরজি করের ভিতরে যে ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে, তার মালিক থাকেন বলে খবর।

CBI-RG Kar Case: শুধু সন্দীপ নয়, উঠে এল একের পর এক চমকে দেওয়া নাম! আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে বড় মোড়! কারা তারা?

কলকাতা: আরজি কর দুর্নীতির তদন্তে ১৫ জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি সহ তাঁর ঘনিষ্ঠ ও কিছু সংস্থার অফিস মিলিয়ে হচ্ছে এই তল্লাশি। কলকাতা ও কলকাতা সংলগ্ন অঞ্চলে প্রায় ১৫ জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখা।

এদিকে, হাওড়ার সাঁকরাইলের হাঁটগাছায় বিপ্লব সিংয়ের বাড়িতেও এই কাণ্ডে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। বিপ্লব আরজি কর হাসপাতালের ভেন্ডর। সূত্রের খবর, আরজিকর হাসপাতালে দুজন ভেন্ডর ছিল। সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিং। ইনজেকশনের সিরিঞ্জ থেকে বিভিন্ন ওষুধ সরবরাহ করত এই দুজন। এমনকি সরকারি ওষুধ নিয়ে সেগুলিকে রিসাইক্লিং করে সেগুলিকে বাইরে বাজারে বিক্রি করত বিপ্লব আর সুমন। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। আর এই ব্যবসায় তাদের সঙ্গ দিত সন্দীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন: ৭৫ মিনিট! শুরুতেই জেগে গেল ‘সন্দেহ’, সন্দীপের বাড়ি গিয়ে শুরুতেই চমকে উঠল CBI

সন্দীপ ঘোষের হয়ে বিভিন্ন হোটেলে পার্টির ব্যবস্থা করা এমনকি বিভিন্ন ক্ষেত্রে কমিশন থেকে টাকা পয়সার লেনদেন সবই হত বিপ্লব আর সুমনের মাধ্যমে। এদিকে, কেষ্টপুর হানাপাড়ায় আরজি করের অ্যানাটমি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার দেবাশিস সোমের বাড়িতেও তল্লাশি চলছে। সন্দীপ ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল এই চিকিৎসক। এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও আখতার আলি একাধিকবার অভিযোগ করেছিলেন। সেই দেবাশিস সোমের বাড়িতেও সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

সিবিআই-এর তল্লাশি চলছে আরজি করের স্টোরেও। এই বিল্ডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত প্রশাসনিক নথি সংরক্ষিত হয়। অপরদিকে, বেলগাছিয়া জেকে ঘোষ রোডের একটি বাড়িতে গিয়েছে সিবিআই। এই বাড়িতেই আরজি করের ভিতরে যে ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে, তার মালিক থাকেন বলে খবর।

Sanjay Roy-RG Kar Case: সর্বনাশ! জেলে ঢুকেই এমন কী করলেন সঞ্জয়? চমকে উঠলেন কারারক্ষী! এমনও সম্ভব?

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর তাতে মূল অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলেও বর্তমানে ওই তদন্ত করছে সিবিআই। তাই মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় এখন সিবিআই হেফাজতে। অবশ্য বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে সঞ্জয়।

শুক্রবার তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়ে পাঠানো হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। কিন্তু জেলে ঢুকে কী করছেন সঞ্জয়? সূত্রের খবর, জেলে ঢুকেই কারারক্ষীদের হাতজোড় করে আর্জি জানায় অভিযুক্ত সঞ্জয়। তাকে শান্তিতে ঘুমোতে দেওয়ার আবেদন করে সে। এমনকী নানা সময় বিড়বিড় করছে সে।

সেলের বাইরে সর্বক্ষণ মোতায়েন আছে কারারক্ষী। এছাড়াও সিসি ক্যামেরায় নজর রাখা হচ্ছে। মাঝরাত থেকে সঞ্জয় পায়চারি করেছে সেলের মধ্যে। কারারক্ষীদের বারবার বলে চলেছে ‘আমি কিছু জানি না।’ সেলে গিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে অভিযুক্তের। রবিবার পলিগ্রাফ টেস্টে কী বেরোয় সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন: ৭৫ মিনিট! শুরুতেই জেগে গেল ‘সন্দেহ’, সন্দীপের বাড়ি গিয়ে শুরুতেই চমকে উঠল CBI

আদালতে দাঁড়িয়ে অবশ্য সঞ্জয়ের দাবি ছিল, ”‌আমি নির্দোষ। আমি কিছু করিনি। আমাকে নিশানা করা হয়েছে। এই পরীক্ষা হয়তো তার জন্য। আমি যে নির্দোষ এই পরীক্ষায় হয়ত তা প্রমাণ হবে।’‌ কিন্তু শিয়ালদহ আদালত থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়েই হাবভাব বদলে যায় সঞ্জয়ের। জেল সূত্রে খবর, জেলে তাকে অনুরোধ করতে দেখা গিয়েছে। এক কারারক্ষী সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জয় বলছে, ”জেরায় জেরায় আমি খুব ক্লান্ত। আমাকে খেতে দিতে হবে না। শান্তিতে একটু ভাল করে ঘুমোতে দিন।”

সিবিআই সূত্রে খবর, রবিবারই সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ পরীক্ষা হতে পারে। কড়া নিরাপত্তায় প্রেসিডেন্সি জেলে রাখা হয়েছে সঞ্জয়কে। জেল কর্মীদের হাতজোড়া করে শান্তিতে ঘুমনোর আর্জি সেলেই শুধু করেনি সঞ্জয়। বরং প্রেসিডেন্সি জেলে ঢোকার পরও তা করেছিল ধৃত। ইতিমধ্যেই সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে সিসিটিভি ফুটেজ এবং কিছু সরঞ্জাম হাতে এসেছে সিবিআই আধিকারিকদের। এরপর পলিগ্রাফ পরীক্ষায় কী তথ্য উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার।

CBI Raid: আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষের বাড়ি সহ ১৫ জায়গায় সিবিআই হানা! তোলপাড় বাংলা

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে নয়া মোড়। ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের সূত্রে আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। সেই সূত্রেই আলাদা মামলাও রুজু হয়েছে। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে সিট তৈরি করা হলেও সেই তদন্তের ভারও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। সেই দায়িত্ব হাতে পেয়েই এফআইআর রুজু করে সিবিআই। আর এরপরই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি সহ ১৫ জায়গায় হানা দিল সিবিআই।

সন্দীপ ঘোষের বাড়ি ছাড়াও ফরেন্সির মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক দেবাশিস সোমের বাড়ি, এন্টালিতে রয়েছে আরজি হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠের ফ্ল্যাট। সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। এ ছাড়া, হাওড়ার একটি জায়গায় বিপ্লব সিং নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়েছে সিবিআই।

তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহকারী হিসাবে কাজ করেন। আরজি করে আর্থিক অনিয়মের যে অভিযোগ করেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি, তাতে এঁদের নাম রয়েছে।

বিস্তারিত আসছে…