উত্তর দিনাজপুর: টিনের ঘরের মধ্যে সারি সারি জামা-কাপড় সাজানো। প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনও পোশাক নিয়ে যেতে পারেন, তাও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে! ২৫ তম বিবাহ বার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখতে এমন সাড়া ফেলে দেওয়া উদ্যোগ সীমা জানার। তিনি আবার সরকারি হাসপাতালের একজন নার্স।
দরিদ্রদের সুবিধা হতে পারে মনে করে বিয়ের জন্মদিন উপলক্ষে এমন একটি ঘরের সূচনা করেছেন জানা দম্পতি। তাঁরা দুজনেই সরকারি চাকুরে। উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি থানার এসআই কাঞ্চন জানা ও সীমা জানা কর্মরত করণদিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে। বিয়ের ২৫ বছর উপলক্ষে তাঁরা এই মহতী উদ্যোগের সূচনা করলেন।
আরও পড়ুন: আখের রস বিক্রি করতে আর কষ্ট হবে না, সামান্য খরচে এই মেশিন বসালেই কেল্লাফতে
বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছরই জানা দম্পতি অভিনব কিছু না কিছু করে থাকেন। তবে এই বছর বিষয়টা স্পেশাল ছিল। তাঁরা যে ঘরের উদ্বোধন করেছেন সেখানে এসে দুঃস্থরা তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় জামাকাপড় পেয়ে যাবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এই ঘরে যেকেউ এসে তাঁদের জামা-কাপড়টি রেখে যেতে পারেন। আর যাদের দরকার তারা এসে সেখান থেকে নিজের পছন্দমত পোশাকটি বেছে নিয়ে যাবেন। এই গরিব মানুষগুলোর জন্যই বিবাহ বার্ষিকীতে এমন উদ্যোগ জানা দম্পতির। ‘আপনার প্রয়োজন থাকলে দিয়ে যান, প্রয়োজন থাকলে নিয়ে যান’ এটাই হলো এই উদ্যোগের ট্যাগলাইন। ট্যাগলাইন লেখা ফ্লেক্স ঘরটির চারপাশে আটকানো।
পিয়া গুপ্তা