Tag Archives: social work

Bangla Video: গাছের ডালে বাঁধা হাঁড়িতে রাখা জল মেটাচ্ছে পাখিদের তৃষ্ণা

আলিপুরদুয়ার: পাখিদের তৃষ্ণা মেটাতে অভিনব উদ্যোগ একদল যুবকের। গাছের ডালে হাঁড়ি বেঁধে তাতে জল ঢেলে এই প্রখর গ্রীষ্মে পাখিদের তৃষ্ণা মেটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মহাকালগুড়ি এলাকায়। সেই হাঁড়িতে প্রতিদিন নিয়ম করে জল ঢালছেন এলাকার যুবকরা।

প্রচন্ড দাবদাহে কৃষি জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিঘার পর বিঘা ভুট্টা ক্ষেত জলের অভাবে মরে যাচ্ছে। খাল বিলে জল নেই। ফলে অসহায় পাখিরাও পান করার মত জল পাচ্ছে না কোথাও। মানুষের কষ্ট হলেও তারা নানান উপায়ে পানীয় জল জোগাড় করতে পারে। কিন্তু পাখিদের তো আর সেই সুযোগ নেই। তাই তাদের জন্য এগিয়ে এসেছে মহানুভ একদল যুবক।

আরও পড়ুন: টেনে নিয়ে গিয়েছিল বাঘ, মৃতদের পরিবারকে চার সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ লাখ করে ক্ষতিপূরণ

এই সময়ে পাখিদের তৃষ্ণা মেটাতে গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি বেঁধে জল ভর্তি করে রাখছেন উত্তর মহাকালগুড়ি এলাকার কিছু যুবক। ‌গ্রামের ১৫ টি গাছে মাটির হাড়ি ঝুলিয়ে দিয়ে তাতে জল ভর্তি করে রাখছেন যুবকরা। আর সেখান থেকেই তৃষ্ণা মেটাতে জল পান করছে পাখিরা। প্রতিদিন সকালে উঠেই জল দেওয়ার জন্য জঙ্গলে চলে যান ওই যুবকরা।গাছে উঠে জল দিয়ে নিজেদের কাজে ব্যস্ত হয়ে যান রাহুল, বিশালরা। কামাখ্যাগুড়ি ভলেন্টিয়ার অর্গানাইজেশন-এর সঙ্গে যুক্ত এই যুবকরাবরাবরই বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে থাকেন।

অনন্যা দে

Social Work: জীবনের লক্ষ্য ৫০০০ বটগাছ লাগানো! শিক্ষকের অবাক খেয়াল

পূর্ব মেদিনীপুর: সুকান্ত ভট্টাচার্যের ছাড়পত্র কবিতার বিখ্যাত লাইন দুটিকে জীবনের পাথেয় করেছেন কাঁথির শ্যামল জানা। তিনি পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। তাঁর জীবনের লক্ষ্য ভারতবর্ষের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলি মিলিয়ে পাঁচ হাজার বটগাছ লাগানো।

লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে তাই সময় পেলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন শ্যামলবাবু। সঙ্গে থাকে নিজের তৈরি করা একটি ট্রলি, যার মধ্যে রাখা থাকে বটগাছের চারা এবং মাটি খোঁড়ার জন্য একটি ধাতব গাঁইতি। এ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ, ভুটান সহ প্রতিবেশী দেশগুলিতেও বটবৃক্ষের চারা লাগিয়েছেন।

আর‌ও পড়ুন: ঘুম ভেঙেই যদি এমন দৃশ্য দেখতে হয়…

পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির কুলাই পদিমা নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যামল জানা। শুধু একজন শিক্ষকই নন, তিনি এলাকায় পরিবেশপ্রেমী হিসাবেও পরিচিত। তাঁর পরিবেশ প্রেম বলতে গাছ লাগানো, গাছের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি সমাজকে প্লাস্টিক মুক্ত করতে একাধিক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন জীবজন্তুদেরও খাদ্যের যাতে অভাব না হয় সেজন্য বাড়িতে তৈরি করেছেন ‘বাপের হোটেল’ নামক একটি পশুপাখিদের খাবার জায়গা। যেখানে পাখিদের জন্য দানাশস্যর পাশাপাশি অন্যান্য পশুদের জন্য খাবার রাখেন তিনি। নানান সমাজসেবামূলক কাজের পাশাপাশি তাঁর স্বপ্ন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বটবৃক্ষের গাছ লাগানো।

এ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলার পাশাপাশি অসম, ত্রিপুরা, মনিপুর সহ পাঁচটি রাজ্যে বটগাছের চারা রোপণ করেছেন। এমনকি নেপাল, বাংলাদেশ ও ভুটানেও বট গাছ লাগিয়ে এসেছেন তিনি। তাঁর জীবনের মন্ত্র, ‘থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে, বৃক্ষরোপণ বিশ্বজুড়ে।’ এ পর্যন্ত অন্যান্য গাছের পাশাপাশি শুধুমাত্র বটগাছ লাগিয়েছেন ১,০৫৪ টি। শুধু গাছ লাগিয়েই ক্ষান্ত হন না। তাদের পরিচর্যার দিকেও নজর রাখেন।

আর‌ও পড়ুন: ভোটের মধ্যেই দার্জিলিঙে পর্যটকদের ভিড়

বট গাছ লাগানোর বিষয়ে শিক্ষক শ্যামল জানা জানান, বিশ্ব উষ্ণায়ন দিন দিন বাড়ছে। যা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে। তাই আগামী প্রজন্মকে বিশ্ব উষ্ণায়নের হাত থেকে বাঁচাতেই বটগাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ বটগাছ খুব অল্প পরিচর্যায় বেড়ে ওঠে এবং একটি বটগাছ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে।

সৈকত শী

Food Bank: দুঃস্থদের জন্য ফুড ব্যাঙ্ক রামপুরহাটে

বীরভূম: মাঝে মধ্যে আমরা প্রিয়জনদের সঙ্গে বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁয় খেতে যাই। বিভিন্ন ধরনের নামি দাবি খাবার হোটেলে অর্ডার দিয়ে থাকি। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা সমস্ত খাবার খেতে পারি না। সেই খাবার হোটেলের টেবিলেই পড়ে থাকে। তারপরে হোটেলের কর্মচারীরা সেই খাবার ফেলে দেন ডাস্টবিনে। একটি সমীক্ষা বলছে, প্রত্যেকদিন এইভাবে গড়ে প্রায় ২৫ শতাংশ খাবার নষ্ট হয় বিভিন্ন বড় হোটেলে।

আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, হোটেলে বিভিন্ন খাবার তৈরি থাকে। সেই খাবার বিক্রি না হওয়ার ফলে নষ্ট হয়ে গেলে ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হয়। এদিকে আমাদের দেশে এখনও অনেক অসহায় মানুষকে দেখা যায় যারা দু’বেলা দুমুঠো খাবার খেতে পান না। সেই সমস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এবার এগিয়ে এল রামপুরহাট নিউটাউনের কর্ণধার আনিস আহমেদ।

আর‌ও পড়ুন: বাঘের মুখ থেকে বেঁচে ফিরলেন! সুন্দরবনে মধু সংগ্রহে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা

অসহায় দুঃস্থ মানুষদের মুখে হাসি ফোটাতে ফুড ব্যাঙ্ক চালু করলেন রামপুরহাট নিউটাউনেরর কর্ণধার। বীরভূমের রামপুরহাট শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে এই রামপুরহাট নিউটাউন। ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে এই ফুড ব্যাঙ্কটি। প্রতিদিন দুপুরের পাশাপাশি সন্ধে সাতটা থেকে রাত ন’টা অবধি খোলা থাকবে এই ফুড ব্যাঙ্ক। এখানে এসে দুঃস্থরা নিজেদের প্রয়োজনমতো খাবার বিনামূল্যে নিয়ে যেতে পারবেন।

সৌভিক রায়

South 24 Parganas News: ভবঘুরেদের পাতে পড়ছে মাংসভাত, নিঃশব্দে কাজ করে চলছে রায়দিঘির যুবকরা

রায়দিঘি: ভবঘুরেরা খাচ্ছে মাংসভাত, সৌজন্যে রায়দিঘির যুবকরা। শুধুমাত্র একদিন কিংবা দু’দিন নয়। প্রত্যেক ছুটির দিনে চলছে এই কাজ। সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলিতে চলছে ভাত, ডাল সবজির তরকারি রান্না করে বিতরণ করার কাজ।
বছরখানেক আগে রায়দিঘির বেশ কিছু যুবক একত্রিত হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন, ভবঘুরে মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর সংকল্প গ্রহণ করেছিল। আর তারপর তারা সংকল্প করেছিল দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। এদের মধ্যে কেউ কলেজের পাঠ শেষ করে চাকরির চেষ্টা করছেন, কেউ আবার চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে শুরু করছেন ব্যবসা।

আরও পড়ুন:  একাধিক বাল্যবিবাহ ও পাচার রুখে বাস্তবের ‘হিরো’ ঢোলাহাট থানার আইসি

আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হওয়ার লড়াইয়ে আর পাঁচটা বেকার তরুণের মতই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এঁরা প্রত্যেকেই। তবে এর মধ্যেও মানুষের পাশে দাঁড়াতে ভোলেননি কখনও। এখন তাদের রয়েছে ৭০ জনের একটি দল।রায়দিঘি হাসপাতালের ডাক্তার ও কিছু হাসপাতাল কর্মী তাঁদের সঙ্গে আছেন।

আরও পড়ুন: নদীর পাড়, নবাবি ইতিহাস! বছর শেষের ছুটির আদর্শ ঠিকানা, বাড়ির কাছেই আছে এই জায়গা, ঘুরে আসুন

শুধুমাত্র খাবার দেওয়া নয় মানসিক ভারসাম্যহীনদের নখ, চুল কেটে দেওয়া, সাবান দিয়ে স্নান করিয়ে দেওয়া সহ তাদের খেয়াল রাখার কাজ করে তারা। প্রচন্ড শীতে শীতবস্ত্র প্রদান করার কাজও করে তারা। এই কাজ করার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা সকলেই ওই যুবকদের প্রশংসা করেছেন। যুবকরাও তাদের কাজকে ভবিষ্যতে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সেজন্য এই কাজে সকলকে পাশে থাকার আবেদন করেছেন তাঁরা।

নবাব মল্লিক