Tag Archives: daily passenger

Heat Wave: তাপপ্রবাহের রক্তচক্ষুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারী হচ্ছে অফিসের ব্যাগ

পশ্চিম বর্ধমান: দক্ষিণবঙ্গের মানুষ চাতক পাখির মত তাকিয়ে আছেন বৃষ্টির দিকে। যদিও আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, এই সপ্তাতেও বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাবে না। বরং তাপপ্রবাহ আর‌ও বাড়তে পারে। এমন অবস্থায় দক্ষিণবঙ্গের মানুষ কার্যত নাকাল হয়ে পড়েছে। টানা গরম সহ্য না করতে পেরে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির। সেখানে অতি প্রবল তাপপ্রবাহ চলছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে। এই পরিস্থিতিতে এখানকার জেলাগুলিতে সকাল গড়ালেই যেন অঘোষিত বনধ শুরু হয়ে যাচ্ছে। ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট।

চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, প্রয়োজন ছাড়া এই সময় বাইরে না বেরোনোই ভাল। তবে কাজের জন্য বহু মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছেন। অফিস ব্যাগ ভারী হয়ে যাচ্ছে জলের ভারে। একের বদলে একাধিক জলের বোতল রাখছেন অনেকেই। ফলে সানগ্লাস, স্কার্ফ ইত্যাদির বিক্রি বেড়েছে ব্যাপকভাবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, সাধারণ মানুষ সমস্তরকম সর্তকতা অবলম্বন করে বাইরে যাচ্ছেন। তবে তীব্র গরমে কিছুতেই যেন স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকে আবার এই গরম সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কেউ তীব্র গরমে রাস্তায় মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছেন, তো কেউ আবার গরম সহ্য করতে না পেরে গলদঘর্ম হয়ে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছেন। কেউ শরীরে জল শূন্যতার শিকার হচ্ছেন।

আর‌ও পড়ুন: রোদ যত চড়া হয় ততই রোজগারের সুযোগ বাড়ে! অসহায় মানুষগুলো শেষে পেল স্বস্তি

এমন অবস্থায় সাধারণ মানুষকে চিকিৎসকরা বারবার সাবধান থাকতে বলছেন। রাস্তায় সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত বাইরে বের হতে নিষেধ করছেন। তবে কাজের দরকারে বা অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে একান্তই বাইরে বের হতে হলে অবশ্যই ছাতা, রোদ চশমা ইত্যাদি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন। একইসঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও প্রয়োজনে আখের রস, লস্যি ইত্যাদি খাওয়ার পরামর্শ‌ও দিচ্ছেন।

যদিও এই সমস্ত কিছু করেও তাপমাত্রা জনিত অসুস্থতা আটকে রাখা যাচ্ছে না। যে কারণে আসানসোল জেলা হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে। হাসপাতালে প্রচুর পরিমাণে স্যালাইন, ওআরএস ইত্যাদি মজুদ রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা বাড়িতে ওআরএস মজুত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। অবস্থা বেগতিক বুঝলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে বলছেন তাঁরা। অন্যদিকে গরম মোকাবিলা করতে সবরকম প্রস্তুতি রেখেছে আসানসোল জেলা হাসপাতাল।

নয়ন ঘোষ

Bauria Ferry Service Resume: ১৪ দিন পর আবার শুরু বজবজ-বাউড়িয়া ফেরি চলাচল

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অবশেষে ১৪ দিন পর স্বাভাবিক হল বজবজ-বাউড়িয়া ফেরি পরিষেবা। বান এসে তছনছ করে দিয়েছিল বাউড়িয়া জেটিঘাট। ফলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্ধ ছিল বজবজ-বাউড়িয়া ফেরি যোগাযোগ। অসুবিধা হচ্ছিল নিত্যযাত্রীদের।

আর‌ও পড়ুন: উল্টো পথে বয়ে চলেছে স্রোত! গঙ্গা না হয়েও তার পাড়ে ‘গঙ্গা আরতি’

গত ১৪ মার্চ বানের জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছিল বাউড়িয়া জেটি। বজবজে উল্টে গিয়েছিল একটি নৌকা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বজবজ-বাউড়িয়া ফেরি পরিষেবা। শুক্রবার, অর্থাৎ ২৯ মার্চ থেকে থেকে পুনরায় এই পথে ফেরি পরিষেবা চালু হয়েছে। দু’সপ্তাহ আগে এই জেটিঘাট ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে রাজ্যের পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায় পরিবহণ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

ঘটনার দিন রাতেই বাউড়িয়ায় আসেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সমস্ত খোঁজখবর নেন। মন্ত্রী জেটিঘাট সংস্কারের জন্য তিরিশ লাখ টাকা বরাদ্দ করেন বলে জানা যায়। আর তারপরই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জেটি মেরামত করা হয়। এই ফেরি পরিষেবা পুনরায় চালু হওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীরা। ফেরী পরিষেবা বন্ধ থাকায় প্রায় দু’সপ্তাহ ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছিল সকলকে। আপাতত সেই সমস্যার হাত থেকে রেহাই মিলছে সকলের।

নবাব মল্লিক