Tag Archives: Dengue Affected Area

Dengue Control Mission: ডেঙ্গি চরম আকার নিচ্ছে এই ৭ জেলায়! পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলাশাসকদের বিশেষ নির্দেশ মুখ্য সচিবের!

কলকাতা:  ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের ছয় থেকে সাত জেলাকে সতর্ক করলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা জলপাইগুড়ি, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

আরও পড়ুন- বড়সড় ভূমিকম্প রাজ্যে! কেঁপে উঠল শিলিগুড়ি, ডুয়ার্স…!

আরজি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন নবীন চিকিৎসকরা।  যার জেরে রাজ্য জুড়ে হাসপাতালগুলিতে বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা।  ইতিমধ্যে ভয় ধরাচ্ছে ক্রম বর্ধমান ডেঙ্গি পরিস্থিতি। বর্ষায় এই মশাবাহিত রোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এ দিকে রোগী দেখেবে কে? চিকিৎসকরা বিক্ষোভে শামিল।

রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা সামাল দিতেই শুক্রবার বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্য সচিব। জেলাশাসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে জরুরি বৈঠকে বেশ কিছু বিষয় খতিয়ে দেখা হয়।

আরও পড়ুন- পৃথিবীর একমাত্র পাখি, যেটির ডানা নেই! কোন পাখি? বলুন দেখি…উত্তর মিলিয়ে দেখুন

বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গি নিয়ে কাজ করতে কী কী সমস্যা হচ্ছে তা নিয়ে জেলা ভিত্তিক রিপোর্ট নেন মুখ্য সচিব এ দিনের বৈঠকে। তিনি জানান, হাসপাতালগুলিতে ফিভার ক্লিনিক চালু থাকবে। হটস্পট এরিয়াগুলিতে চিহ্নিত করে যাবতীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রায় দু’ঘন্টা ধরে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করে এমনই নির্দেশ দিলেন মুখ্য সচিব।

Dengue Prevention: এই জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোমর বেঁধে নামল প্রশাসন

মালদহ: বর্ষাকাল শুরু হতেই জেলায় তরতরিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গা আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মশা সহ অন্যান্য পতঙ্গবাহিত রোগ থেকে মানুষকে সচেতন করতে উদ্যোগ নিল প্রশাসন। মালদহ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে গ্রামীণ এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।

চলতি মরশুমে মালদহ জেলায় ব্যাপক হারে ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা তিন শতাধিক ছাড়িয়েছে। আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। শুধুমাত্র শহরে নয়, এই বছর মালদহ জেলার গ্রামীণ এলাকাতেও ব্যাপক হারে ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই শহরের পাশাপাশি এই বছর গ্রামীণ এলাকাতেও ডেঙ্গি সচেতনতায় একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষকে পতঙ্গ বাহিত রোগ সম্বন্ধে সচেতন করছেন।

আরও পড়ুন: রাতের রাস্তায় মেয়েদের সাহস জোগাবে পুলিশের শক্তি বাহিনী

প্রশাসনের এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে ভিসিটি কর্মী গীতা ঘোষ বলেন, আমরা বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছি। কোথাও যেন জল না জমে থাকে এই বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি কীটনাশক ছাড়ানো হচ্ছে। পতঙ্গ বাহিত রোগ নিয়ে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।

মালদহের গাজোল ব্লকেও ডেঙ্গি প্রতিরোধে একাধিক কর্মসূচি চলছে। ভিসিটি কর্মীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে ডেঙ্গি থেকে কীভাবে বাঁচা যায় সেই বিষয় নিয়ে সচেতন করছেন গ্রামবাসীদের। পাশাপাশি যে সমস্ত জায়গায় জল জমে রয়েছে বা নোংরা আবর্জনা রয়েছে সেই জায়গাগুলিতে চলছে মশার লার্ভা নিধনকারী স্প্রে করার কাজ। স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা রামপদ মহন্ত বলেন, স্বাস্থ্য কর্মীরা আমাদের ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন করে গিয়েছেন। কোথাও যেন জল না জমে থাকে, আবর্জনা যেন জমে না থাকে তা প‌ইপই করে বুঝিয়ে গিয়েছেন।

হরষিত সিংহ

Dengue Cases Increasing: এখনই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত! আক্রান্তের সংখ্যা শুনলে চমকে যাবেন

আলিপুরদুয়ার: বর্ষাকাল এখনও আসেনি। তার আগেই জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ। আক্রান্তে নিরিখে জেলার মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে কালচিনি ব্লক। এখনই এই অবস্থা হওয়ায় রীতিমত শঙ্কিত জেলাবাসী।

আলিপুরদুয়ারের বাকি ব্লক মিলিয়ে যখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮, সেখানে কালচিনি ব্লকেই এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ জন। বরাবরই জেলার মধ্যে ডেঙ্গি প্রবণ ব্লক বলে পরিচিত কালচিনি। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে কালচিনি ব্লকে ২২২৮ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যার মধ্যে ২২২০ আক্রান্তের হদিস মিলেছিল ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী শহর জয়গাঁ ও তার পার্শ্ববর্তী এলকাগুলোতে। ২০১৯-এর সেই ডেঙ্গি আতঙ্কই আবার ফের চোখ রাঙাতে শুরু করেছে। তবে ২০১৯-এর মত ফের যাতে ডেঙ্গি ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে ব্লক ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক এবং কর্মীরা।

আর‌ও পড়ুন: ISF প্রার্থী একাই লিফলেট বিলি করছেন!

ডেঙ্গি রুখতে অভিযান চলছে কালচিনি গ্রাম পঞ্চায়েতে। এখানে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ৭ জন। এই বিষয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্রীকান্ত মণ্ডল বলেন, ডেঙ্গি রুখতে আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।তবে আক্রান্তরা অধিকাংশই এখন সুস্থ রয়েছেন।

অনন্যা দে