Tag Archives: dessert

East Bardhaman Special Dessert: অগ্রদ্বীপের ছানার জিলিপির খ্যাতির বাজিমাত এ বার দেশ পেরিয়ে বিদেশেও

বনোয়ারীলাল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান: মিষ্টি মানেই যেন বাঙালি। বহু অবাঙালির কাছে বাঙালি খাবার তালিকার যা দিয়েই শুরু হোক না কেন, শেষ পাতে মিষ্টি থাকেই। স্বাদ, ঐতিহ্যের জোরে বাংলার তৈরি মিষ্টির এক আলাদা জায়গা রয়েছে। মিষ্টি পছন্দ করে না, এমন মানুষ থাকলেও সেই সংখ্যাটা নিতান্তই হাতে গোনা। এই বাংলায় বিভিন্ন রকমের মিষ্টি তৈরি হয়। তবে এক এক জায়গার এক এক রকমের মিষ্টি বিশেষ ভাবে বিখ্যাত এবং জনপ্রিয়।

সেরকমই পূর্ব বর্ধমান জেলার অগ্রদ্বীপের ছানার তৈরি জিলিপি অন্যতম, যা সকলে ছানার জিলিপি নামে চেনেন। জানা যায় , অগ্রদ্বীপে প্রায় কয়েক দশক আগে মোদক পরিবারের হাত ধরে প্রথম এই মিষ্টির সূচনা হয়েছিল, যা আজও বংশ পরম্পরায় তৈরি হচ্ছে।এই প্রসঙ্গে মিষ্টি ব্যবসায়ী স্বপন মোদক জানান, “এই মিষ্টি ডালডা ঘি দিয়ে ভাজা হয়। এছাড়াও লাগে ছানা, চিনি এবং অল্প পরিমাণ ময়দা। তিনি আরও বলেন তাঁদের তৈরি এই মিষ্টি বিদেশ ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাড়ি দেয়। জয়পুর, রাজস্থানে প্রায়ই যায় এই মিষ্টি।” দারুণ স্বাদের জন্য বর্তমানে এই জিলিপি পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে শুধু রাজ্যে নয়, পূর্ব বর্ধমানের অগ্রদ্বীপের এই বিখ্যাত ছানার জিলিপি পাড়ি দিয়েছে বিদেশেও। এ ছাড়াও দিল্লি, সুরাট, জয়পুর, বম্বে আরও বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে অগ্রদ্বীপের এই ছানার জিলিপি।

আরও পড়ুন : সকালের চায়ে দিন এই দানা! মেশান এই গুঁড়ো! ওজন কমবে ঝড়ের বেগে! ফল পেয়েছেন পুষ্টিবিদ নিজেই

বর্তমানে এই জিলিপির স্বাদ নেওয়ার জন্য দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ এসে থাকেন এই জায়গায়। ধীরে ধীরে আরও কদর বাড়তে শুরু করেছে এই অগ্রদ্বীপের ছানার জিলিপির। এই মিষ্টি প্রসঙ্গে অগ্রদ্বীপ গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণধন বাগ বলেন, ” আমদের গ্রামের এই মিষ্টি সত্যিই খুবই সুস্বাদু। দূর দূরান্ত থেকে অনেকে আসেন এই মিষ্টি খেতে। আমরাও যখনই আত্মীয়দের বাড়ি যাই তখন এই মিষ্টি নিয়ে যায়। সকলের কাছেই এই ছানার জিলিপি বেশ প্রিয়।”

এই মিষ্টির সারাবছরই চাহিদা থাকে তুঙ্গে। তবে অগ্রদ্বীপের মেলার সময় হিমশিম খেতে হয় মিষ্টি বিক্রেতাদের। কারণ লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয় অগ্রদ্বীপের মেলায়। এবং মেলাতে ছানার জিলিপির চাহিদা থাকে এক অন্য মাত্রায়। বংশপরম্পরায় এখনও অগ্রদ্বীপে তৈরি হচ্ছে ছানার জিলিপি। তবে এত জনপ্রিয় এই মিষ্টি অর্থাৎ ছানার জিলিপির দাম আজও মাত্র পাঁচ টাকা।

Paan Dessert: দেখে কেক ভাবছেন, কামড় দিলেই বেরিয়ে আসবে আসল স্বাদ!

শিলিগুড়ি: মধ্যাহ্নভোজ বা রাতের খাবারের পর যখন আমরা ভারতীয়দের ‘কুছ মিঠা’ বা মুখের সতেজ করার তাগিদ থাকে, তখন মিষ্টি না থাকলেও একমাত্র পান সেই শূন্যতা পূরণ করে থাকে । আমরা সাধারণত বাড়ির বাইরে আশেপাশের পানওয়ালার কাছে পান কামড়ানোর জন্য যাই । তবে পান তো আপনি অনেক খেয়েছেন। কিন্তু চকলেট পান খেয়েছেন কখনও? হ্যাঁ শিলিগুড়ির এই দোকানে মিলছে চকোলেট পান। বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি। সামান্য টাকা খরচ করিলেই আপনি এই অসম্ভব সুন্দর চকলেট পানের স্বাদ নিতে পারেন।শিলিগুড়ির সেবক রোডের এই দোকানে মিলছে চকলেট পান।

পান তার উপরে আবার চকলেট এবং চেরি। অত্যন্ত লোভনীয় এই পান খেতে হামেশাই ভিড় করছেন শহরবাসী। ডেভিল চকলেট পান, ,ম্যাংগো চকলেট পান, স্ট্রবেরী চকলেট পান এই তিন রকমের চকলেট পান পাওয়া যায় পান প্যালেসে। মিঠা পান পাতা, কেশর লাচ্চা, চবন বাহার, ড্রাই ফ্রুটস, গুলকন্দ, মিঠা চাটনি, চেরি, লিকুইড চকোলেট, ড্রাই চকোলেট এই সবকিছু দিয়ে তৈরি হয় এই চকলেট পান। দোকানিদের কথায় , ‘এই চকলেট পান কে আমরা ‘পান ডেজার্ট’ বলছি। কারণ খাবার খাওয়ার পর সাধারণত সকলেই মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন। তো আমাদের এই চকলেট পান মিষ্টি এবং পানের সমাহারে তৈরি অসাধারণ একটি ডেজার্ট।

আরও পড়ুনShort Travel Destination: ইছামতীর তীরে ভ্রমণের নতুন সন্ধান! কম বাজেটে ঘুরে আসুন দক্ষিণ হাওয়া রিসর্ট

পান দোকানি সুমন সরকার বলেন, ” আমাদের এই পান ডেজার্ট লোকে ভীষণ পছন্দ করছেন। কোনও প্রিজারভেটিভ ছাড়া সম্পূর্ণ অর্গানিক জিনিস দিয়েই এই চকলেট পান তৈরি করা হয়। আমাদের এখানে যত জন কাস্টমার এসে এই চকলেট পান খেয়েছেন প্রত্যেকেই বারবার খেতে চেয়েছেন ভিন্ন স্বাদের এই চকলেট পান।” তিনি আরও বলেন, মাত্র ১৫০ টাকায় এই চকলেট পান সকলে উপলব্ধ করতে পারেন। পান খেতে এসে রাজেন্দ্র কুন্দ্রা বলেন, ‘ পান প্যালেসে যত ধরনের পান পাওয়া যায় শিলিগুড়ির আর কোথাও এক জায়গায় এত ধরনের পান একসঙ্গে পাওয়া যায় না। তবে এখানের চকলেট পান তাদের পানগুলির মধ্যে অন্যতম। আমি মাঝে মাঝেই এখানে এসে এই চকলেট পান খাই।”

অনির্বাণ রায়

Chhanabora from Murshidabad: ছানাকে ঘি ও ময়দায় ভেজে রসে ডুবিয়ে তৈরি ‘ফুটবল’! ১০০ টাকায় ১ টি মিষ্টি দেখে ভোজনরসিকদের চক্ষু ছানাবড়া!

কৌশিক অধিকারী, মুর্শিদাবাদ: দাম মাত্র ১০০ টাকা। আর সেই ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এক পিস ছানাবড়া। আর সেই মিষ্টি দেখতে ও কিনতে ভিড় হচ্ছে মিষ্টির দোকানে। মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহরের অভিজাত মিষ্টির দোকানে এই মিষ্টি কিনছেন ভোজনরসিক ক্রেতারা। তবে মিষ্টির যা সাইজ তা দেখে মনে হবে মিনি ফুটবল। আর সেই একটি মাত্র মিষ্টি খেলেই পেট ভরে যাবে ভোজনরসিকদের।

তবে ভাবছেন একটি মিষ্টির দাম আবার ১০০ টাকা হয় নাকি! এ মিষ্টি খেলে যে কারওর পেট ভরে যাবে অনায়াসেই। দাম যেমন মিষ্টির সাইজও ঠিক ততটাই বড়। আর দৈনিক সন্ধ্যা হলেই গরম গরম মিষ্টি কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা এই মিষ্টির দোকানে।

মুর্শিদাবাদ মানেই বাংলা ইতিহাসের আঁতুড়ঘর। অলিগলি জুড়ে নবাবি আমলের হাজারো উপাখ্যানের জমায়েত। নিছক এক ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেই আজ এই পরিচিতি। কিন্তু ওই হাজারদুয়ারি, ইমামবড়া, কাটরা মসজিদের শিল্প, চিত্রকলার আড়ালে মুর্শিদাবাদের যে আরও একটি পরিচয় রয়েছ তা জেনে ‌আপনার চক্ষু ছানাবড়া হবেই। আর শুধু চোখ কেন হয়ত মুখেও ছানাবড়ার লোভনীয় স্বাদটি অনুভব করতে পারেন। মুর্শিদাবাদের যে কোনও মিষ্টির দোকানে একবার ঢুঁ মেরে দেখুন, ছানাবড়া মিষ্টিকে বেশ নবাবি মেজাজেই বসে থাকতে দেখবেন।

মুলত মুর্শিদাবাদ জেলার বিখ্যাত ছানাবড়া মিষ্টি। যা অনেকের কাছেই ‘কালো মিষ্টি’ নামেই পরিচিতি। মুর্শিদাবাদ জেলার লালবাগ শহরে এই মিষ্টির আবির্ভাব। আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে এই মিষ্টির আবিষ্কার হয় বলে মনে করা হয়। লালবাগের একটি আদি মিষ্টির দোকানের মালিক ছিলেন নিমাই মণ্ডল। তাঁর হাত ধরেই ছানাবড়ার পথ চলা শুরু। মূলত, ছানাকে ঘি ও ময়দা দিয়ে ভেজে তাকে গা‍ঢ় মিষ্টি রসে ডোবালেই তৈরি হয় অপূর্ব স্বাদের ছানাবড়া।

আরও পড়ুন : মাছের ছাল খেতে ভালবাসেন? জানুন কাদের জন্য এই খাবার ‘বিষ’-এর মতোই ক্ষতিকর, মুখেও তুলবেন না

আর ছানাকে এভাবে গোল আকার দিয়ে ঘিয়ে ভাজার জন্যই এর নামও রাখা হয় ছানাবড়া। তবে বিশাল আকারের মাত্র ১০০ টাকাতে তৈরি এই ছানাবড়া বেশ নজর কাড়ছে ভোজনরসিকদের। দৈনিক গড়ে ২০পিস করে বিক্রি হচ্ছে এই সুস্বাদু মিষ্টি। তবে যিনি একবার খাচ্ছেন, একটা মিষ্টিতেই তাঁর পেট ভরে যাচ্ছে, এ কথা বলাই যায়।

Monda Sweet Recipe: ঘন দুধে এলাচগুঁড়োর পাকে বাড়িতেই তৈরি করুন মণ্ডা মিঠাই! রইল সহজ রেসিপি

মিষ্টির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় নাম মন্ডা। কোচবিহারের প্রেমের ডাঙার মন্ডা বিখ্যাত বহু জায়গায়। কিভাবে তৈরি করবেন সুস্বাদু এই মন্ডা জেনে নিন। খুব সহজে বাড়িতেই তৈরি হবে সুস্বাদু এই মিষ্টি।
মিষ্টির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় নাম মন্ডা। কোচবিহারের প্রেমের ডাঙার মন্ডা বিখ্যাত বহু জায়গায়। কিভাবে তৈরি করবেন সুস্বাদু এই মন্ডা জেনে নিন। খুব সহজে বাড়িতেই তৈরি হবে সুস্বাদু এই মিষ্টি।
গ্যাস ওভেন জ্বালিয়ে নিয়ে রান্নার জন্য মাঝারি আঁচে কড়াই বসাতে হবে। পরিমাণ মত দুধ ঢেলে নিতে হবে। দুধের মধ্যে পরিমাণ মত চিনি ঢেলে নিতে হবে। তারপর এলাচ গুঁড়া দুধে দিয়ে দিতে হবে।
গ্যাস ওভেন জ্বালিয়ে নিয়ে রান্নার জন্য মাঝারি আঁচে কড়াই বসাতে হবে। পরিমাণ মত দুধ ঢেলে নিতে হবে। দুধের মধ্যে পরিমাণ মত চিনি ঢেলে নিতে হবে। তারপর এলাচ গুঁড়া দুধে দিয়ে দিতে হবে।
দুধ ভাল মত ফুটে উঠলে চিনি মিশ্রিত সমস্ত ছানা ঢেলে দিতে হবে দুধের মধ্যে। এবার গ্যাস ওভেনের আঁচ কমিয়ে দিয়ে অনবরত হাতা দিয়ে নাড়তে থাকতে হবে ভাল মতন করে। মিশিয়ে নিতে হবে সমস্তটা।
দুধ ভাল মত ফুটে উঠলে চিনি মিশ্রিত সমস্ত ছানা ঢেলে দিতে হবে দুধের মধ্যে। এবার গ্যাস ওভেনের আঁচ কমিয়ে দিয়ে অনবরত হাতা দিয়ে নাড়তে থাকতে হবে ভাল মতন করে। মিশিয়ে নিতে হবে সমস্তটা।
অনবরত নাড়তে নাড়তে যখন হাতাতে লাগতে শুরু করবে পুরো ছানার মন্ডটা। তারপর একবার দেখে নিতে হবে মিশ্রণটিকে। তারপর গ্যাস ওভেন বন্ধ করে দিয়ে সামান্য সময় রাখতে হবে।
অনবরত নাড়তে নাড়তে যখন হাতাতে লাগতে শুরু করবে পুরো ছানার মন্ডটা। তারপর একবার দেখে নিতে হবে মিশ্রণটিকে। তারপর গ্যাস ওভেন বন্ধ করে দিয়ে সামান্য সময় রাখতে হবে।
একটা নরম পাতলা সাদা সুতির কাপড় একটা থালায় বিছিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটা একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে। তারপর হাতে সামান্য জল মিশিয়ে ছোটো ছোটো গোল্লা পাকিয়ে চ্যাপ্টা আকৃতির তৈরি করে রাখতে হবে।
একটা নরম পাতলা সাদা সুতির কাপড় একটা থালায় বিছিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটা একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে। তারপর হাতে সামান্য জল মিশিয়ে ছোটো ছোটো গোল্লা পাকিয়ে চ্যাপ্টা আকৃতির তৈরি করে রাখতে হবে।
এবার কাপড় থেকে উঠিয়ে নিয়ে দুই হাত দিয়ে দুটো চ্যাপ্টা আকৃতির মিষ্টি টিপে জোড়া লাগিয়ে নিতে হবে। এই রকম ভাবে মন্ডা মিঠাই বানিয়ে নিতে পারবেন খুব সহজেই। তারপর ফ্রিজে দুই ঘণ্টা রেখে দিতে হবে।
এবার কাপড় থেকে উঠিয়ে নিয়ে দুই হাত দিয়ে দুটো চ্যাপ্টা আকৃতির মিষ্টি টিপে জোড়া লাগিয়ে নিতে হবে। এই রকম ভাবে মন্ডা মিঠাই বানিয়ে নিতে পারবেন খুব সহজেই। তারপর ফ্রিজে দুই ঘণ্টা রেখে দিতে হবে।
ফ্রিজ থেকে বের করে নিয়ে অন্য একটি পাত্রে ঢেলে নিতে হবে। এবং সুন্দর ছোট ছোট সাদা কাগজে মুড়িয়ে নিতে হবে একটা করে। এই মিষ্টি মুখে দিলেই একেবারে মন জুড়িয়ে যাবে নিশ্চিত।
ফ্রিজ থেকে বের করে নিয়ে অন্য একটি পাত্রে ঢেলে নিতে হবে। এবং সুন্দর ছোট ছোট সাদা কাগজে মুড়িয়ে নিতে হবে একটা করে। এই মিষ্টি মুখে দিলেই একেবারে মন জুড়িয়ে যাবে নিশ্চিত।

Tasty Amriti or Imarti: কলাইয়ের ডালের অমৃতি যেন স্বাদে অমৃত! খেতে চলে আসুন এই দোকানে

হরষিত সিংহ, মালদহ: মিষ্টি সুস্বাদের মচমচে জিলিপি।কোন রং বা ভেজাল নয়। শুধু মাত্র কলাই ডালের গুঁড়ো মিশ্রণ। আর তাতেই খাদ্যরসিকদের মন জয় করে নিয়েছে কলাই ডালের জিলিপি। এখনও দোকানে এই জিলিপি তৈরি হলে নিমেষে শেষ হয়ে যায়। মালদহের মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর লালবাধানি গ্রামেই এখন পাওয়া যায় এই মিষ্টান্ন। শীতের মরশুমে অনান্য খাবারের সঙ্গে পল্লা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে জিলিপি।

মানিকচকের কলাইডালের জিলিপি এক সময় জেলার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছিল। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভাটা পড়েছে এই ঐতিহ্যে। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ঐতিহ্যপূর্ণ এই মিষ্টির রেসিপি ধরে রেখেছেন মানিকচকের লালবাথানি গ্রামের মিষ্টান্নশিল্পী সুবল সরকার। ষাটোর্ধ্ব সুবলবাবু এই মিষ্টি তৈরির কৌশল শিখে এসেছিলেন বিহার থেকে।তারপর রাজমহল পেরিয়ে এপারে এসে নিজের ছোট্ট দোকানে দীর্ঘ সময় ধরে একাদিক্রমে এই জিলিপি বানিয়ে আসছেন।

প্রতি শনিবার বিকেলে নিয়ম করে বানানো হয় এই বিশেষ জিলিপি। বর্তমানে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সুবল সরকার বলেন, ‘‘শুধুমাত্র কলাইডালের বেসন দিয়ে তৈরি করা হয় এই জিলিপি। সঙ্গে হালকা চালের গুঁড়ো দিতে হয়। এখনো ব্যাপক চাহিদা এই জিলিপির। দূর দূরান্তের মানুষ আমার দোকানে ভিড় করছেন খাবার জন্য।’’

আরও পড়ুন : ব্লাড সুগারে টম্যাটো খাওয়া কি উপকারী না ক্ষতিকর? জানুন পুষ্টিবিদের মত

শুধুমাত্র কলাইডালের গুঁড়ো দিয়েই তৈরি হয় এই জিলিপি। প্রথমে কলাইয়ের ডাল ভাঙানো হয়। তার পর পেষাই করা করে গুঁড়ো তৈরি হয়। সেই গুঁড়ো জল দিয়ে ভাল করে মাখা হয়। সাধারণ জিলিপির মত ভাজা হয় তেলে। তারপর রসে ডোবানো হয়।বর্তমান যুগেও এই জিলিপির চাহিদা ব্যাপক। স্থানীয় বাসিন্দা অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ছোটবেলা থেকেই এই জিলিপি খেয়ে আসছি। আমাদের এই গ্রাম ছাড়া আর কোথাও পাওয়া যায় না। অন্যান্য জিলাপি থেকে স্বাদ সম্পন্ন আলাদা।’’

প্রতিদিন মানুষ ভিড় করেন এই সুস্বাদু জিলিপি খাবার জন্য। মালদহের নির্দিষ্ট এই অঞ্চলেই এই খাবারের চল রয়েছে। তবে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ছুটে যান এখানে কলাইয়ের ডালের জিলিপি খাওয়ার জন্য।