Tag Archives: Dinajpur

Tragic Death of Boy: মর্মান্তিক! পুজো দিতে গিয়ে ভয়ানক দুর্ঘটনা, হাসপাতালে গিয়ে যা ঘটল, অকল্পনীয়! বাঁচানো গেল না ছোট্ট ছেলেকে

দক্ষিণ দিনাজপুর: শ্রাবণের শেষ সোমবারে শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে টোটোর ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যু হল নয় বছরের নাবালকের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরামে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই নাবালকের বাড়ি বালুরঘাটের রঘুনাথপুরে।

ওই নাবালক পরিবারের লোকেদের সঙ্গে পতিরাম শিবমন্দিরে জল ঢালতে যাচ্ছিল। সেই সময় পেছন থেকে একটি টোটো এসে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয় ওই নাবালক। এরপরেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এরপর ওই বালককে উদ্ধার করে আনা হয় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। অভিযোগ, জখম নাবালককে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও দু’ঘণ্টা ধরে চিকিৎসক আসেননি। ফলে মৃত্যু হয় ওই নাবালকের।

আরও পড়ুন: মাকড়সার জালে ঘর ভর্তি! কোনও টাকা লাগবে না, কেবল রান্নাঘরের জিনিসেই পুরোপুরি উধাও হবে জঞ্জাল! আজই জেনে নিন চট করে

এবিষয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, “রোগীর অবস্থা খারাপ ছিল। তবে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক দেরিতে এসেছিলেন। তিনি অভিযোগ পেয়েছেন, পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করে দেখা হবে।”

অবশেষে মৃত্যুর প্রায় ঘণ্টা তিনেক পর হাসপাতাল ঘোষণা করে। এরই প্রতিবাদে সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত পরিবার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

সুস্মিতা গোস্বামী

লাগামহীন টোটো কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না প্রশাসন? উঠছে বড় প্রশ্ন, বাড়ছে সমস্যা

দক্ষিণ দিনাজপুর : নেই কোনও নজরদারি, নেই কোনও নিয়ন্ত্রণ। ফলে যানজট শহরবাসীর কাছে নিত্যদিনের সঙ্গী হিসেবে দাঁড়িয়েছে। শহরের রাস্তার ওপরেই গজিয়ে উঠেছে টোটোর স্ট্যান্ড।

বেপরোয়া গতির টোটোর ধাক্কায় জখম হওয়ার ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই ঘটে চলেছে। ট্রাফিক পুলিশ, পুরসভা বা পরিবহন দফতর কেউ এখনও পর্যন্ত অনিয়ন্ত্রিত টোটোকে নিয়ন্ত্রণ করতে গ্রহণ করেনি কোনও ব্যবস্থা।ফলে অবৈধ টোটোর দৌরাত্মে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।

প্রসঙ্গত, শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে টোটোর প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণহীন টোটো মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে এবং চলাচলে ব্যঘাত ঘটাচ্ছে, তা মেনে নিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

শহরজুড়ে লাফিয়ে টোটোর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় যাত্রী তোলা নিয়ে চালকদের মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকে। সেই সঙ্গে ছোট বড় দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে যানজটের সমস্যা মারাত্মক আকার নিচ্ছে।

আরও পড়ুন- ২০২৭ ওডিআই বিশ্বকাপে রোহিত-কোহলি কি খেলবেন? জবাব দিলেন গৌতম গম্ভীর

টোটো নিয়ন্ত্রণের জন্য বিগত কয়েক বছর আগে তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভার পক্ষ থেকে টিপি নম্বর দেওয়া দিয়েছিল। এমনকী জাতীয় সড়কের ওপরে টোটো চলাচল নিষিদ্ধ করার নিধান দেওয়া দিয়েছিল। কিন্তু সবই রয়ে গিয়েছে খাতায়-কলমে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই সমস্ত রাস্তায় দাপিয়ে বেড়ায় টোটো। স্থানীয় পুরসভা কিংবা প্রশাসন এই ব্যাপারে যথেষ্ট নজরদারি চালাচ্ছে না বলেই শহর জুড়ে যানজটের পাশাপাশি দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে।

জেলা পরিবহন দফতর সূত্রের খবর, প্রায় তিন হাজারের উপরে নম্বর যুক্ত টোটো রয়েছে। কিন্তু শহরে প্রতিদিনই প্রায় ৬ হাজারের উপর টোটো অবাধে চলাচল করছে।

আরও পড়ুন- কোচ হওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠক, কোহলিকে নিয়ে বড় কথা বলে দিলেন গম্ভীর

কিছুদিনের মধ্যেই পুরসভার সঙ্গে যৌথভাবে আলোচনায় বসে টোটো নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বালুরঘাট পুরসভার পক্ষ থেকেও একই দাবি করা হয়েছে।

টোটো চলাচল নিয়ন্ত্রন করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ওয়ান-ওয়ে পদ্ধতি চালু করা হতে পারে। এছাড়াও টোটোর জন্য নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড, নির্দিষ্ট গন্তব্য এবং নির্দিষ্ট ভাড়ার তালিকাও প্রকাশ করতে চলেছে বালুরঘাট পুরসভা। এমনটাই দাবি করেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান।

শহরবাসীর অভিযোগ, আইন না মেনে টোটো চালানোর কারণে দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। ফলে দিন দিন যানজট যেমন বালুরঘাট শহরে বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যাও। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নম্বর প্লেটবিহীন টোটোর সংখ্যা।

এখনই টোটো চলাচলে নিয়ন্ত্রণ না আনলে ভবিষ্যতে শহরবাসীর পক্ষে হাঁটাচলা করা দায় হয়ে যাবে বলে মত প্রকাশ করছেন সাধারণ বাসিন্দারা।

সুস্মিতা গোস্বামী

South Dinajpur News: গতানুগতিক সবজি ছেড়ে ‘এই’ চাষ করে দ্বিগুন লাভ! আচমকাই বেড়েছে বাজারদর, চাষের পদ্ধতি জানুন এক নজরে

দক্ষিণ দিনাজপুর: চিরাচরিত চাষের বাইরে গিয়ে গাঠি কচুর চাষ করে ব্যাপক লাভবান প্রশান্ত মণ্ডল। অন্যান্য শাকসবজির পরিবর্তে প্রশান্ত তাঁর নিজের জমিতে বেশ কিছু এলাকা জুড়ে দেশি প্রজাতির গাঠি কচুর চাষ করেছেন। কীটনাশক প্রয়োগের পাশাপাশি সারের বেশি প্রয়োজন হয় না বলে এই কচুর চাষ করতে খরচও অনেকটাই কম। ফলে বিগত কয়েক বছর ধরে গাঠি কচু চাষ করে তিনি লাভের মুখ দেখছেন।

আরও পড়ুন: সাইক্লোনে বিধ্বস্ত রাজ্যে কি বর্ষার প্রবেশ হয়ে গেল? কলকাতায় বর্ষা শুরু ঠিক কত তারিখে? যা জানাল হাওয়া অফিস…

এই কচুর অনেক ধরনের নাম আছে। কেউ বলেন বই কচু, কেউ বলেন সুজি কচু, তো কারও কাছে পরিচিত মুখীকচু হিসেবে। খেতে সুস্বাদু। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের হলদিডাঙা এলাকার কৃষক প্রশান্ত লাভজনক সবজি হিসেবে এই গাঠি কচু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন বিগত তিন বছর ধরে।

তবে শুধু এই জেলায় নয়, পার্শ্ববর্তী জেলা-সহ এই গাঠি কচু রফতানি হচ্ছে অন্য রাজ্যেও। এই কচু গাছের রোগবালাই নাই বললেই চলে। তাই কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। এ ছাড়াও এই কচুর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। কচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ ও আয়রন থাকে। বিষমুক্ত সবজি হিসেবে দিন দিন এর চাহিদাও বাড়ছে।

চাষি প্রশান্ত জানান, এই গাঠি কচু হতে প্রায় ৫-৬ মাস সময় লাগে। তবে ̈আগাম বাজার ধরতে হলে আরও ২-১ মাস আগে গাঠি কচু উঠিয়ে বাজারজাত করা যেতে পারে। বিগত কয়েক বছর আগেও এর তেমন দাম না পাওয়া গেলেও কয়েক বছর যাবৎ গাঠি কচুর চাহিদা বাজারে যথেষ্ট। ফলে দামও বেশ ভালই মিলছে। এই সময়ে যে সমস্ত শাক সবজি চাষ হয় তার পরিবর্তে এই কচু চাষ করে ব্যাপক লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে।

বেলে ও দোআঁশ মাটিতে কচু চাষ খুব ভাল হয়। এমনকি এই কচু চাষে জল একটু বেশি পরিমাণে দরকার। তাই নিচু জল জমা জমি এই গাঠি কচু চাষের পক্ষে উপযোগী। সারাদিন রোদ পায় এমন স্থানে এই কচু জন্মানো উচিত। জল সেচের ব্যবস্থা থাকলে ফাল্গুন মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসে বীজ বপনের সবচেয়ে ভাল সময়। উর্বর মাটির জন্য এক এক সারির দূরত্ব ২ ফুট এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১.৫ ফিট হতে হবে। সেইভাবেই বীজ রোপন করতে হয়।

সুস্মিতা গোস্বামী