Tag Archives: Doll

Bangla Video: বর্ধমানে তৈরি কাঠের পুতুল এবার পাড়ি দেবে মুম্বাই 

পূর্ব বর্ধমান: মুম্বাইয়ের এক পুজো মণ্ডপ সেজে উঠবে পূর্ব বর্ধমানের এই শিল্পের ছোঁয়ায়। জোর কদমে চলছে তারই প্রস্তুতি। শীঘ্রই বাণিজ্য নগরীর উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে এই সকল জিনিস। পূর্ব বর্ধমান জেলার শিল্প মানচিত্রে অন্যতম একটি নাম নতুনগ্রাম। কাটোয়া -২ ব্লকের অন্তর্গত এই গ্রামটিতে দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হয়ে আসছে কাঠের পুতুল। অনেকের কাছেই এখন এই গ্রাম পরিচিত কাঠ পুতুলের গ্রাম নামে।

বিভিন্ন সময়ে দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের শিল্প কর্ম নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন এই গ্রামের শিল্পীরা। আর এবার আরও একবার ভিনরাজ্যে যেতে চলেছে নতুনগ্রামের কাঠের পুতুল। আসন্ন দুর্গাপুজোয় মুম্বাইয়ের একটি পুজো মণ্ডপ থেকে বরাত পেয়েছেন এই গ্রামের শিল্পী গৌতম ভাস্কর। তার তৈরি কাঠের পুতুল পাড়ি দেবে বাণিজ্য নগরী মুম্বাই তে। চরম ব্যস্ততার সঙ্গে এখন চলছে তারই প্রস্তুতি। এই প্রসঙ্গে কাষ্ঠ শিল্পী গৌতম ভাস্কর বলেন, “প্রত্যেক বছরই আমাদের তৈরি জিনিস বাইরে যায়। এবছরও কাঠের তৈরি রাজা পুতুল যাবে মুম্বাই। মুম্বাই এর একটি পুজো মণ্ডপ আমাদের এই পুতুল দিয়ে সাজানো হবে।

আরও পড়ুন: গন্ধরাজের সুগন্ধে বেঁচে থাকবেন তিলোত্তমা! বৃক্ষপ্রেমীদের অভিনব প্রতিবাদ, দেখুন

শিল্পী গৌতম ভাস্করের কথায়, মুম্বাইয়ের কালীবাড়ি এলাকার একটি পুজো প্যান্ডেলে যাবে তার তৈরি এই সকল জিনিস। শিল্পী গৌতম বাবু আরও জানিয়েছেন, প্রায় প্রতি বছরই পুজোর আগে তার তৈরি জিনিস মুম্বাই যায়। এই বছরও তার অন্যথা হয়নি। এই বার ছোটো বড়ো সবমিলিয়ে প্রায় ১০০ পিস কাঠের পুতুল তৈরির বরাত এসেছে তার কাছে। আগামী ১৭ তারিখ বিশ্বকর্মা পুজোর পরে এই সকল জিনিস পাড়ি দেবে মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে।

পূর্ব বর্ধমান জেলার অগ্রদ্বীপের এই ছোট্ট গ্রামে তৈরি জিনিস পৌঁছে যাবে আরব সাগরের তীরে সুদূর মুম্বাইএ। এই বিষয়ে ভেবেই আনন্দে চোখে জল শিল্পী গৌতম ভাস্করের। এই শিল্পীর কথায় খুব বেশি টাকার অর্ডার না হলেও, পুজো প্যান্ডেলে আগত অগণিত দর্শনার্থীদের সামনে ফুটে উঠবে তাদের গ্রামের এই প্রাচীন শিল্পটি। যা নিয়ে স্বভাবতই খুশি নতুনগ্রামের এই শিল্পী।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Head Nodding Doll: মাথা দোলানো পুতুল! রথের বাজারে দেদার বিক্রি

বাঁকুড়া: টুক টুক করে নড়ছে মাথা। রথের এই পুতুল তৈরি হয় কাগজ দিয়ে। দেখতে খুবই মিষ্টি এবং রঙিন। বাচ্চারা মন্ত্রমুগ্ধের মত তাকিয়ে থাকে এই পুতুলের দিকে। বাঁকুড়ায় তৈরি হচ্ছে এই পুতুল।

রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে বাঁকুড়ায় তৈরি হচ্ছে এক ধরনের বিশেষ পুতুল। হাতি এবং সিংহ। এই দুই পুতুলের চাহিদা বাড়ছে হু হু করে। পুতুলগুলির মৌলিকত্ব রয়েছে। পুতুলগুলি দেখতে যেমন রঙিন ঠিক তেমনই আকর্ষণীয়। এই সময় এই বিশেষ ধরনের পুতুলের চাহিদা তুঙ্গে থাকে।

আরও পড়ুন: রেলের পরপর নোটিশে আতঙ্ক বাড়ছে, বামনগাছির হকারদের মাথায় হাত

উল্টো রথ এবং সোজা রথকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর বাঁকুড়ার চন্দ পরিবার এই বিশেষ ধরনের পুতুল তৈরি করে। কাগজ ও পিচবোর্ড দিয়ে তৈরি হয় দেহ। এরপর হাতি এবং সিংহের মুণ্ডুটি বানানো হয় কাগজ দিয়েই। তারপর বাঁশের ছোট্ট টুকরো দিয়ে মাটি লাগিয়ে দেহের সঙ্গে মাথার সংযোগ স্থাপন করা হয়। রথকে কেন্দ্র করে বাচ্চাদের বিশেষ উৎসাহ থাকে এই পুতুলগুলির প্রতি। পুতুল প্রস্তুত কারক তাপস চন্দ বলেন, মূলত মাটি ভরে বাঁশের পিছনটি ভারি করা হয়, যার জন্য পুতুলগুলির মাথা নড়ে। একমাত্র রথের সময় এই পুতুলগুলি তৈরি করা হয়। সোজা রথের সময় প্রায় ১৫০ পিস বানিয়েছিলাম। উল্টো রথের আগে বানালাম ১০০ পিসের মত।

এই পুতুলগুলিকে অনেক সময় রাখা হয় রথে। তাতে বাড়ে রথের সৌন্দর্য। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন টুকটুক করে মাথা নড়ছে। একটু হাওয়া দিলে কিংবা ধাক্কা দিলেই মাথা নাড়ে পুতুলগুলি। বাঁকুড়া শহরের মৌলাডাঙার চন্দ পরিবার এই বিশেষ ধরনের পুতুল তৈরি করে‌। পরিবারের সকলে মিলে এই পুতুল তৈরির কাজ করেন। এক একটি পুতুল ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী