Tag Archives: DYFI

Meenakshi Mukherjee: লক্ষ্য ‘ব্যালট’! ‘লড়াই এবার বুথে বুথে‘, ব্রিগেডের পর গর্জে উঠলেন মিনাক্ষী

পূর্ব মেদিনীপুরঃ  দলীয় কর্মীর মৃত্যুতে শ্রদ্ধা ও শোক জানাতে পূর্ব মেদিনীপুরের মুগবেড়িয়ায় এসে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ‍্যায়।

তিনি বলেন,  ‘ ব্রিগেডের লড়াই এবার বুথে বুথে। ব্রিগেডে একটা বিস্ফোরণ ঘটেছিল। বুথের লড়াই পঞ্চায়েতের লড়াই। যে কমরেড আমাদের মারা গিয়েছেন তাঁর স্ত্রীও মার খেয়েছেন। একা তো তিনি মার খাননি। গোটা এলাকায় কীভাবে মানুষের উপর অত্যাচার হয়েছে তা সবাই দেখেছে। অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়াচ্ছে। তাহলে যদি কোন একটা ভোট সেটা যদি ২০২৪-এর ভোট হয়, লোকসভা ভোট, অত্যাচারের বিরুদ্ধে ভোট হয় তাহলে বুথের তা আসল লড়াই।  আসল কথা-মানুষ লড়ছেন।’

আরও পড়ুনঃ সাংঘাতিক কাণ্ড! রাতে চুপিচুপি স্কুলে ওরা কারা ঢুকছে, খবর পেয়েই ছুটল পুলিশও

শাজাহান ইস্যুতে পুলিশকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘দেখুন পুলিশ চোর খুনির ডাকাতদেরকে ধরতে তৎপর না। পুলিশ তৎপর সাধারণ মানুষ যদি মার খায় সাধারণ মানুষের টাকা পয়সা চাল চাকরি বিক্রি হয়ে গেলে সেই মানুষ যদি লড়াই করে তাঁকে পেটানোর জন্য পুলিশ তৎপর। তৃণমূলের নেতা যদি চুরি করে, তৃণমূলের নেতা যদি দৌরাত্মি করে, তৃণমূলের নেতা যদি জুলুমবাজি করে, আর এলাকার গুন্ডারা যদি বুক বাজিয়ে ঘুরে বেড়ায় তখন পুলিশের খুব খুশি হয়। সেখানে পুলিশ তৎপর হয় না।’

ইডিকে তৃণমূলের বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ইডি, সিবিআইকে কেন বাধা দেবে তৃণমূল? তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র যুবদের কি চোরেদের পাহারাদার তৈরী করছে নাকি?” তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র যুবদের প্রতি মীনাক্ষী মুখার্জির ভেবে দেখার আবেদন করেন,  ‘আপনাদের লেঠেল বাহিনী তৈরী করছে না তো দল, চোর গুন্ডাদের বাঁচানোর জন্য ?’ বললেন সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জী।

ব্রিগেড মাঠে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরের বাসিন্দা কার্তিক জানার। আজ তাঁর বাড়িতে এসে পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মীনাক্ষী মুখার্জী-সহ দলের নেতাকর্মীরা। ৬৮ বছর বয়সী কার্তিক জানা দীর্ঘদিনের বাম কর্মী।

Hooghly News: ‘আমি এনেছি হরেকরকম ফল’ ব্রিগেডে মুখ্যমন্ত্রীকে এ কী বার্তা দিলেন বাম সমর্থক

হুগলি: বামেদের ব্রিগেডের সমাবেশে ধরা পড়ল এক অন্য রকম চিত্র। একদিকে যখন সবাই ব্রিগেডে লাল পতাকার ঝড় তুলছেন সেখানে এক সমর্থক এসেছেন, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুস্বাস্থ্য কামনা করতে। এমনই অভিনব প্রতিবাদের ভাষায় ব্রিগেডের মধ্যে নজর কেড়েছেন হুগলির সিঙ্গুরের রথীন্দ্রনাথ দাস।

বামেদের ইনসাফ যাত্রার শেষে ব্রিগেডের সমাবেশে বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন বহু মানুষ। বাম যুব দের ডাকে রবিবারের ব্রিগেডের মাঠ একেবারে লাল লাল। এরই মধ্যে কেউ আছেন লাল পতাকা নিয়ে কেউ আছেন ডিওয়াইএফাই এর পতকা নিয়ে, কেউ আবার বুকে জড়িয়ে এসেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ছবি ।

আরও পড়ুন – Shani Sade Sati: সাড়ে সাতি কি জানেন, তার প্রভাবে সর্বস্ব খুইয়ে পথের ভিখারি হতে পারেন, আবার কেউ হন রাজাও

হরেক রকম পোস্টার আর প্ল্যাকার্ডের ভরে উটেছে ব্রিগেডের ময়দান। এরই মধ্যে অভিনব দৃশ্য ধরা পড়ল। যিনি ব্রিগেডে এসেছেন মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য ভালহোক সেই কামনা নিয়ে। গলায় পড়ে এসেছে হরেক রকমের ফল দিয়ে তৈরি মালা। সেই মালা তিনি উপহার দিতে চান মুখ্যমন্ত্রীকে।

হুগলির সিঙ্গুর বাউড়িপাড়া বাসিন্দা রথীন্দ্রনাথ দাস। ব্রিগেডের মাঠে তাঁকে দেখতে ভিড় কারণ তার গলার ফলের মালা দেখে। কেনো তিনি এই মালা পড়েছেন তার উত্তরের তিনি বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষা, কয়লা, গরু, এই সব চুরি করে খেতে খতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাই তিনি ফলের মালা নিয়ে এসেছেন। যাতে দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুস্থ থাকেন কারণ আসন্ন ২৬ এর নির্বাচন পর্যন্ত যাতে তিনি সুস্থক থাকেন। তিনি জানান ঠিক যে ভাবে টাটাকে বিদায় জানিয়েছে তৃণমূল ঠিক সেই ভাবেই সিঙ্গুর থেকে এবার তৃণমূলকে টাটা জানাবেন সিঙ্গুরের মানুষ। তার হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা “দিদি তুই আর কত খাবি বল, তোর জন্য এনেছি হরেক রকম ফল।’’

Rahi Halder

ব্রিগেড শেষ হতেই ময়দান পরিষ্কারে নামলেন বাম “ক্যাপ্টেন” মীনাক্ষী সহ DYFI নেতৃত্ব

ব্রিগেড শেষ হতেই ময়দান পরিষ্কারে নামলেন বাম “ক্যাপ্টেন” মীনাক্ষী সহ DYFI নেতৃত্ব, দেখুন বাংলা নিউজ ভিডিও (Watch Bangla news video)৷

DYFI Brigade Rally 2024: শুধু সভায় নয়, চমক ছিল বাম-যুবদের ব্রিগেডের মেনুও! কী কী ছিল জানেন এবার?

পার হয়ে গেছে প্রায় ১৬ বছর। ২০০৮ সালের পর ২০২৪ ফের ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে সমাবেশ ব্রিগেডে। ছবি সৌজন‍্যেঃ CPIM West Bengal Facebook Page
পার হয়ে গেছে প্রায় ১৬ বছর। ২০০৮ সালের পর ২০২৪ ফের ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে সমাবেশ ব্রিগেডে। ছবি সৌজন‍্যেঃ CPIM West Bengal Facebook Page
গত ৫০ দিন ধরে জেলায় জেলায় ইনসাফ যাত্রা এবং ইনসাফ সমাবেশ সেরে চব্বিশের আগে প্রথম বড় জনসংযোগ কর্মসূচির আয়োজন করলেন বাম ছাত্র যুব সংগঠন।  ছবি সৌজন‍্যেঃ CPIM West Bengal Facebook Page
গত ৫০ দিন ধরে জেলায় জেলায় ইনসাফ যাত্রা এবং ইনসাফ সমাবেশ সেরে চব্বিশের আগে প্রথম বড় জনসংযোগ কর্মসূচির আয়োজন করলেন বাম ছাত্র যুব সংগঠন। ছবি সৌজন‍্যেঃ CPIM West Bengal Facebook Page

 

লাল ঝান্ডার সমাবেশ শুরু হল ‘রাজ্য সংগীত’ বাংলার মাটি বাংলার জল গেয়ে। অপরদিকে, ব্রিগেডের মঞ্চের পেছেনে দেখা গেল জাতীয় পতাকা। পোডিয়ামের ঠিক পিছনেই উড়ছে জাতীয় পতাকা। ছবি সৌজন‍্যেঃ CPIM West Bengal Facebook Page
লাল ঝান্ডার সমাবেশ শুরু হল ‘রাজ্য সংগীত’ বাংলার মাটি বাংলার জল গেয়ে। অপরদিকে, ব্রিগেডের মঞ্চের পেছেনে দেখা গেল জাতীয় পতাকা। পোডিয়ামের ঠিক পিছনেই উড়ছে জাতীয় পতাকা। ছবি সৌজন‍্যেঃ CPIM West Bengal Facebook Page
রবিবাসরীয় ব্রিগেড লাল ঝান্ডায় ভরিয়ে দেওয়ার টার্গেট নিয়েছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। সকাল থেকেই ট্রেন, বাসে ভিড় জমিয়েছেলিন ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। 
রবিবাসরীয় ব্রিগেড লাল ঝান্ডায় ভরিয়ে দেওয়ার টার্গেট নিয়েছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। সকাল থেকেই ট্রেন, বাসে ভিড় জমিয়েছেলিন ডিওয়াইএফআই কর্মীরা।
তৃণমূলের ২১ জুলাইের মেনু নিয়ে নজর থাকে সকলের। প্রধানত ডিমের ঝোল আর ভাতই থাকে মেনুতে। কোথাও বা ডিম কষা ও রুটি। কিন্তু ব্রিগেডের এবারের মেনু একেবারেই ভিন্ন।
তৃণমূলের ২১ জুলাইের মেনু নিয়ে নজর থাকে সকলের। প্রধানত ডিমের ঝোল আর ভাতই থাকে মেনুতে। কোথাও বা ডিম কষা ও রুটি। কিন্তু ব্রিগেডের এবারের মেনু একেবারেই ভিন্ন।
ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেডে হয়নি রান্নার আয়োজন। তবে কর্মীদের জন্য খাবারের আয়োজন করেছে এরিয়া কমিটিগুলি। এক এক জেলার তরফে এক এক মেনু। কোনও এরিয়া কমিটি পাঠিয়েছে মাংস-ভাত কেউ রুটি-ডিম কষা কেউ বা রুটি-আলুভাজা বা রুটি-তরকা।
ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেডে হয়নি রান্নার আয়োজন। তবে কর্মীদের জন্য খাবারের আয়োজন করেছে এরিয়া কমিটিগুলি। এক এক জেলার তরফে এক এক মেনু। কোনও এরিয়া কমিটি পাঠিয়েছে মাংস-ভাত কেউ রুটি-ডিম কষা কেউ বা রুটি-আলুভাজা বা রুটি-তরকা।
ডিওয়াইএফআই সূত্রের খবর, প্রায় ৩০ হাজারের বেশি খাবারের প্যাকেটে এরিয়া কমিটিগুলি থেকে পাঠানো হয়েছে। গতকাল, রাতে আসে অনেকেই রান্নার জিনিস নিয়ে আসেন। তবে, সবকিছুর উপর বাম কর্মী-সমর্থকের মধ‍্যে উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মত।

ডিওয়াইএফআই সূত্রের খবর, প্রায় ৩০ হাজারের বেশি খাবারের প্যাকেটে এরিয়া কমিটিগুলি থেকে পাঠানো হয়েছে। গতকাল, রাতে আসে অনেকেই রান্নার জিনিস নিয়ে আসেন। তবে, সবকিছুর উপর বাম কর্মী-সমর্থকের মধ‍্যে উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মত।

 

Hooghly News: অন্তরের দৃষ্টিতেই দেখতে পান মীনাক্ষীকে, ইনসাফ যাত্রায় ব্রিগেডের পথে দৃষ্টিহীন অনির্বাণ 

হুগলি: দৃষ্টি না থেকেও তিনি দেখতে পান তাঁদের নেত্রী মীনাক্ষী কে। চুঁচুড়া কামারপাড়ার অনির্বাণ মুখোপাধ‍্যায় প্রতিবন্ধী আন্দোলন-সহ গণ আন্দোলনের একজন অন্যতম শরিক। বেকার যুবক যুবতীরা চাকরি পাচ্ছেন না তাঁদের জন্য পথে নেমে সোচ্চার হতে দেখা যায় তাঁকে। মিনাক্ষী মুখোপাধ‍্যায় নেতৃত্বে ইনসাফ যাত্রাতেও পা মিলিয়েছিলেন অনির্বাণ। এবার সভানেত্রীকে অন্দরের নজর দিয়ে দেখতে ব্রিগেডে উপস্থিত অনির্বাণ।

আরও পড়ুনঃ বাম-যুবদের ব্রিগেডে ‘রাজ‍্য সংগীত’, উড়ছে দেশের তেরঙ্গা! বেনজির দৃশ্যের কারণ কী?

বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ হলেই বাবার সঙ্গে পৌঁছে যান ব্রিগেডে। আজও যুব ফেডারেশনের ডাকে ব্রিগেড সভায় বাবার হাত ধরে পৌঁছলেন। অনির্বান পোলবার আলিনগর ইয়াসিন মন্ডল স্কুলে শিক্ষককতা করেন।তবে তাঁর কথায় রাজ্যে যা চলছে যে ভাবে চাকরিতে দূর্নীতি হয়েছে,কেন্দ্র রাজ্য চোর পুলিশ খেলা চলছে এর বিরুদ্ধে ইনসাফ চাইতে পথে নেমে সোচ্চার হতে হবে, পথে প্রতিবাদ করতে হবে। তাই, চুঁচুড়া থেকে ট্রেন ধরে আজকেও ব্রিগেডমুখী তিনি।

অনির্বাণের বাবা চুনিলাল মুখোপাধ‍্যায় বয়স ৬৭। তিনি ১৯৭৭ সাল থেকে যতবার বামেদের ডাকে ব্রিগেড হয়েছে ততবার গেছেন। গত দশটি সভায় ছেলেকে নিয়ে পৌঁছে গেছেন বাম নেতৃত্বের কথা শুনতে। হাওড়া থেকে বাম কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পা মিলিয়ে ব্রিগেডের ময়দানে হাজির থেকেছেন। আগেও আগামী দিনেও মানুষের দাবী আদায়ে এভাবেই পথ হাঁটবেন। এবং ছেলেকেও সেই শিক্ষাই দিয়েছেন তিনি।

রাহী হালদার

DYFI Brigade Rally: বাম-যুবদের ব্রিগেডে ‘রাজ্য সঙ্গীত’, উড়ছে দেশের তেরঙা! বেনজির দৃশ্যের কারণ কী?

কলকাতাঃ দামামা বাজল বাম যুবদের ব্রিগেডের। তবে, শুরুতেই অবাক গোটা মাঠ। লাল ঝান্ডার সমাবেশ শুরু হল ‘রাজ্য সঙ্গীত’ ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গেয়ে। খুব সম্প্রতি বাংলার মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটিকে রাজ‍্য সংগীত হিসেবে ঘোষণা করেন। যদিও বাম যুব নেতৃত্বের দাবি, মুখ‍্যমন্ত্রী গানটিকে বিকৃত করেছিলেন। কিন্তু ব্রিগেডের মঞ্চে অবিকৃত ভাবে গাওয়া হয়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গান।

আরও পড়ুনঃ ব্রিগেডে লাল ঝান্ডার মেগা সমাবেশ! চারদিকে নিরাপত্তা, থাকছে কত পুলিশ? জানুন

১৯০৫ সালে ব্রিটিশের বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই গানটি রচনা করেন। সেই লেখাকে স্বীকৃতি দিতেই এই গানটিকে রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। গানটির শেষ দু’টি স্তবকে ‘বাঙালির পণ, বাঙালির আশা’ বা ‘বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন’ অংশটিকে ‘বাংলার’ করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তবে, রবীন্দ্রনাথের গানে বদল নিয়ে অনেকের আপত্তি দেখে অবশ্য গানটি অবিকৃত রাখার কথাই বলে রাজ্য। এবার সেই গান দিয়েই শুভসূচনা হয় ব্রিগেডের।

অপরদিকে, ব্রিগেডের মঞ্চের পিছনে দেখা গেল জাতীয় পতাকা। পোডিয়ামের ঠিক পিছনেই উড়ছে সেটি। বাম ব্রিগেডে এ দৃশ্য বেনজির। বিভিন্ন নেতার মুখে শুধু রাজ‍্য নয়, দেশকেও বাঁচানোর কথা বারবার উঠে এসেছে।

পার হয়ে গিয়েছে প্রায় ১৬ বছর। ২০০৮ সালের পর ২০২৪, ফের ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে সমাবেশ হচ্ছে ব্রিগেডে। গত ৫০ দিন ধরে জেলায় জেলায় ইনসাফ যাত্রা এবং ইনসাফ সমাবেশ সেরে চব্বিশের আগে প্রথম বড় জনসংযোগ কর্মসূচি বাম ছাত্র যুব সংগঠনের। রবিবাসরীয় ব্রিগেড লাল ঝান্ডায় ভরিয়ে দেওয়ার টার্গেট নিয়েছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা।

Brigade Rally: বামেদের ব্রিগেড সমাবেশে নজিরবিহীন দৃশ্য, এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি!

কলকাতা: বামেদের ব্রিগেড। যুবদের ব্রিগেড। সেই মিছিলে পতপত করে উড়ছে দেশের জাতীয় পতাকা। যা নজিরবিহীন। কিছুদিন আগেই স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামেরা। আর আজ ব্রিগেডমুখী মিছিলে উড়ছে জাতীয় পতাকা।

কেন হঠাৎ জাতীয় পতাকা নিয়ে ব্রিগেড সমাবেশে? লাল সৈনিকরা বলছেন, ধর্ম যার যার দেশ সবার। এই বার্তা দিতেই জাতীয় পতাকা হাতে ব্রিগেডমুখী হয়েছে মিছিল।

আরও পড়ুন: ব্রিগেডে লাল ঝান্ডার মেগা সমাবেশ! চারদিকে নিরাপত্তা, থাকছে কত পুলিশ? জানুন

পার হয়ে গেছে প্রায় ১৬ বছর। ২০০৮ সালের পর ২০২৪ ফের ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে সমাবেশ ব্রিগেডে। গত ৫০ দিন ধরে জেলায় জেলায় ইনসাফ যাত্রা এবং ইনসাফ সমাবেশ সেরে চব্বিশের আগে প্রথম বড় জনসংযোগ কর্মসূচি বাম ছাত্র যুব সংগঠনের। রবিবাসরীয় ব্রিগেড লাল ঝান্ডায় ভরিয়ে দিয়েছেন ‘ক্যাপ্টেন’ মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ও তাঁর সহযোদ্ধারা।

আরও পড়ুন: একটা ঘটনাই আগাম বলে দিচ্ছে, বামেদের ব্রিগেড ‘হিট’! কী সেই ঘটনা? চমকে উঠবেন

গতকাল রাত থেকেই ব্রিগেডে বাম যুব সমাবেশের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে পুলিশ-প্রশাসনও। লালবাজার সূত্রে খবর, ১ লাখ জনের সমাবেশের কথা জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে। তবে, যদিও বিভিন্ন জেলা ও শহরতলি থেকে আসা সমর্থকদের সংখ্যা দেখে, কীরকম ভিড় হতে পারে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ প্রশাসন। তবে, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিগেডে যথেষ্টই ভিড় হয়েছে।

ব্রিগেডে ‘ইনসাফ সভা’ করা নিয়ে দীর্ঘ টানাপড়েন চলছিল কিছুদিন ধরেই৷ অবশেষে গত ৫ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক বৈঠকে মীনাক্ষী জানান, তাঁরা এই সমাবেশের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি পেয়েছেন৷ সমাবেশ শেষে গোটা সমাবেশের মোট খরচের পরিমাণও সর্বসমক্ষে আনার কথা ঘোষণা করেছেন মীনাক্ষী৷ তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যে যখন নিয়োগ থেকেশুরু করে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে, তখন রাজনৈতিক স্বচ্ছতার জায়গা থেকে আমরা এই তালিকা প্রকাশ করব৷’’

DYFI Brigade Rally: ব্রিগেডে লাল ঝান্ডার মেগা সমাবেশ! চারদিকে নিরাপত্তা, থাকছে কত পুলিশ? জানুন

কলকাতাঃ পার হয়ে গিয়েছে প্রায় ১৬ বছর। ২০০৮ সালের পর ২০২৪, ফের ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে সমাবেশ হচ্ছে ব্রিগেডে। গত ৫০ দিন ধরে জেলায় জেলায় ইনসাফ যাত্রা এবং ইনসাফ সমাবেশ সেরে চব্বিশের আগে প্রথম বড় জনসংযোগ কর্মসূচি বাম ছাত্র যুব সংগঠনের। রবিবাসরীয় ব্রিগেড লাল ঝান্ডায় ভরিয়ে দেওয়ার টার্গেট নিয়েছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা।

আরও পড়ুনঃ আজ ব্রিগেড! কলকাতার ৭ প্রান্ত থেকে ৭ মিছিল, কোন কোন রাস্তায় যানজটের ভয়, জানুন

গতকাল রাত থেকেই ব্রিগেডে বাম যুব সমাবেশের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে পুলিশ-প্রশাসনও। লালবাজার সূত্রে খবর, ১ লাখ জনের সমাবেশের কথা জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে। তবে, যদিও বিভিন্ন জেলা ও শহরতলি থেকে আসা সমর্থকদের সংখ্যা দেখে, কীরকম ভিড় হতে পারে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ প্রশাসন।

লালবাজার সূত্রে জানা যাচ্ছে, ব্রিগেডে ডিওয়াইএফআই-এর সমাবেশের জন্য দায়িত্বে থাকছেন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার দু’জন পুলিশ অফিসার। গোটা ব্রিগেড চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় পাঁচশো পুলিশকর্মী। পুলিশ সূত্রের খবর অনুসারে, ব্রিগেডে মূলত হাওড়া, শিয়ালদহ ও কলকাতা স্টেশন থেকে বাম কর্মী-সমর্থকদের ব্রিগেডমুখী মিছিল আসতে চলেছে।

ব্রিগেডে ‘ইনসাফ সভা’ করা নিয়ে দীর্ঘ টানাপড়েন চলছিল কিছুদিন ধরেই৷ অবশেষে গত ৫ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক বৈঠকে মীনাক্ষী জানান, তাঁরা এই সমাবেশের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি পেয়েছেন৷ সমাবেশ শেষে গোটা সমাবেশের মোট খরচের পরিমাণও সর্বসমক্ষে আনার কথা ঘোষণা করেছেন মীনাক্ষী৷ তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যে যখন নিয়োগ থেকেশুরু করে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে, তখন রাজনৈতিক স্বচ্ছতার জায়গা থেকে আমকা এই তালিকা প্রকাশ করব৷’’

গত ৫০ দিন ধরে কার্যত মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে ‘মুখ ’ করেই জেলায় জেলায় ইনসাফ যাত্রা করেছে বাম ছাত্র যুব সংগঠন ডিওয়াই এফআই৷ যার শেষ ইনসাফ সভা ব্রিগেডে হতে চলেছে আজ রবিবার৷ ব্রিগেডে তৈরি হয়েছে ৩২ ফুট/ ২৪ ফুটের একটি মূল মঞ্চ। সেখানেই থাকবেন প্রধান অতিথিরা। এছাড়াও, মঞ্চের ডান দিকে এবং বাঁদিকে ৪০ ফুট/৪০ ফুটের দু’টো আলাদা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।

Brigade Rally: একটা ঘটনাই আগাম বলে দিচ্ছে, বামেদের ব্রিগেড ‘হিট’! কী সেই ঘটনা? চমকে উঠবেন

সুন্দরবন, অনুপম সাহা: সুন্দরবন থেকে নৌকায় করে এসে ব্রিগ্রেডের উদ্দেশ্যে রওনা বামপন্থীদের। ব্রিগেডে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের জনসভা। আর সেই জনসভায় যোগদান দেওয়ার জন্য রাতের অন্ধকার থাকতে নৌকায় করে পাড়ি দিলেন সুন্দরবন এলাকার বামপন্থীরা। তারা নেবুখালীতে এসে নেবুখালী থেকে বাসে করে প্রায় ১২০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ব্রিগেডের সমাবেশে যোগ দেবেন।

রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস, বসিরহাটের সরবেড়িয়ায় শাহাজান শেখের যে দুর্নীতি, সব মিলিয়ে প্রতিবাদ করতে এবং লোকসভা ভোটের আগে কমরেডদের উদ্দেশ্যে কী বার্তা দেন মীনাক্ষী সহ বামফ্রন্টের নেতৃত্ব সেটা শোনার জন্য এবং সেই নির্দেশ অনুযায়ী বুথ স্তরে দলের কাজ করার জন্যই এই সমাবেশে যোগদান করতে যাচ্ছেন সুন্দরবন এলাকার বামপন্থীরা।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জনসংখ্যা কত? বেকারই বা কত? সংখ্যা শুনলে মাথায় হাত পড়ে যাবে

এদিকে, ঠান্ডা উপেক্ষা করেই DYFI এর ব্রিগেড সমাবেশে রাত থেকেই লোক যাওয়া শুরু হয় ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে। সন্ধ্যার ট্রেনে
বেলপাহাড়ি ব্লক এবং সংলগ্ন এলাকার সদস্যরা রাতেই রওনা হয়ে যান কলকাতার উদ্দেশ্যে। নেতৃত্বের বক্তব্য এবারে সমাবেশে ঝাড়গ্রাম থেকে কয়েক হাজার ছাত্র যুব যোগ দেবে ব্রিগেডে। ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে ১৯ টি বাস, ২২ টি পিক আপ ভ্যান এবং আরও ছোট গাড়ি ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তারা।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আজ ভোট, কত আসনে? সরকার গঠনেই বা কত সিট প্রয়োজন? হাসিনার বড় চ্যালেঞ্জ

সন্ধ্যার লোকাল থেকে সকাল বেলা স্টিল এক্সপ্রেস পর্যন্ত সারা রাত এবং সকাল মিলে প্রায় পাঁচটি ট্রেনেও কর্মীরা রওনা হবেন ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সমাবেশে এত লোক এই প্রথম। ঝাড়গ্রাম স্টেশনে মিছিল করে তার রওনা দেন। বাম কর্মীদের ব্রিগেডকে ঘিরে উৎসাহ ছিলো চোখে পড়ার মতো।

Minakshi Mukherjee: তাঁর মধ্যেই বুদ্ধদেবের ছায়া দেখেন বিমান, সেই মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ই আজ ব্রিগেডের ‘ক্যাপ্টেন’

কলকাতা: তাঁর মধ্যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ছায়া দেখেছেন খোদ বিমান বসু৷ সর্বসমক্ষে বলেওছেন সে কথা৷ মধ্য তিরিশের আপাদমস্তক আটপৌড়ে মেয়েটার মেঠো উচ্চারণে বক্তৃতা একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে চোখ টেনেছিল সকলেরই৷ ‘হট সিট’ নন্দীগ্রামের মমতা-শুভেন্দুর দ্বৈরথের মাঝখানে আলাদা করে রাজ্যজুড়ে পরিচিতি পেয়েছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়৷ যা বড় একটা কম কথা নয়৷ এখন মূলত, সেই মীনাক্ষীর কাঁধে ভর করেই এবছরের ব্রিগেড৷ ঘরে-বাইরে তাঁকেই ‘ক্যাপ্টেন’ বলে তুলে ধরছে সিপিএম৷ ব্যানারে, কাটআউটে তাঁর উপস্থিতি সুস্পষ্ট৷

এবারের ব্রিগেডের আগে মীনাক্ষীকে ক্যাপ্টেন বলে ডাকছেন খোদ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সাফ বলছেন, ‘‘প্রজেক্ট মীনাক্ষী নয়, ক্যাপ্টেন মীনাক্ষী। ওই তো আসল ক্য়াপ্টেন এখন। প্রচার তো হবেই।’’ তুলনা টেনেছেন একেবারে ইলা মিত্রের সঙ্গেও।

তবে, নিজেকে অবশ্য এখনই ‘ক্যাপ্টেন’ মনে করতে নারাজ মীনাক্ষী৷ কোনও রাখঢাক না রেখেই বললেন, “আমি তো ক্যাপ্টেন নই। আমাদের ক্যাপ্টেন আমাদের গঠনতন্ত্র, আমাদের আদর্শ, আমাদের নীতি।” যদিও বিমানের যুক্তি, “স্বাধীনতার সময়ে একটু ডাকাবুকোদের তো ক্যাপ্টেন বলে সম্বোধন করত মানুষ। তাই তো ক্যাপ্টেনের প্রচার হচ্ছে। আগে তো ডিওয়াইএফআইয়ের কোনও মহিলা সেক্রেটারি ছিল না। সে কারণেই হয়ত এখন প্রচার বেশি হচ্ছে।”

এদিনের সমাবেশ প্রসঙ্গে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভানেত্রী জানিয়েছেন, ‘‘অপেক্ষায় তো আছি, গোটা রাজ্যের সাধারণ মানুষ যেভাবে ইনসাফ সভা ও ইনসাফ যাত্রাতে নিজেদের দাবিতে, বেঁচে থাকার দাবিতে রুটিরুজির তাগিদে যেভাবে প্রতিটা দিন আমাদের পাশে ছিলেন, ব্রিগেডের সমাবেশেও রাজ্যকে বাঁচাতে, দেশকে বাঁচাতে পশ্চিমবঙ্গের সংগ্রামী জনতা থাকবে৷ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কোনওদিন লড়াই ছাড়া থাকেনি৷ ’’

আরও পড়ুন: কুয়াশায় আর হবে না ট্রেন লেট! এবার নতুন ডিভাইস ব্যবহার করতে শুরু করছে রেল, এল খবর

২০০৮ সালের পর ২০২৪। ১৬ বছর পর ফের ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ হতে চলেছে কলকাতায়। এই কিছুদিন আগেই জেলায় জেলায় ৫০ দিনের টানা ইনসাফ যাত্রা শেষ করেছে বাম ছাত্র যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই৷ তারপরেই ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি৷ এই সবকিছুতেই যেন মীনাক্ষীকেই দেখা গিয়েছে হোতার ভূমিকায়৷

ব্রিগেড সমাবেশের আগে গত শনিবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটে হাজির হয়েছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ কয়েকজন ডিওয়াইএফআই নেতা৷ সেখানেই মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘রবিবারের ব্রিগেড সমাবেশ খুব সফল হবে, বড় হবে, ভাল হবে৷’’

একুশের নির্বাচনের আগে এই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গেই মীনাক্ষীর তুলনা টানতে দেখা গিয়েছিল বিমান বসুকে৷ সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘‘মিনাক্ষী যে ভাবে এগোচ্ছে বুদ্ধ ঠিক এ ভাবেই এগিয়েছিল। সেই সময়ে স্কুল শিক্ষকের চাকরি স্বেচ্ছায় ছেড়ে পার্টির সর্ব ক্ষণের কর্মী হয়েছিল। বামপন্থী রাজনীতিতে মিনাক্ষীর এই অধ্যাবসায় দেখে সত্যিই আমরা খুশি।’’

প্রসঙ্গত, বুদ্ধদেব ছয়ের দশকে ছাত্রাবস্থা থেকেই সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয় দিয়ে শুরু করে পৌঁছেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদ পর্যন্ত। অন্যদিকে, পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে মীনাক্ষীও কুলটি কলেজের অস্থায়ী কর্মীর চাকরি করতেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই বাম রাজনীতির প্রতি ঝোঁক ছিল। সেই সূত্রেই জড়িয়ে পড়েছিলেন এসএফআইয়ের সঙ্গে। ২০১৮ সালে ডানকুনিতে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের সভানেত্রী মনোনীত হয়েছিলেন মীনাক্ষী। তার কিছু দিন আগেই চাকরি ছেড়ে পার্টির সর্ব ক্ষণের কর্মী হন।

আরও পড়ুন: ট্রেনে ঘুমোচ্ছিলেন তরুণী…তার মুখের উপরেই…ছি ছি!! চরম অশ্লীল কাণ্ড ঘটালেন সহযাত্রী প্রৌঢ়

চাকরি ছেড়ে সক্রিয় রাজনীতিতে আসার এই বিষয়টিতে বুদ্ধদেবের সঙ্গে মীনাক্ষীর মিল খুঁজে পেয়েছিলেন বিমান বসু৷ বলেছিলেন, ‘‘ওঁর বক্তৃতা সব ধরনের মানুষ বুঝতে পারছেন। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের সঙ্গে মীনাক্ষীর মিশে যাওয়ার বিষয়টিও ওর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।’’

একুশের সময়কাল থেকেই মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কেই বামেদের অন্যতম ‘মুখ’ করে তুলতে চাইছে সিপিএম৷ তবে সেই উদ্দেশ্যে একুশের নির্বাচনের পরে ঠিক যতটা সফল হওয়ার কথা ছিল বামেরা তা হয়নি৷